০৬:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এবার তৃতীয় ধাপের ভোট ঘিরে চলছে ইসির ব্যাপক প্রস্তুতি

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপ আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ১১০টি উপজেলায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১১২টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও যশোর সদর ও নরসিংদীর রায়পুরায় নির্বাচন স্থগিত করেছে কমিশন। যশোরে আইনি জটিলতায় এবং নরসিংদীতে প্রার্থীর মৃত্যুতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এ দুটিতে পরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৯টি জেলার ২১টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)’এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ব্যালটে বাকি ৯১ উপজেলার ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে। এ উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সবুজ বাংলা’র উপজেলা প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, নির্বাচন ঘিরে প্রচার বেশ জমে উঠেছে। প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন এবং ভোটারদের কাছে ভোট চাইছেন। এসময় প্রার্থীরা এলাকার উন্নয়নে তাদের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতির কথাও জানাচ্ছেন ভোটারদের।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে এক হাজার ৫৮৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬১৮ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০০ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। তবে, এ ধাপে ৫টি পদে একক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন। এ ধাপে চেয়ারম্যান পদে কোনো একক প্রার্থী হয়নি।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া ও যশোরের অভয়নগর এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, সুনামগঞ্জের ছাতক ও পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় একক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

তৃতীয় ধাপে চেয়ারম্যান পদে সর্বোচ্চ ১০ জন করে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছে নওগাঁর রাণীগঞ্জ, রংপুরের গঙ্গাচড়া ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বগুড়া সদরে সর্বোচ্চ ১৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পটুয়াখালী সদরে ১০ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
এর আগে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তার ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয় ২ মে পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয় ৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয় গত ১৩ মে। এরপর থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থিরা প্রচারে নামেন।
তৃতীয় ধাপে যেসব উপজেলা পরিষদে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে সেগুলো হচ্ছে বরিশাল জেলার গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া, পটুয়াখালী জেলার সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়ীয়া ও ভান্ডারিয়া, ভোলা জেলার তজুমদ্দিন ও লালমোহন, ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া, বরগুনা জেলার বামনা ও পাথরঘাটা, ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ, নীলফামারী সদর, দিনাজপুর জেলার খানসামা, সদর ও চিরিরবন্দর, লালমনিরহাট সদর, রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া ও সদর, কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী, ভুরুঙ্গামারী ও নাগেশ্বরী, গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর ও সুন্দরগঞ্জ, বগুড়া জেলার শাজাহানপুর, সদর ও শিবগঞ্জ, নওগাঁ জেলার আত্রাই ও রানীনগর, রাজশাহী জেলার পবা ও মোহনপুর, নাটোর জেলার গুরুদাসপুর ও বড়ইগ্রাম, সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর ও চৌহালী, পাবনা জেলার সদর।উপজেলা হচ্ছে আটঘরিয়া ও ঈশ্বরদী, যশোর জেলার সদর, অভয়নগর ও বাঘারপাড়া, বাগেরহাট জেলার শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও মোংলা, খুলনা জেলার কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া, সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া ও সদর, মানিকগঞ্জ জেলার সদর ও সাটুরিয়া, ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা ও সদরপুর, শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা ও গোসাইরহাট, নরসিংদী জেলার শিবপুর ও রায়পুরা, টাঙ্গাইল জেলার সদর, দেলদুয়ার ও নাগরপুর, মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান ও শ্রীনগর, কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা, তাড়াইল, করিমগঞ্জ ও মিঠামইন। ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া, ঈশ্বরগঞ্জ ও ত্রিশাল, জামালপুর জেলার মেলান্দহ ও মাদারগঞ্জ, নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ, মদন ও খালিয়াজুড়ী, সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক ও দোয়ারা বাজার, সিলেট জেলার বালাগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার, মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল, হবিগঞ্জ জেলার লাখাই, সদর ও শায়েস্তাগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ ও বাঞ্ছারামপুর, কুমিল্লা জেলার বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, মুরাদনগর ও দেবীদ্বার, চাঁদপুর জেলার কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ, ফেনী জেলার সোনাগাজী, সদর, দাগনভূঞা, নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ, সদর ও কোম্পানীগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর জেলার সদর, চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা, বোয়ালখালী, পটিয়া ও চন্দনাইশ, কক্সবাজার জেলার উখিয়া, টেকনাফ ও রামু, খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি, রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর, লংগদু ও বাঘাইছড়ি।

জনপ্রিয় সংবাদ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এবার তৃতীয় ধাপের ভোট ঘিরে চলছে ইসির ব্যাপক প্রস্তুতি

আপডেট সময় : ০৭:১০:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপ আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ১১০টি উপজেলায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১১২টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও যশোর সদর ও নরসিংদীর রায়পুরায় নির্বাচন স্থগিত করেছে কমিশন। যশোরে আইনি জটিলতায় এবং নরসিংদীতে প্রার্থীর মৃত্যুতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এ দুটিতে পরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৯টি জেলার ২১টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)’এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ব্যালটে বাকি ৯১ উপজেলার ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে। এ উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সবুজ বাংলা’র উপজেলা প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, নির্বাচন ঘিরে প্রচার বেশ জমে উঠেছে। প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন এবং ভোটারদের কাছে ভোট চাইছেন। এসময় প্রার্থীরা এলাকার উন্নয়নে তাদের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতির কথাও জানাচ্ছেন ভোটারদের।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে এক হাজার ৫৮৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬১৮ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০০ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। তবে, এ ধাপে ৫টি পদে একক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন। এ ধাপে চেয়ারম্যান পদে কোনো একক প্রার্থী হয়নি।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া ও যশোরের অভয়নগর এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, সুনামগঞ্জের ছাতক ও পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় একক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

তৃতীয় ধাপে চেয়ারম্যান পদে সর্বোচ্চ ১০ জন করে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছে নওগাঁর রাণীগঞ্জ, রংপুরের গঙ্গাচড়া ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বগুড়া সদরে সর্বোচ্চ ১৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পটুয়াখালী সদরে ১০ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
এর আগে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তার ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয় ২ মে পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয় ৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয় গত ১৩ মে। এরপর থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থিরা প্রচারে নামেন।
তৃতীয় ধাপে যেসব উপজেলা পরিষদে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে সেগুলো হচ্ছে বরিশাল জেলার গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া, পটুয়াখালী জেলার সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়ীয়া ও ভান্ডারিয়া, ভোলা জেলার তজুমদ্দিন ও লালমোহন, ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া, বরগুনা জেলার বামনা ও পাথরঘাটা, ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ, নীলফামারী সদর, দিনাজপুর জেলার খানসামা, সদর ও চিরিরবন্দর, লালমনিরহাট সদর, রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া ও সদর, কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী, ভুরুঙ্গামারী ও নাগেশ্বরী, গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর ও সুন্দরগঞ্জ, বগুড়া জেলার শাজাহানপুর, সদর ও শিবগঞ্জ, নওগাঁ জেলার আত্রাই ও রানীনগর, রাজশাহী জেলার পবা ও মোহনপুর, নাটোর জেলার গুরুদাসপুর ও বড়ইগ্রাম, সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর ও চৌহালী, পাবনা জেলার সদর।উপজেলা হচ্ছে আটঘরিয়া ও ঈশ্বরদী, যশোর জেলার সদর, অভয়নগর ও বাঘারপাড়া, বাগেরহাট জেলার শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও মোংলা, খুলনা জেলার কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া, সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া ও সদর, মানিকগঞ্জ জেলার সদর ও সাটুরিয়া, ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা ও সদরপুর, শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা ও গোসাইরহাট, নরসিংদী জেলার শিবপুর ও রায়পুরা, টাঙ্গাইল জেলার সদর, দেলদুয়ার ও নাগরপুর, মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান ও শ্রীনগর, কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা, তাড়াইল, করিমগঞ্জ ও মিঠামইন। ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া, ঈশ্বরগঞ্জ ও ত্রিশাল, জামালপুর জেলার মেলান্দহ ও মাদারগঞ্জ, নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ, মদন ও খালিয়াজুড়ী, সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক ও দোয়ারা বাজার, সিলেট জেলার বালাগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার, মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল, হবিগঞ্জ জেলার লাখাই, সদর ও শায়েস্তাগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ ও বাঞ্ছারামপুর, কুমিল্লা জেলার বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, মুরাদনগর ও দেবীদ্বার, চাঁদপুর জেলার কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ, ফেনী জেলার সোনাগাজী, সদর, দাগনভূঞা, নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ, সদর ও কোম্পানীগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর জেলার সদর, চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা, বোয়ালখালী, পটিয়া ও চন্দনাইশ, কক্সবাজার জেলার উখিয়া, টেকনাফ ও রামু, খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি, রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর, লংগদু ও বাঘাইছড়ি।