০১:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংঘর্ষ-সংঘাতে শেষ হলো চট্টগ্রামের চার উপজেলার ভোট,চলছে গণনা

সংঘর্ষ-সংঘাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা, চন্দনাইশ, বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সংঘাত, সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে চার উপজেলাতেই। প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে এসব ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় একটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণও বাতিল করা হয়েছে।

 

সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পার হতেই শতাধিক লোক হামলা চালায় পটিয়ার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের পূর্ব পিঙ্গলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। ওই কেন্দ্রের ৫৫১টি ব্যালট পেপার, ৯টি ব্যালট বই, মার্কিং সিল ও অফিসিয়াল সিল ছিনতাই করে নিয়ে যায় তারা। এ ঘটনার পর তাৎক্ষণিক ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেন দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার। এর কিছুক্ষণ পরই কেন্দ্রটির ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে কেন্দ্রটিও বাতিল করা হয়।

 

সকাল ১১টার দিকে এর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে ‘দুই এমপির’ এলাকা আনোয়ারাতে। বরুমছড়া আখতারুজ্জমান উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদুল হক চৌধুরীর সমর্থকদের সঙ্গে কাজী মুজাম্মেল হকের সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এতে মোহাম্মদ মামুন ও মির্জা জাহিদ হাসান নামে দুই সমর্থক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরে উপজেলার হাইলধর ও বারশাত ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ডেও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দুই প্রার্থীর মারমুখী অবস্থানের কারণে হাইলধর বশিরুজ্জামান স্মৃতি শিক্ষা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয় আধ ঘণ্টা। ওই কেন্দ্রে লাটিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন দুই প্রার্থীর সমর্থকরা।

 

বোয়ালখালী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মিরপাড়া হাজি হামিদুল হক প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহেদুল হক ও মোহাম্মদ শফিকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এছাড়া শাকপুরা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আজগর আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার সময় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছুরি ও লোহার রড হাতে ঘোরাঘুরির সময় চরণদ্বীপ রজবিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের সামনে থেকে একজনকে আটক করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

 

চন্দনাইশেও বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে এই উপজেলায়ও।

 

নির্বাচনে চার উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৬০১ জন। এর মধ্যে পটিয়ায় ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৫৪৫ জন, বোয়ালখালীতে ২ লাখ ১০ হাজার ৩৪০ জন, আনোয়ারায় ২ লাখ ৩৩ হাজার ১০৯ জন এবং চন্দনাইশে রয়েছে ১ লাখ ৯১ হাজার ৬০৭ জন ভোটার।

 

চার উপজেলায় মোট ভোটকেন্দ্র ৩৫৬টি। যার মধ্যে পটিয়ায় ১২৮টি, বোয়ালখালীতে ৮৬টি, আনোয়ারায় মোট ৭৪টি, চন্দনাইশে রয়েছে ৬৮টি কেন্দ্র। চার উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৫০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণে জন্য চার উপজেলায় ৬০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৪ জন জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সংঘর্ষ-সংঘাতে শেষ হলো চট্টগ্রামের চার উপজেলার ভোট,চলছে গণনা

আপডেট সময় : ০৭:২৯:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪

সংঘর্ষ-সংঘাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা, চন্দনাইশ, বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সংঘাত, সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে চার উপজেলাতেই। প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে এসব ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় একটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণও বাতিল করা হয়েছে।

 

সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পার হতেই শতাধিক লোক হামলা চালায় পটিয়ার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের পূর্ব পিঙ্গলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। ওই কেন্দ্রের ৫৫১টি ব্যালট পেপার, ৯টি ব্যালট বই, মার্কিং সিল ও অফিসিয়াল সিল ছিনতাই করে নিয়ে যায় তারা। এ ঘটনার পর তাৎক্ষণিক ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেন দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার। এর কিছুক্ষণ পরই কেন্দ্রটির ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে কেন্দ্রটিও বাতিল করা হয়।

 

সকাল ১১টার দিকে এর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে ‘দুই এমপির’ এলাকা আনোয়ারাতে। বরুমছড়া আখতারুজ্জমান উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদুল হক চৌধুরীর সমর্থকদের সঙ্গে কাজী মুজাম্মেল হকের সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এতে মোহাম্মদ মামুন ও মির্জা জাহিদ হাসান নামে দুই সমর্থক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরে উপজেলার হাইলধর ও বারশাত ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ডেও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দুই প্রার্থীর মারমুখী অবস্থানের কারণে হাইলধর বশিরুজ্জামান স্মৃতি শিক্ষা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয় আধ ঘণ্টা। ওই কেন্দ্রে লাটিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন দুই প্রার্থীর সমর্থকরা।

 

বোয়ালখালী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মিরপাড়া হাজি হামিদুল হক প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহেদুল হক ও মোহাম্মদ শফিকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এছাড়া শাকপুরা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আজগর আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার সময় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছুরি ও লোহার রড হাতে ঘোরাঘুরির সময় চরণদ্বীপ রজবিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের সামনে থেকে একজনকে আটক করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

 

চন্দনাইশেও বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে এই উপজেলায়ও।

 

নির্বাচনে চার উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৬০১ জন। এর মধ্যে পটিয়ায় ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৫৪৫ জন, বোয়ালখালীতে ২ লাখ ১০ হাজার ৩৪০ জন, আনোয়ারায় ২ লাখ ৩৩ হাজার ১০৯ জন এবং চন্দনাইশে রয়েছে ১ লাখ ৯১ হাজার ৬০৭ জন ভোটার।

 

চার উপজেলায় মোট ভোটকেন্দ্র ৩৫৬টি। যার মধ্যে পটিয়ায় ১২৮টি, বোয়ালখালীতে ৮৬টি, আনোয়ারায় মোট ৭৪টি, চন্দনাইশে রয়েছে ৬৮টি কেন্দ্র। চার উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৫০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণে জন্য চার উপজেলায় ৬০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৪ জন জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।