০৩:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

❖বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যক্তির নিজস্ব ব্যয় ৭৪ শতাংশ
❖এর মধ্যে ওষুধে ব্যয় হয়েছে ৪৪ শতাংশ
❖মানদণ্ডের তুলনায় ৭৪ শতাংশ কম চিকিৎসক, নার্স এবং মিডওয়াইফ রয়েছে

◉স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে বাজেটে বরাদ্দ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা প্রয়োজন- লেলিন চৌধুরী, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও সদস্য ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট।

 

 

বর্তমানে দেশের স্বাস্থ্যখাত যেভাবে চলছে এই পরিস্থিতি পরিবর্তনে বাজেট বাড়ালেই বদলাবে না স্বাস্থ্যখাত। তবু বাজেট বাড়াতে হবে বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশ্লেষকেরা।

 

স্বাস্থ্য বিশ্লেষকদের মতে, জনগণ স্বাস্থ্যসেবার প্রতিটি স্তরেই ভুক্তভোগী। বৃহত্তর জনগোষ্ঠী ন্যূনতম চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত। আমাদের স্বাস্থ্যখাতে বেশকিছু অর্জন এবং কিছু সূচকের অগ্রগতি ঘটলেও স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে জনতুষ্টি আসেনি। এর পিছনের কারণের মধ্যে প্রধানত রয়েছে বাজেট স্বল্পতা, দুর্বল অবকাঠামো জনবলের ঘাটতি ও অনেক ক্ষেত্রে অদক্ষতা, দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন, শিক্ষার মানের অবমনন, গবেষণার দুর্বলতা ও সীমাবদ্ধতা, সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে একই বিশেষজ্ঞ দ্বারা চিকিৎসা সেবা চালু রাখা এবং কার্যকর রেফারাল পদ্ধতি না থাকা।

 

 

সূত্র জানায়, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাত বরাদ্দ পেয়েছিল ৩৮ হাজার ৫২ কোটি টাকা যা মোট বাজেটের ৫ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ খাতে মোট বাজেটের ৫ দশমিক ৪ শতাংশ বরাদ্দ ছিল। মূল্যস্ফীতি (৯ দশমিক ২ শতাংশ), কর্মকর্তা- কর্মচারীদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি ও জনসংখ্যা তথা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির খরচ মেটানো বাবদ অর্থ বাদ দিলে বাস্তবে প্রান্তিক পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা উপকরণ গ্রহীতাদের জন্য প্রকৃত বরাদ্দ আসলেই কম।

 

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাতে বছরে মাথাপিছু ব্যয় হয় মাত্র ৪৫ মার্কিন ডলার। একই সময়ে পাকিস্তানে ৪৫, নেপালে ৫০, ভারতে ২১২, ভুটানে ১০৩, শ্রীলংকায় ১৩১ ডলার ব্যয় হয়।

 

বিশ্লেষকদের মতে, দেশের গত প্রায় ২০ টি বাজেট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যখাত সবসময়ই অবহেলার শিকার হয়েছে। এ দীর্ঘ সময়ে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ মোট জাতীয় বাজেটের ৪.২-৬.৮ শতাংশ গড়ে ৫.৫ শতাংশ এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছে যা জিডিপির ক্ষেত্রে সবসময়ই ১ শতাংশ এর নিচে থেকেছে।বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে মোট বরাদ্দ কমপক্ষে ১৫ শতাংশ এবং জিডিপির কমপক্ষে ৫ শতাংশ হওয়া উচিত।

 

 

২০২৩-২৪ অর্থবছরে স্বাস্থ্য গবেষণা খাতে বরাদ্দর জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছিল। ২০২২-২৩ অর্থ বছরেও গবেষনার জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল, কিন্তু অর্থ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর গাফিলতির কারণে এই টাকা কোন কাজে লাগানো যায়নি। স্বাস্থ্য অর্থনীতি নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা প্রতিবছরই অব্যয়িত অর্থ ফেরত দেওয়াকে এই খাতের বড় ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুরের মতে, খরচ করতে না পারার পেছনে তিনটি বড় চ্যালেঞ্জ আছে। ১. কারিগরি সক্ষমতার অভাব, পদ্ধতিগত সক্ষমতার অভাব ও ৩. লক্ষ্য নির্ধারণে নীতিগত সক্ষমতার অভাব। পদ্ধতি হিসেবে স্বাস্থ্যখাতে এখনও বিকেন্দ্রীকরণ হয়নি। মাঠ পর্যায়ে স্থাপনা থাকলেও স্থানীয় ব্যবস্থাপকদের অনেক কিছুর জন্যই চেয়ে থাকতে হয় কেন্দ্রের দিকে। জরুরি অনেক কাজ স্থানীয় ব্যবস্থাপকরা করতে পারেন না, তাদের সেই স্বাধীনতা নেই। ফলে, অনেক সেবা বন্ধ থাকে।

 

ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্ট এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. এম. এইচ চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় দিনদিন ব্যক্তির নিজস্ব ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যক্তির নিজস্ব ব্যয় ৭৪ শতাংশ। যা প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে বেশি। এর মধ্যে ওষুধে ব্যয় হয়েছে ৪৪ শতাংশ। গত এক বছরে হাসপাতালগুলো রোগ নির্ণয়ে করা বিভিন্ন পরীক্ষার ফি, চিকিৎসকের পরামর্শ ফি ও ওষুধের ব্যয় বেড়েছে কমপক্ষে ১৫ শতাংশ।

 

ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্ট এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. এম. এইচ চৌধুরী বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় স্বাস্থ্য সংকট নিরসনে ভবিষ্যতে সবার জন্য সহজলভ্য ও মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করতে হলে স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বৃদ্ধির কোন বিকল্প নাই। বাজেট বৃদ্ধিই স্বাস্থ্য সেবায় সংকটের সমাধান নয় তবে এটা অন্যতম মূল উপাদান।

 

‘ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট’ এর সংগঠনের সদস্য জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ লেলিন চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্যখাত বিষয়টি একটি বৃহৎ পরিসর। কোন ক্ষুদ্র বিষয় নয়। এটার সঙ্গে সরকারি বেসরকারি খাত যুক্ত রয়েছে। বর্তমান বাজেটে স্বাস্থ্যখাতের জন্য যে বরাদ্দ দেয়া হয় তা অস্বাভাবিক কম। এই বাজেট দিয়ে দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এই অবস্থার পরিবর্তনে স্বাস্থ্য বাজেট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা প্রয়োজন।

 

ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের সভাপতি অধ্যাপক এম আবু সাঈদ বলেন, স্বাস্থ্য বাজেট বরাদ্দ কম হওয়ায় এর পুরো প্রভাব দলনেতা হিসেবে চিকিৎসকের উপর পড়ছে। আর এই ঘাটতির কারণে চিকিৎসককে পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অদক্ষতার অভিযোগ নিতে হচ্ছে। এই অবস্থার পরিবর্তন করা দরকার। আর এ কারণে এ খাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করা এবং এর সঠিক ব্যবহার করা প্রয়োজন।

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে সামান্তা শারমিনের নতুন বার্তা

স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

আপডেট সময় : ০৭:৫৬:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪

❖বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যক্তির নিজস্ব ব্যয় ৭৪ শতাংশ
❖এর মধ্যে ওষুধে ব্যয় হয়েছে ৪৪ শতাংশ
❖মানদণ্ডের তুলনায় ৭৪ শতাংশ কম চিকিৎসক, নার্স এবং মিডওয়াইফ রয়েছে

◉স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে বাজেটে বরাদ্দ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা প্রয়োজন- লেলিন চৌধুরী, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও সদস্য ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট।

 

 

বর্তমানে দেশের স্বাস্থ্যখাত যেভাবে চলছে এই পরিস্থিতি পরিবর্তনে বাজেট বাড়ালেই বদলাবে না স্বাস্থ্যখাত। তবু বাজেট বাড়াতে হবে বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশ্লেষকেরা।

 

স্বাস্থ্য বিশ্লেষকদের মতে, জনগণ স্বাস্থ্যসেবার প্রতিটি স্তরেই ভুক্তভোগী। বৃহত্তর জনগোষ্ঠী ন্যূনতম চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত। আমাদের স্বাস্থ্যখাতে বেশকিছু অর্জন এবং কিছু সূচকের অগ্রগতি ঘটলেও স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে জনতুষ্টি আসেনি। এর পিছনের কারণের মধ্যে প্রধানত রয়েছে বাজেট স্বল্পতা, দুর্বল অবকাঠামো জনবলের ঘাটতি ও অনেক ক্ষেত্রে অদক্ষতা, দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন, শিক্ষার মানের অবমনন, গবেষণার দুর্বলতা ও সীমাবদ্ধতা, সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে একই বিশেষজ্ঞ দ্বারা চিকিৎসা সেবা চালু রাখা এবং কার্যকর রেফারাল পদ্ধতি না থাকা।

 

 

সূত্র জানায়, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাত বরাদ্দ পেয়েছিল ৩৮ হাজার ৫২ কোটি টাকা যা মোট বাজেটের ৫ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ খাতে মোট বাজেটের ৫ দশমিক ৪ শতাংশ বরাদ্দ ছিল। মূল্যস্ফীতি (৯ দশমিক ২ শতাংশ), কর্মকর্তা- কর্মচারীদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি ও জনসংখ্যা তথা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির খরচ মেটানো বাবদ অর্থ বাদ দিলে বাস্তবে প্রান্তিক পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা উপকরণ গ্রহীতাদের জন্য প্রকৃত বরাদ্দ আসলেই কম।

 

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাতে বছরে মাথাপিছু ব্যয় হয় মাত্র ৪৫ মার্কিন ডলার। একই সময়ে পাকিস্তানে ৪৫, নেপালে ৫০, ভারতে ২১২, ভুটানে ১০৩, শ্রীলংকায় ১৩১ ডলার ব্যয় হয়।

 

বিশ্লেষকদের মতে, দেশের গত প্রায় ২০ টি বাজেট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যখাত সবসময়ই অবহেলার শিকার হয়েছে। এ দীর্ঘ সময়ে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ মোট জাতীয় বাজেটের ৪.২-৬.৮ শতাংশ গড়ে ৫.৫ শতাংশ এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছে যা জিডিপির ক্ষেত্রে সবসময়ই ১ শতাংশ এর নিচে থেকেছে।বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে মোট বরাদ্দ কমপক্ষে ১৫ শতাংশ এবং জিডিপির কমপক্ষে ৫ শতাংশ হওয়া উচিত।

 

 

২০২৩-২৪ অর্থবছরে স্বাস্থ্য গবেষণা খাতে বরাদ্দর জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছিল। ২০২২-২৩ অর্থ বছরেও গবেষনার জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল, কিন্তু অর্থ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর গাফিলতির কারণে এই টাকা কোন কাজে লাগানো যায়নি। স্বাস্থ্য অর্থনীতি নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা প্রতিবছরই অব্যয়িত অর্থ ফেরত দেওয়াকে এই খাতের বড় ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুরের মতে, খরচ করতে না পারার পেছনে তিনটি বড় চ্যালেঞ্জ আছে। ১. কারিগরি সক্ষমতার অভাব, পদ্ধতিগত সক্ষমতার অভাব ও ৩. লক্ষ্য নির্ধারণে নীতিগত সক্ষমতার অভাব। পদ্ধতি হিসেবে স্বাস্থ্যখাতে এখনও বিকেন্দ্রীকরণ হয়নি। মাঠ পর্যায়ে স্থাপনা থাকলেও স্থানীয় ব্যবস্থাপকদের অনেক কিছুর জন্যই চেয়ে থাকতে হয় কেন্দ্রের দিকে। জরুরি অনেক কাজ স্থানীয় ব্যবস্থাপকরা করতে পারেন না, তাদের সেই স্বাধীনতা নেই। ফলে, অনেক সেবা বন্ধ থাকে।

 

ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্ট এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. এম. এইচ চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় দিনদিন ব্যক্তির নিজস্ব ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যক্তির নিজস্ব ব্যয় ৭৪ শতাংশ। যা প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে বেশি। এর মধ্যে ওষুধে ব্যয় হয়েছে ৪৪ শতাংশ। গত এক বছরে হাসপাতালগুলো রোগ নির্ণয়ে করা বিভিন্ন পরীক্ষার ফি, চিকিৎসকের পরামর্শ ফি ও ওষুধের ব্যয় বেড়েছে কমপক্ষে ১৫ শতাংশ।

 

ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্ট এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. এম. এইচ চৌধুরী বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় স্বাস্থ্য সংকট নিরসনে ভবিষ্যতে সবার জন্য সহজলভ্য ও মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করতে হলে স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বৃদ্ধির কোন বিকল্প নাই। বাজেট বৃদ্ধিই স্বাস্থ্য সেবায় সংকটের সমাধান নয় তবে এটা অন্যতম মূল উপাদান।

 

‘ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট’ এর সংগঠনের সদস্য জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ লেলিন চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্যখাত বিষয়টি একটি বৃহৎ পরিসর। কোন ক্ষুদ্র বিষয় নয়। এটার সঙ্গে সরকারি বেসরকারি খাত যুক্ত রয়েছে। বর্তমান বাজেটে স্বাস্থ্যখাতের জন্য যে বরাদ্দ দেয়া হয় তা অস্বাভাবিক কম। এই বাজেট দিয়ে দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এই অবস্থার পরিবর্তনে স্বাস্থ্য বাজেট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা প্রয়োজন।

 

ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের সভাপতি অধ্যাপক এম আবু সাঈদ বলেন, স্বাস্থ্য বাজেট বরাদ্দ কম হওয়ায় এর পুরো প্রভাব দলনেতা হিসেবে চিকিৎসকের উপর পড়ছে। আর এই ঘাটতির কারণে চিকিৎসককে পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অদক্ষতার অভিযোগ নিতে হচ্ছে। এই অবস্থার পরিবর্তন করা দরকার। আর এ কারণে এ খাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করা এবং এর সঠিক ব্যবহার করা প্রয়োজন।