০২:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজশাহী থেকে মৌসুমের প্রথম আমের চালান গেল ফ্রান্স ও লন্ডনে

 রাজশাহী থেকে ‘কন্ট্রাক্ট ফার্মিং’-এর মাধ্যমে চাষ করা আমের প্রথম চালান ইউরোপের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে। এই চালানে মোট দুই টন ক্ষীরশাপাত আম পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে এক টন আম ফ্রান্সে এবং এক টন আম লন্ডনে যাবে। শিল্পগোষ্ঠী স্কয়ার গ্রুপের পক্ষ থেকে এই আম পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

 

রাজশাহীর বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিদেশে নিরাপদ আম রফতানি করার লক্ষ্যে রফতানিকারক কোম্পানির সঙ্গে বাঘা উপজেলার ২১ চাষির চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় ‘উত্তম কৃষি চর্চা’র মাধ্যমে আম চাষ করা হয়েছে। এ চর্চার অন্যতম মানদণ্ড হচ্ছে স্বাস্থ্যসম্মত উৎপাদন, নিরাপদ ও খাদ্যমান রক্ষা, পরিবেশ সুরক্ষা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, কৃষিকর্মীর স্বাস্থ্য ইত্যাদি মেনে চলা। স্বাস্থ্যসম্মত উৎপাদনের মধ্যে রয়েছে সার, সেচ, বালাইনাশক প্রয়োগ ও ব্যবহারবিধি অনুসরণ, বীজ ও চারা রোপণ সামগ্রীর ব্যবহার, রাসায়নিকের পরিমিত ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা অবলম্বনে উৎপাদন নিশ্চিত করা। নিরাপদ ও খাদ্যমান রক্ষার মধ্যে রয়েছে ফসল সংগ্রহের পর সংরক্ষণ ও পরিবহন ব্যবস্থাপনা। এই ব্যবস্থাপনায় ২০১৬ সাল থেকে বাঘার আম বিদেশে রফতানি করা হচ্ছে।

 

এ মৌসুমের প্রথম দিনে বাঘা উপজেলার কলিগ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলামের প্রতিষ্ঠান সাদি এন্টারপ্রাইজ থেকে ১ হাজার ৮০০ কেজি এবং বিদ্যুৎ হোসেন নামের এক চাষির বাগান থেকে ২০০ কেজি আম পাঠানো হলো।

শফিকুল ইসলাম জানান, প্রথম দিনে দুই টন আম পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ হোসেন নামের এক চাষির ২০০ কেজি, আর বাকি আম তাদের প্রতিষ্ঠানের। তিনি বলেন, গত বছর তারা ৩৪ মেট্রিক টন বিদেশে রফতানি করেছেন।

রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান স্কয়ারের প্রতিনিধি নাজমুল হোসেন বলেন, তারা প্রথম দিনে ( মঙ্গলবার) বাঘা থেকে দুই টন আম নিয়েছেন। এদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এই আম নিয়ে গাড়ি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। এই আমের এক টন ফ্রান্সে ও এক টন লন্ডনে যাবে।

বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, উত্তম কৃষিচর্চার মাধ্যমে চাষ করা আম দেখেশুনে তারা এখান থেকে আমের সঙ্গে একটি প্রত্যয়নপত্র দিচ্ছেন। তারপর ঢাকার শ্যামপুর প্যাকিং হাউস অ্যান্ড কোয়ারেন্টিন সেন্টার থেকে আরেকটি প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হবে। এরপর এই আম বিদেশে চলে যাবে। এ লক্ষ্যে তারা শুরু থেকে কৃষকদের নিয়ে কাজ করেছেন। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও তদারকির কাজও করেছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে সামান্তা শারমিনের নতুন বার্তা

রাজশাহী থেকে মৌসুমের প্রথম আমের চালান গেল ফ্রান্স ও লন্ডনে

আপডেট সময় : ০৪:৪০:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪

 রাজশাহী থেকে ‘কন্ট্রাক্ট ফার্মিং’-এর মাধ্যমে চাষ করা আমের প্রথম চালান ইউরোপের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে। এই চালানে মোট দুই টন ক্ষীরশাপাত আম পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে এক টন আম ফ্রান্সে এবং এক টন আম লন্ডনে যাবে। শিল্পগোষ্ঠী স্কয়ার গ্রুপের পক্ষ থেকে এই আম পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

 

রাজশাহীর বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিদেশে নিরাপদ আম রফতানি করার লক্ষ্যে রফতানিকারক কোম্পানির সঙ্গে বাঘা উপজেলার ২১ চাষির চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় ‘উত্তম কৃষি চর্চা’র মাধ্যমে আম চাষ করা হয়েছে। এ চর্চার অন্যতম মানদণ্ড হচ্ছে স্বাস্থ্যসম্মত উৎপাদন, নিরাপদ ও খাদ্যমান রক্ষা, পরিবেশ সুরক্ষা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, কৃষিকর্মীর স্বাস্থ্য ইত্যাদি মেনে চলা। স্বাস্থ্যসম্মত উৎপাদনের মধ্যে রয়েছে সার, সেচ, বালাইনাশক প্রয়োগ ও ব্যবহারবিধি অনুসরণ, বীজ ও চারা রোপণ সামগ্রীর ব্যবহার, রাসায়নিকের পরিমিত ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা অবলম্বনে উৎপাদন নিশ্চিত করা। নিরাপদ ও খাদ্যমান রক্ষার মধ্যে রয়েছে ফসল সংগ্রহের পর সংরক্ষণ ও পরিবহন ব্যবস্থাপনা। এই ব্যবস্থাপনায় ২০১৬ সাল থেকে বাঘার আম বিদেশে রফতানি করা হচ্ছে।

 

এ মৌসুমের প্রথম দিনে বাঘা উপজেলার কলিগ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলামের প্রতিষ্ঠান সাদি এন্টারপ্রাইজ থেকে ১ হাজার ৮০০ কেজি এবং বিদ্যুৎ হোসেন নামের এক চাষির বাগান থেকে ২০০ কেজি আম পাঠানো হলো।

শফিকুল ইসলাম জানান, প্রথম দিনে দুই টন আম পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ হোসেন নামের এক চাষির ২০০ কেজি, আর বাকি আম তাদের প্রতিষ্ঠানের। তিনি বলেন, গত বছর তারা ৩৪ মেট্রিক টন বিদেশে রফতানি করেছেন।

রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান স্কয়ারের প্রতিনিধি নাজমুল হোসেন বলেন, তারা প্রথম দিনে ( মঙ্গলবার) বাঘা থেকে দুই টন আম নিয়েছেন। এদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এই আম নিয়ে গাড়ি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। এই আমের এক টন ফ্রান্সে ও এক টন লন্ডনে যাবে।

বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, উত্তম কৃষিচর্চার মাধ্যমে চাষ করা আম দেখেশুনে তারা এখান থেকে আমের সঙ্গে একটি প্রত্যয়নপত্র দিচ্ছেন। তারপর ঢাকার শ্যামপুর প্যাকিং হাউস অ্যান্ড কোয়ারেন্টিন সেন্টার থেকে আরেকটি প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হবে। এরপর এই আম বিদেশে চলে যাবে। এ লক্ষ্যে তারা শুরু থেকে কৃষকদের নিয়ে কাজ করেছেন। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও তদারকির কাজও করেছেন।