০৭:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জের কোলাবাজারে সড়কে বসে পাটকাঠির হাট

  • সবুজ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০১:০০:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • 79

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা বাজারের মল্লিকপুর সড়কে বসে পাটকাঠির হাট। প্রায়২১বছর যাবৎ পাটকাঠির হাট বসছে সড়কের উপর। বাজারের কোন নির্দিষ্ট জায়গা নেই এই পাটকাঠির হাটের জন্য। এই হাটে প্রায় ২০ জন পাটকাঠি ব্যবসায়ী আছেন যারা দীর্ঘদিন এ ব্যাবসা করে আসছেন। এরা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে কৃষকের নিকট থেকে পাটকাঠি কিনে তা হাটে তোলেন। মান ভেদে এই পাটকাঠির দাম নির্ধারণ হয়। কাউন ও মন হিসেবে পাটকাঠি বিক্রি করেন তারা। প্রতি কাউন পাটকাঠি ৬০০ থেকে ৬৫০ এবং প্রতিমন ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়। বাংলা আষাঢ় মাসে পাটকাঠি বেচাবিক্রির মূল সময়। তবে সারা বছরই এই হাটে কমবেশি পাটকাঠি কেনাবেচা হয়। পাটকাঠির বেশিরভাগ ক্রেতা হলেন পান চাষীরা। কারণ পান চাষের জন্য বরজ তৈরিতে অনেক পাটকাঠির প্রয়োজন হয়। পাটকাঠির এ হাটে গিয়ে কথা হয় পাটকাঠির ব্যাবসায়ী সুলতান,ইকবাল মুন্সি,জালাল,বলায় ও বাবুল বিশ্বাস এর সাথে। তারা বলেন, প্রায় একুশবছর এই রাস্তায় হাট বসে। আমরা দীর্ঘদিন এ হাটে পাটকাঠির ব্যবসা করছি। এ বছর নতুন পাটকাঠি হাটে কম উঠেছে। এবং বেচাবিক্রিও কম। কৃষকরা এবছর পাট ঠিকমত পানিতে জাগ দিতে না পারায় এর অন্যতম কারণ। পাটকাঠির এই হাটে নলডাঙ্গা থেকে পাটকাঠি কিনতে আসা আঃ রহিম মিয়া জানান, আমি বাড়িতে জ্বালানির কাজে ব্যবহারের জন্য পাটকাঠি কিনতে হাটে এসেছি। দেখেশুনে পাঠকাঠি কিনে বাড়ি ফিরে যাব। এখানে পাটকাঠির হাট হওয়ায় মান যাচাই করে আমরা কিনতে পারি।
৩নং কোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আজাদ জানান, অত্র অঞ্চলের একমাত্র পাটকাঠির হাট হলো কোলা বাজারে। আশপাশের এমনকি যশোর ও মাগুরা অঞ্চলের ক্রেতারাও এ হাটে আসেন পাটকাঠি কিনতে। হাটটির সুরক্ষায় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে আমি সবসময় যেকোনো ধরনের সহযোগিতা প্রদান করে থাকি। রাস্তায় যেনো হাট না বসে সে ব্যাপারেও আমি ব্যবস্থা নিতে ইউএনও র সাথে যোগাযোগ করেছি। সুন্দর পরিচ্ছন্ন একটি পাটকাঠির হাট বসে সে ব্যাপারে দ্রæতই পদক্ষেপ নিব।

জনপ্রিয় সংবাদ

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় রুমিন ফারহানাসহ ৯ নেতা বহিষ্কার

কালীগঞ্জের কোলাবাজারে সড়কে বসে পাটকাঠির হাট

আপডেট সময় : ০১:০০:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা বাজারের মল্লিকপুর সড়কে বসে পাটকাঠির হাট। প্রায়২১বছর যাবৎ পাটকাঠির হাট বসছে সড়কের উপর। বাজারের কোন নির্দিষ্ট জায়গা নেই এই পাটকাঠির হাটের জন্য। এই হাটে প্রায় ২০ জন পাটকাঠি ব্যবসায়ী আছেন যারা দীর্ঘদিন এ ব্যাবসা করে আসছেন। এরা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে কৃষকের নিকট থেকে পাটকাঠি কিনে তা হাটে তোলেন। মান ভেদে এই পাটকাঠির দাম নির্ধারণ হয়। কাউন ও মন হিসেবে পাটকাঠি বিক্রি করেন তারা। প্রতি কাউন পাটকাঠি ৬০০ থেকে ৬৫০ এবং প্রতিমন ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়। বাংলা আষাঢ় মাসে পাটকাঠি বেচাবিক্রির মূল সময়। তবে সারা বছরই এই হাটে কমবেশি পাটকাঠি কেনাবেচা হয়। পাটকাঠির বেশিরভাগ ক্রেতা হলেন পান চাষীরা। কারণ পান চাষের জন্য বরজ তৈরিতে অনেক পাটকাঠির প্রয়োজন হয়। পাটকাঠির এ হাটে গিয়ে কথা হয় পাটকাঠির ব্যাবসায়ী সুলতান,ইকবাল মুন্সি,জালাল,বলায় ও বাবুল বিশ্বাস এর সাথে। তারা বলেন, প্রায় একুশবছর এই রাস্তায় হাট বসে। আমরা দীর্ঘদিন এ হাটে পাটকাঠির ব্যবসা করছি। এ বছর নতুন পাটকাঠি হাটে কম উঠেছে। এবং বেচাবিক্রিও কম। কৃষকরা এবছর পাট ঠিকমত পানিতে জাগ দিতে না পারায় এর অন্যতম কারণ। পাটকাঠির এই হাটে নলডাঙ্গা থেকে পাটকাঠি কিনতে আসা আঃ রহিম মিয়া জানান, আমি বাড়িতে জ্বালানির কাজে ব্যবহারের জন্য পাটকাঠি কিনতে হাটে এসেছি। দেখেশুনে পাঠকাঠি কিনে বাড়ি ফিরে যাব। এখানে পাটকাঠির হাট হওয়ায় মান যাচাই করে আমরা কিনতে পারি।
৩নং কোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আজাদ জানান, অত্র অঞ্চলের একমাত্র পাটকাঠির হাট হলো কোলা বাজারে। আশপাশের এমনকি যশোর ও মাগুরা অঞ্চলের ক্রেতারাও এ হাটে আসেন পাটকাঠি কিনতে। হাটটির সুরক্ষায় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে আমি সবসময় যেকোনো ধরনের সহযোগিতা প্রদান করে থাকি। রাস্তায় যেনো হাট না বসে সে ব্যাপারেও আমি ব্যবস্থা নিতে ইউএনও র সাথে যোগাযোগ করেছি। সুন্দর পরিচ্ছন্ন একটি পাটকাঠির হাট বসে সে ব্যাপারে দ্রæতই পদক্ষেপ নিব।