১২:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজে ধীরগতি

◉ ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে নির্মিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের তৃতীয় তলা বিশিষ্ট এ টার্মিনাল
◉ তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পের ব্যয় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা
◉ রয়েছে ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং সিস্টেম, অ্যারাইভাল লাউঞ্জ, বোর্ডিং ব্রিজসহ ৫৪টি কাউন্টার

➤ বর্তমানে কাজের যে অগ্রগতি, তাতে এ টার্মিনাল চালু করতে আরো দুই বছর সময় লাগবে : কাজী ওয়াহিদুল আলম, এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ
➤ টার্মিনালের কিছু কাজ বাকি আছে, চলতি বছরের শেষে নতুবা আগামী বছরের শুরুতে চালু করা সম্ভব হবে : লে. কর্নেল (অব.) ফারুখ খান, বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পে সাড়ে চার বছরে ৯৭ ভাগ কাজ শেষ হলেও এখনো চলছে ধীরগতি। অর্থ সংকটে পড়ায় প্রকল্পে নেমে এসেছে এক ধরনের অস্থিরতা। পরিচালন ব্যয় নির্ধারণ নিয়ে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) চুক্তি সই না হওয়ায় তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। এর ফলে সহসাই চালু হচ্ছে না শাহজালাল বিমানবন্দরের এ টার্মিনাল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে কাজের অগ্রগতির যে অবস্থা তাতে যাত্রী চলাচলের জন্য এ টার্মিনাল প্রস্তুত করতে আরও দেড় থেকে দুই বছর সময় লাগবে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, অর্থ সংকট থেকে রেহাই পেতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সহায়তা চেয়েছেন প্রকল্প পরিচালক। গত ১ জুলাই তিনি বেবিচক কর্তৃপক্ষের কাছে ১৫০ কোটি টাকা লোন চেয়ে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তিনি বলেছেন, প্রকল্প কাজের স্বার্থে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট বরাদ্দের বিপরীতে জিওবি খাতে বরাদ্দকৃত তহবিল পাওয়ার আগ পর্যন্ত আয়কর ও ভ্যাট এবং আমদানিকৃত মালামালের কাস্টম ডিউটি পরিশোধের জন্য ১৫০ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুরি প্রয়োজন। কর্তৃপক্ষের নিজস্ব তহবিল থেকে এই ঋণ প্রদানের জন্য তিনি এই চিঠি দেন। তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, থার্ড টার্মিনাল অপারেশনে যাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার। বেশিরভাগ কাজ শেষ। ইতোমধ্যে থার্ড টার্মিনালের অপারেশনাল রেডিনেস অ্যান্ড এয়ারপোর্ট ট্রান্সফারসংক্রান্ত প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।

তারা আশা করছেন, শিগগিরই মন্ত্রণালয় তা অনুমোদন দেবেন। টার্মিনালের সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন ও ক্যালিবারেশনের কাজ শেষ। ইতোমধ্যে একাধিকবার যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। মোট কথা টার্মিনালটি এখন ফ্লাইট উড্ডয়ন-অবতরণের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আকাশ পথের যাত্রীদের চাপ সামলানো আর আন্তর্জাতিক মানের সেবা নিশ্চিতে বিমানবন্দরে গড়ে তোলা হয় ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার আয়তনের এই তিনতলা টার্মিনাল। যেখানে রয়েছে ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং সিস্টেম, অ্যারাইভাল লাউঞ্জ, ডিউটি ফ্রি শপ, বোর্ডিং ব্রিজসহ ৫৪টি কাউন্টার। এখানে ৩৭টি নতুন এয়ারক্রাফ্ট পার্কিং এরিয়া এবং অ্যাপ্রোন এলাকায় সংযোগকারী দুটি ট্যাক্সিওয়ে রয়েছে। তৃতীয় টার্মিনালটি একটি মাল্টিমোডাল পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে যাত্রীরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশ ও প্রস্থান করতে পারে। নতুন টার্মিনালটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ভূগর্ভস্থ রেলপথ (এমআরটি-৫, কমলাপুর থেকে বিমানবন্দর অংশ) ও একটি ভূগর্ভস্থ টানেলের মাধ্যমে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। এছাড়া আশকোনা হজক্যাম্প থেকে আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলের মাধ্যমে হজযাত্রীরা তৃতীয় টার্মিনালে যেতে পারবেন।

তৃতীয় টার্মিনালটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের অধীনে একটি জাপানি কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশ্বমানের এই টার্মিনালে ১০৪৪টি গাড়ি রাখার সক্ষমতাসহ বহুতল গাড়ি পার্কিং তৈরি করা হয়েছে। এই টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি উড়োজাহাজ পার্ক করে রাখা যাবে। এছাড়া তৃতীয় টার্মিনালে ১৬টি ব্যাগেজ বেল্ট স্থাপন করা হয়েছে। অতিরিক্ত ওজনের ব্যাগেজের জন্য চারটি পৃথক বেল্ট রয়েছে। একটি করিডোরের মাধ্যমে পুরোনো দুটি টার্মিনালের সঙ্গে নতুন টার্মিনালকে যুক্ত করা হবে। এছাড়া ট্রানজিট যাত্রীদের জন্য আলাদা লাউঞ্জ, ভিআইপিদের জন্য তিন হাজার ৬৫০ বর্গমিটার এলাকা, বহির্গমন ও আগমনীর ১২৮টি ইমিগ্রেশন কাউন্টার রয়েছে। তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পের ব্যয় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। গত বছরের অক্টোবরে তৃতীয় টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন বলা হয়েছিল, এক বছরের মধ্যে সব কাজ শেষ করে পূর্ণরূপে চালু করা হবে টার্মিনালটি। তবে, চলতি বছরের অক্টোবরে সব কাজ শেষ হলেও পূর্ণরূপে চালু করা নিয়ে অনিশ্চিত কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, টার্মিনাল পরিচালনা ব্যয় নির্ধারণ নিয়ে জাইকা ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে পিপিপি চুক্তি এখনও হয়নি। তারপরও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের আশা, অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষ হবে।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, বর্তমানে কাজের অগ্রগতির যে অবস্থা, তাতে যাত্রী চলাচলের জন্য এ টার্মিনাল প্রস্তুত করতে আরও দেড় থেকে দুই বছর সময় লাগবে। এদিকে বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুখ খান বলেন, টার্মিনালের কিছু কাজ বাকি আছে, যা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে শেষ হবে। আশা করছি, চলতি বছরের শেষের দিকে অথবা আগামী বছরের শুরুতে নতুন টার্মিনাল চালু হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

শীতে বাড়ছে রোগ-বালাই

শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজে ধীরগতি

আপডেট সময় : ০৫:৩৫:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

◉ ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে নির্মিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের তৃতীয় তলা বিশিষ্ট এ টার্মিনাল
◉ তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পের ব্যয় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা
◉ রয়েছে ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং সিস্টেম, অ্যারাইভাল লাউঞ্জ, বোর্ডিং ব্রিজসহ ৫৪টি কাউন্টার

➤ বর্তমানে কাজের যে অগ্রগতি, তাতে এ টার্মিনাল চালু করতে আরো দুই বছর সময় লাগবে : কাজী ওয়াহিদুল আলম, এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ
➤ টার্মিনালের কিছু কাজ বাকি আছে, চলতি বছরের শেষে নতুবা আগামী বছরের শুরুতে চালু করা সম্ভব হবে : লে. কর্নেল (অব.) ফারুখ খান, বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পে সাড়ে চার বছরে ৯৭ ভাগ কাজ শেষ হলেও এখনো চলছে ধীরগতি। অর্থ সংকটে পড়ায় প্রকল্পে নেমে এসেছে এক ধরনের অস্থিরতা। পরিচালন ব্যয় নির্ধারণ নিয়ে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) চুক্তি সই না হওয়ায় তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। এর ফলে সহসাই চালু হচ্ছে না শাহজালাল বিমানবন্দরের এ টার্মিনাল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে কাজের অগ্রগতির যে অবস্থা তাতে যাত্রী চলাচলের জন্য এ টার্মিনাল প্রস্তুত করতে আরও দেড় থেকে দুই বছর সময় লাগবে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, অর্থ সংকট থেকে রেহাই পেতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সহায়তা চেয়েছেন প্রকল্প পরিচালক। গত ১ জুলাই তিনি বেবিচক কর্তৃপক্ষের কাছে ১৫০ কোটি টাকা লোন চেয়ে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তিনি বলেছেন, প্রকল্প কাজের স্বার্থে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট বরাদ্দের বিপরীতে জিওবি খাতে বরাদ্দকৃত তহবিল পাওয়ার আগ পর্যন্ত আয়কর ও ভ্যাট এবং আমদানিকৃত মালামালের কাস্টম ডিউটি পরিশোধের জন্য ১৫০ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুরি প্রয়োজন। কর্তৃপক্ষের নিজস্ব তহবিল থেকে এই ঋণ প্রদানের জন্য তিনি এই চিঠি দেন। তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, থার্ড টার্মিনাল অপারেশনে যাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার। বেশিরভাগ কাজ শেষ। ইতোমধ্যে থার্ড টার্মিনালের অপারেশনাল রেডিনেস অ্যান্ড এয়ারপোর্ট ট্রান্সফারসংক্রান্ত প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।

তারা আশা করছেন, শিগগিরই মন্ত্রণালয় তা অনুমোদন দেবেন। টার্মিনালের সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন ও ক্যালিবারেশনের কাজ শেষ। ইতোমধ্যে একাধিকবার যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। মোট কথা টার্মিনালটি এখন ফ্লাইট উড্ডয়ন-অবতরণের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আকাশ পথের যাত্রীদের চাপ সামলানো আর আন্তর্জাতিক মানের সেবা নিশ্চিতে বিমানবন্দরে গড়ে তোলা হয় ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার আয়তনের এই তিনতলা টার্মিনাল। যেখানে রয়েছে ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং সিস্টেম, অ্যারাইভাল লাউঞ্জ, ডিউটি ফ্রি শপ, বোর্ডিং ব্রিজসহ ৫৪টি কাউন্টার। এখানে ৩৭টি নতুন এয়ারক্রাফ্ট পার্কিং এরিয়া এবং অ্যাপ্রোন এলাকায় সংযোগকারী দুটি ট্যাক্সিওয়ে রয়েছে। তৃতীয় টার্মিনালটি একটি মাল্টিমোডাল পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে যাত্রীরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশ ও প্রস্থান করতে পারে। নতুন টার্মিনালটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ভূগর্ভস্থ রেলপথ (এমআরটি-৫, কমলাপুর থেকে বিমানবন্দর অংশ) ও একটি ভূগর্ভস্থ টানেলের মাধ্যমে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। এছাড়া আশকোনা হজক্যাম্প থেকে আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলের মাধ্যমে হজযাত্রীরা তৃতীয় টার্মিনালে যেতে পারবেন।

তৃতীয় টার্মিনালটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের অধীনে একটি জাপানি কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশ্বমানের এই টার্মিনালে ১০৪৪টি গাড়ি রাখার সক্ষমতাসহ বহুতল গাড়ি পার্কিং তৈরি করা হয়েছে। এই টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি উড়োজাহাজ পার্ক করে রাখা যাবে। এছাড়া তৃতীয় টার্মিনালে ১৬টি ব্যাগেজ বেল্ট স্থাপন করা হয়েছে। অতিরিক্ত ওজনের ব্যাগেজের জন্য চারটি পৃথক বেল্ট রয়েছে। একটি করিডোরের মাধ্যমে পুরোনো দুটি টার্মিনালের সঙ্গে নতুন টার্মিনালকে যুক্ত করা হবে। এছাড়া ট্রানজিট যাত্রীদের জন্য আলাদা লাউঞ্জ, ভিআইপিদের জন্য তিন হাজার ৬৫০ বর্গমিটার এলাকা, বহির্গমন ও আগমনীর ১২৮টি ইমিগ্রেশন কাউন্টার রয়েছে। তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পের ব্যয় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। গত বছরের অক্টোবরে তৃতীয় টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন বলা হয়েছিল, এক বছরের মধ্যে সব কাজ শেষ করে পূর্ণরূপে চালু করা হবে টার্মিনালটি। তবে, চলতি বছরের অক্টোবরে সব কাজ শেষ হলেও পূর্ণরূপে চালু করা নিয়ে অনিশ্চিত কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, টার্মিনাল পরিচালনা ব্যয় নির্ধারণ নিয়ে জাইকা ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে পিপিপি চুক্তি এখনও হয়নি। তারপরও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের আশা, অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষ হবে।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, বর্তমানে কাজের অগ্রগতির যে অবস্থা, তাতে যাত্রী চলাচলের জন্য এ টার্মিনাল প্রস্তুত করতে আরও দেড় থেকে দুই বছর সময় লাগবে। এদিকে বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুখ খান বলেন, টার্মিনালের কিছু কাজ বাকি আছে, যা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে শেষ হবে। আশা করছি, চলতি বছরের শেষের দিকে অথবা আগামী বছরের শুরুতে নতুন টার্মিনাল চালু হবে।