অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের পোশাক প্রস্তুতকারকদেরকে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের লুণ্ঠনের ১৫ বছর পর জাতি পুনর্গঠনে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) নেতাদের উদ্দেশে এ আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার উত্তরাধিকার সূত্রে একটি ভগ্ন অর্থনীতি পেয়েছে। তারা এখন দেশকে ঠিক করার এবং একে প্রবৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার কঠিন কাজের সম্মুখীন। সব প্রতিষ্ঠান ভেঙে গেছে। আমরা একটা বিশৃঙ্খল অবস্থায় পড়েছি। তারা আমাদেরকে অর্থনৈতিক সংকটে ফেলে গেছে। কিন্তু সবার সহযোগিতায় আমরা দেশকে পুনর্গঠন করতে পারবো।
বিজিএমইএর সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বিজিএমইএ সহসভাপতি ও পরিচালকসহ পোশাক শিল্প উদ্যোক্তাদের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। ২০০৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী বলেন, দেশ ব্যর্থ হতে পারে না। হলে এর প্রভাব হবে বিপর্যয়কর। জাতির অস্তিত্বই সংকটের সম্মুখীন হতে পারে।
পোশাক প্রস্তুতকারকদের ব্যবসাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে হবে যে আপনারা ব্যবসাকে রাজনীতির সঙ্গে মেশাবেন না। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের নৃশংস স্বৈরাচারের পতন ঘটানো ছাত্র বিপ্লব ‘মানব ইতিহাসে নজিরবিহীন’। তারা আমাদের ওপর আস্থা রেখেছে। ওরা যখন আমাকে ফোন করে দেশের নেতৃত্ব হাতে নেয়ার অনুরোধ করে তখন আমি বিদেশে ছিলাম।
বিজিএমইএ নেতারা বলেন, জাতির এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বকে পূর্ণ সমর্থন করি আমরা। এ খাতের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানাই। বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকারের সহায়তা কামনা করি আমরা।
শিথিল ঋণ পরিশোধ এবং ইউটিলিটি বিল পরিশোধসহ কয়েকটি দাবি উপস্থাপন করেন বিজিএমইএ নেতারা। অধ্যাপক ইউনূস ধৈর্য সহকারে তাদের কথা শোনেন এবং দাবিগুলো বিবেচনার প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবো। বাংলাদেশের জনগণের অসীম প্রতিভা রয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। আমরা চাই এটি আরো প্রসার লাভ করুক।























