লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা অবস্থিত দক্ষিণ ঘনেশ্যাম স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মনির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যাপক
অনিয়ম দুর্নিতীর অভিযেগ পাওয়া গেছে।
তার বিরুদ্ধে লাগামহীন আর্থিক অনিয়ম, শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়, সেচ্ছাচারিতা, রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোসহ নানা অনিয়ম- দুর্নীতির অভিযোগ একালার ভুক্তভোগী অভিভাবক ও সাধারন এরই মধ্যে সংশিলিষ্ঠ দপ্তরে দাখিল করেছেন।
এ ছাড়াও এসব ঘটনায় গত বুধবার (২ অক্টোবর)কালীগন্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকট লিখিত অভিযোগ
করেছেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক বৃন্দ।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের বিগত ২০১৫ সাল হইতে অদ্যবধি টিউশন ফি কেউ পায়নি। শিক্ষকদের টাইম স্কেল পেতে প্রধান শিক্ষককে দিতে হতো টাকা। মাইদুল ইসলাম নামে এক সহকারী শিক্ষক অভিযোগ করেন তার দ্বিতীয় টাইম স্কেলের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দাবীসহ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়, বিনা রশিদে অর্থ আদায়, ভুয়া বিল করে টাকা আত্মসাত, কোচিং বাণিজ্য, উপবৃত্তির শিক্ষার্থী নির্বাচনে অনিয়মসহ না-না অপকর্ম চালিয়ে আসছেন প্রধান শিক্ষক মনির উদ্দিন।
চলতি বছরের শিক্ষার্থীদের ষাণ্মাসিক মূল্যায়ন ফি বাবদ অনেক টাকা নিয়েছেন তিনি। পহেলা জানুয়ারী ২৪ হইতে ৩১ জুলাই ২৪ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের নিকট জন প্রতি মোট ১৩৭০ হইতে ২১০০ করে মোট পাঁচ লক্ষ আটান্ন হাজার একশত ত্রিশ টাকা রশিদ মুলে আদায় করেছেন। যা বিদ্যালয়ের নামে পূবালী ব্যাংক তুষভান্ডার শাখার একাউন্টে জমা করার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক ওই একাউন্টে কোন টাকা জমা করেননি বলে খোজ খবর নিয়ে জানা যায়। শুধু তাই নয় তিনি বিদ্যালয়ে পরিবেশবান্ধব বেশ কিছু মুল্যবান গাছও কর্তন করে বিক্রি করে তা আত্মসাৎ করেন । প্রধান শিক্ষক মনির উদ্দিন কে অপসারণ ও তার দুর্নীতি তদন্তের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
প্রধান শিক্ষকের এসব অনিয়ম নিয়ে এলাকার কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে উল্টো রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে হুমকি-ধমকি ও নানাভাবে হয়রানিও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনে পর থেকে এখন তিনি রাজনীতির ভোল পাল্টানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
বিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সর্বস্তরের জনসাধারণের দাবী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ আমলে নিয়ে দ্রুত তদন্তের।দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক মনির উদ্দিনের পদত্যাগসহ স্কুলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান তারা ।
এ বিষয় প্রধান শিক্ষক মনির উদ্দিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহির ইমাম তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


























