০৮:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোর প্রধান ডাকঘরের  ২ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় চার্জশিট

যশোরের বহুলালোচিত প্রধান ডাকঘরের গ্রাহকের সঞ্চয়ের পৌনে ২ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ৩ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে দুদক। মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ের সাবেক সহকারী পরিচালক (বর্তমানে পদোন্নতি পেয়ে উপ-পরিচালক, বাগেরহাট) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, যশোর শহরের পুরাতনকসবা মানিকতলার মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে  প্রধান ডাকঘরের সাবেক পোস্টমাস্টার আব্দুল বাকী, প্রধান ডাকঘরের সাবেক অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মুদ্রাক্ষরিক বর্তমানে খুলনার ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেলের কার্যালয়ে সংযুক্ত আক্কাছ শিকদার ও যশোর নৈশ ডাক ঘরের সাব পোস্টমাস্টার শেখ করিমুল্লাহ।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আব্দুল বাকী যশোর প্রধান ডাকঘরের পোস্টমাস্টার পদে থাকাকালীন ২০২২ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সঞ্চয় ব্যাংকের ১৭জন গ্রাহকের পাশবই ব্যবহার করে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। গ্রাহকদের এসব অ্যাকাউন্টে যৎসামন্য টাকা ছিলো। আব্দুল বাকী তাদের পাশবই নিজের কাছে রেখে ডাকঘরের নথিতে টাকা জমা দেখিয়ে এবং পরবর্তীতে গ্রাহকদের সই নকল করে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শেখ মোহাম্মদ আলী নামে এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ১৩ লাখ টাকা উত্তোলনের সময় আব্দুল বাকী ধরা পড়েন। পরে ডেপুটি পোস্টমাস্টার মেহেরুন্নেছা লেজার যাচাই করে জালিয়াতির বিষয়টি নিশ্চিত হন। এ ঘটনায় একই বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি কোতয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের এবং অভিযুক্ত আব্দুল বাকীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন ডাকঘরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তবে বিষয়টি দুদকের আওতায় পড়ায় দুদক যশোরের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন এবং তিনি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হন।
মামলার তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত আব্দুল বাকীকে এ টাকা আত্মসাতে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছেন প্রধান ডাকঘরের সাবেক অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মুদ্রাক্ষরিক আক্কাছ শিকদার ও নৈশ ডাকঘরের সাব পোস্টমাস্টার শেখ করিমুল্লাহ। এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে আটক আসামির দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
জনপ্রিয় সংবাদ

যশোর প্রধান ডাকঘরের  ২ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় চার্জশিট

আপডেট সময় : ০৪:২৩:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
যশোরের বহুলালোচিত প্রধান ডাকঘরের গ্রাহকের সঞ্চয়ের পৌনে ২ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ৩ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে দুদক। মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ের সাবেক সহকারী পরিচালক (বর্তমানে পদোন্নতি পেয়ে উপ-পরিচালক, বাগেরহাট) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, যশোর শহরের পুরাতনকসবা মানিকতলার মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে  প্রধান ডাকঘরের সাবেক পোস্টমাস্টার আব্দুল বাকী, প্রধান ডাকঘরের সাবেক অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মুদ্রাক্ষরিক বর্তমানে খুলনার ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেলের কার্যালয়ে সংযুক্ত আক্কাছ শিকদার ও যশোর নৈশ ডাক ঘরের সাব পোস্টমাস্টার শেখ করিমুল্লাহ।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আব্দুল বাকী যশোর প্রধান ডাকঘরের পোস্টমাস্টার পদে থাকাকালীন ২০২২ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সঞ্চয় ব্যাংকের ১৭জন গ্রাহকের পাশবই ব্যবহার করে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। গ্রাহকদের এসব অ্যাকাউন্টে যৎসামন্য টাকা ছিলো। আব্দুল বাকী তাদের পাশবই নিজের কাছে রেখে ডাকঘরের নথিতে টাকা জমা দেখিয়ে এবং পরবর্তীতে গ্রাহকদের সই নকল করে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শেখ মোহাম্মদ আলী নামে এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ১৩ লাখ টাকা উত্তোলনের সময় আব্দুল বাকী ধরা পড়েন। পরে ডেপুটি পোস্টমাস্টার মেহেরুন্নেছা লেজার যাচাই করে জালিয়াতির বিষয়টি নিশ্চিত হন। এ ঘটনায় একই বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি কোতয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের এবং অভিযুক্ত আব্দুল বাকীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন ডাকঘরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তবে বিষয়টি দুদকের আওতায় পড়ায় দুদক যশোরের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন এবং তিনি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হন।
মামলার তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত আব্দুল বাকীকে এ টাকা আত্মসাতে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছেন প্রধান ডাকঘরের সাবেক অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মুদ্রাক্ষরিক আক্কাছ শিকদার ও নৈশ ডাকঘরের সাব পোস্টমাস্টার শেখ করিমুল্লাহ। এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে আটক আসামির দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।