০৬:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাকৃবিতে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং বিভিন্ন সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।

দিবসটি উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।। সকাল ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামে জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে শিশু-কিশোরদের সমাবেশ, কুচকাওয়াজ এবং শারীরিক কসরত প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হকের সভাপতিত্বে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া তাঁর বক্তব্যে মহান বিজয় দিবসকে বাঙালি জাতির গর্ব ও অহংকারের দিন হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা যে বিজয় অর্জন করেছি, তা আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায়। মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের আত্মত্যাগ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমরা গভীর শ্রদ্ধা জানাই।”

উপাচার্য আরও বলেন, “২০২৪ সালে গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতার জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়েছেন, তাদের প্রতি জাতি চিরঋণী। ভবিষ্যতে যেন কোনো স্বৈরাচার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় না আসতে পারে, সে বিষয়ে আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।”

সকাল ৯ টায় শিক্ষক সমিতির আয়োজনে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হেলাল উদ্দীনসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীরা।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন এবং সামাজিক সংগঠনও স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া এবং ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১১টায় শিক্ষক কমপ্লেক্স এবং হলগুলোতে প্রীতি খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। একই সঙ্গে মহিলা সংঘের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও দুপুরেবিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ এবং মন্দিরে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

জামায়াতের নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দিলো এলডিপি ও এনসিপি

বাকৃবিতে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

আপডেট সময় : ০২:৫৮:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং বিভিন্ন সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।

দিবসটি উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।। সকাল ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামে জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে শিশু-কিশোরদের সমাবেশ, কুচকাওয়াজ এবং শারীরিক কসরত প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হকের সভাপতিত্বে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া তাঁর বক্তব্যে মহান বিজয় দিবসকে বাঙালি জাতির গর্ব ও অহংকারের দিন হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা যে বিজয় অর্জন করেছি, তা আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায়। মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের আত্মত্যাগ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমরা গভীর শ্রদ্ধা জানাই।”

উপাচার্য আরও বলেন, “২০২৪ সালে গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতার জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়েছেন, তাদের প্রতি জাতি চিরঋণী। ভবিষ্যতে যেন কোনো স্বৈরাচার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় না আসতে পারে, সে বিষয়ে আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।”

সকাল ৯ টায় শিক্ষক সমিতির আয়োজনে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হেলাল উদ্দীনসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীরা।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন এবং সামাজিক সংগঠনও স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া এবং ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১১টায় শিক্ষক কমপ্লেক্স এবং হলগুলোতে প্রীতি খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। একই সঙ্গে মহিলা সংঘের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও দুপুরেবিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ এবং মন্দিরে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।