০৪:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চবিতে মিনার কর্তৃক পনেরোশত শিক্ষার্থীর মাঝে অর্থসহ কোরআন বিতরণ 

মানবতার মুক্তির মহাসনদ পবিত্র কুরআনকে জানার জন্য “আল কুরআন একাডেমি লন্ডন” এর সৌজন্যে চবির পনেরোশত শিক্ষার্থীদের মাঝে অর্থসহ কুরআন বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছে মিনার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ অডিটোরিয়াম এই কোরআন বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে মিনারের সদস্য মাসউদুর রহমান ফাহাদের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন মিনারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আ ক ম আব্দুল কাদের। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো: কামাল উদ্দীন, মিনারের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইব্রাহীম। প্রধান আলোচক আল কুরআন একাডেমি লন্ডনের চেয়ারম্যান হাফেজ ড. মুনির উদ্দিন আহমদ। আলোচক বৃন্দ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাইতুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদরাসা সাবেক অধ্যক্ষ ড.সাইয়্যেদ মুহাম্মদ আবু নোমান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. আহমদ আলী, পিএসসি.জি. শিক্ষাবিদ গবেষক ও কবি কর্নেল (অবঃ) আশরাফ আল দীন, ইমপ্রেস নিউটেক্স কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডের ডিরেক্টর মাওলানা নুরুল আমিন মাহদী, চবি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব হাফেজ আবু দাউদ মুহাম্মদ মামুন।
ইমপ্রেস নিউটেক্স কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডের ডিরেক্টর মাওলানা নুরুল আমিন মাহদী বলেন, কুরআন শুধু তেলাওয়াতের জন্য নয় এটা বুঝেও পড়তে হবে। কুরআন পৃথিবীর মানুষদের জীবন পরিবর্তন করতে এসেছে যা  মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসে।তোমাদের কে কুরআনের অর্থ বুঝে জীবনে বাস্তবায়ন করতে হবে। কুরআন দিয়ে সমাজের পরিবর্তন আসবে আর সেই ধারায় মিনার আজ এমন অনুষ্ঠান করেছে।
আল কুরআন একাডেমি লন্ডন’র চেয়ারম্যান ড. মুনির উদ্দিন আহমদ বলেন, কুরআনের সাথে যারাই সম্পৃক্ত ছিল তারাই শ্রেষ্ঠ হয়েছে। আগামীদিনে এ জাতির পরিবর্তনের জন্য তোমাদের হাতে একটি অস্ত্র প্রয়োজন, সেই অস্ত্রের নাম কুরআন। এ কুরআনকে তোমাদের হাতে দিয়ে তোমাদের উপর একটি দায়িত্ব দিয়ে যাচ্ছি। এ কুরআন দিয়ে তোমরা এদেশের ভাগ্য পরিবর্তন করে দিবে।
মিনারের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, গতবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রোডাকটিভ রমাদান নামে একটা প্রোগ্রামে ছাত্রলীগ কর্তৃক হামলার স্বীকার হয় শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে এরকম প্রোগ্রামে হামলা হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। মিনার আপনাদের জন্য অনেক কিছু নিয়ে আসবে তবে আমাদের একার পক্ষে পৌঁছানো সম্ভন নয়। আপনাদের সকলের প্রচেষ্টা ও সহযোগিতা থাকতে হবে। কুরআনের একটি নাম হলো ফুরকান যার অর্থ সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী। আপনাদের আজ একটা কুরআনের কপি দেওয়া হবে। সেখানে অনুবাদ আছে আপনারা বুঝতে পারবেন কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা। আমাদের এই সময়টা যৌবনের সময়, যে ব্যক্তি এই যৌবনের সুরক্ষা দিবে আল্লাহ তাকে পুরস্কৃত করবেন। মিনার প্রতিবছর এরকম অনুষ্ঠান করবে আপনারা সহযোগিতা করবেন।
চট্টগ্রাম বায়তুশ শরফ কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ ড. সাইয়্যেদ মোহাম্মদ আবু নোমান বলেন, কুরআন শুধু পাঠ করার জন্য আসেনি, এটি একটি বিপ্লবী গ্রন্থ। কুরআন দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালিত করতে হবে। পুরো বিশ্বের সকল জাতির চরিত্র পরিবর্তন করার একটিমাত্র গ্রন্থ আল কুরআন। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি পাঠক কুরআনের। কুরআনের আলোকে সমাজ গঠন হলে সব ধরনের অন্যায় ও বৈষম্যের অবসান হবে। অন্যান্য ধর্মগ্রন্থকে আমরা সম্মান করি কিন্তু পৃথিবীর সবচেয়ে নির্ভুল গ্রন্থ হচ্ছে আল কুরআন। আজকে মুসলমানরা অসহায় গোষ্ঠী কারণ তারা কুরআনকে ছেড়ে দিয়েছে। আমাদের পূর্বপুরুষেরা বিজয়ী হয়েছিল কেননা তারা কুরআনকে আঁকড়ে ধরেছিল। যাদের মাঝে  চরিত্র নেই তাদের কাছে দেশের সার্বভৌমত্ব ও মা-বোনেরা নিরাপদ নয়। আগামীদিনের নেতৃত্বের জন্য আপনাদেরকে কুরআনের আলোকে চরিত্র গঠন করতে হবে।
চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো: কামাল উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্ব নেওয়ার পর আমি অনেক প্রোগ্রামে গেয়েছি আজকের প্রোগ্রামটা আমার কাছে  সবচেয়ে মূল্যবান। মানুষের জীবন পরিবর্তন করতে রাসূল (স) এর ওপর কুরআন নাযিল করেছে। ইসলাম বিশ্বের সবচেয়ে উদার একটি ধর্ম। সত্য এবং মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য বুঝার জন্য  আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য কোরআন পাঠিয়েছেন। আজ কোরআন বিতরণ হবে এটা শুধু বাসায় রেখে দিবেন না। কোরআন পড়ে মানুষের মাঝে তা পৌঁছে দিবেন। আগামীর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হবে আদর্শের নৈতিকতায় পরিপূর্ণ একটা বিশ্ববিদ্যালয়।
চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, কোন ধর্মের প্রতি আমাদের বিদ্বেষ নেই সকল ধর্মের মর্যাদা সমান। আপনাদের কোরআন দেওয়া হয় তা ঘরে সাজিয়ে রাখেন। এটা না করে কুরআন পড়ে এর মর্ম ছড়িয়ে দেওয়া উচিত। এতে করে নৈতিকতা উন্নত হলে সমাজে বিশৃঙ্খলা থাকবে না। এখন হলগুলোতে দখলদারিত্বের অবসান হয়েছে। ক্যাম্পাসে সকল ধর্ম বাধাহীনভাবে পালন করতে পারছে। ইসলাম এমন ধর্ম যেখানে সকল ধর্ম নিরাপদে থাকে। আমাদের ধর্ম সবচেয়ে বেশি কল্যাণময়। আমাদের দেশের বাস্তবতা হলো নামাজ পড়ে অথচ অফিসে টাকার জন্য ফাইল আটকায় রাখে। প্রকৃত ধর্মচর্চা করলে এমন হওয়ার কথা না। আমাদের মাঝে যে জ্ঞান রয়েছে তা আল্লাহ তায়ালার দেওয়া।দুর্নীতিবাজদের ধর্মের মাধ্যমে সরল সঠিক পথে আনতে হবে। আমরা আপনাদের জন্য সুষ্ঠু পড়াশোনার পরিবেশ তৈরি করতে যে দিনকে রাত বানিয়েছি এটা আমাদের ইবাদত। আপনাদের হাতে যে কুরআন তুলে দেওয়া হবে সেটি নিয়মিত পড়বেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও মিনারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আ ক ম আব্দুল কাদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে কোরআন বিতরণের এমন কর্মসূচি পালন করা বেশ শিক্ষার্থীবান্ধব কাজ। এই কোরআনকে বাসায় রেখে না দিয়ে বুকে ধারণ করতে হবে। এতেই সমাজের সকল অসমতা দূর হয়ে যাবে। একমাত্র কুরআনই পারে সমাজকে আলোকিত করতে। এটি এমন একটি গ্রন্থ যাতে কোন ভুল নেই। পৃথিবীর ইতিহাসে এ পর্যন্ত কোন বিজ্ঞানী, নৃবিজ্ঞানী, সাহিত্যিকরা এতে কোন ভুল খুঁজে পায়নি। কোরআন অনুযায়ী সমাজ গঠনের কাজ করতে হবে।
জনপ্রিয় সংবাদ

পীরগাছা সাব-রেজিস্টার অফিসে নির্ধারিত সময়ের বাইরে দলিল সম্পাদনের অভিযোগ

চবিতে মিনার কর্তৃক পনেরোশত শিক্ষার্থীর মাঝে অর্থসহ কোরআন বিতরণ 

আপডেট সময় : ০৮:৪৫:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
মানবতার মুক্তির মহাসনদ পবিত্র কুরআনকে জানার জন্য “আল কুরআন একাডেমি লন্ডন” এর সৌজন্যে চবির পনেরোশত শিক্ষার্থীদের মাঝে অর্থসহ কুরআন বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছে মিনার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ অডিটোরিয়াম এই কোরআন বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে মিনারের সদস্য মাসউদুর রহমান ফাহাদের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন মিনারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আ ক ম আব্দুল কাদের। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো: কামাল উদ্দীন, মিনারের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইব্রাহীম। প্রধান আলোচক আল কুরআন একাডেমি লন্ডনের চেয়ারম্যান হাফেজ ড. মুনির উদ্দিন আহমদ। আলোচক বৃন্দ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাইতুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদরাসা সাবেক অধ্যক্ষ ড.সাইয়্যেদ মুহাম্মদ আবু নোমান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. আহমদ আলী, পিএসসি.জি. শিক্ষাবিদ গবেষক ও কবি কর্নেল (অবঃ) আশরাফ আল দীন, ইমপ্রেস নিউটেক্স কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডের ডিরেক্টর মাওলানা নুরুল আমিন মাহদী, চবি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব হাফেজ আবু দাউদ মুহাম্মদ মামুন।
ইমপ্রেস নিউটেক্স কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডের ডিরেক্টর মাওলানা নুরুল আমিন মাহদী বলেন, কুরআন শুধু তেলাওয়াতের জন্য নয় এটা বুঝেও পড়তে হবে। কুরআন পৃথিবীর মানুষদের জীবন পরিবর্তন করতে এসেছে যা  মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসে।তোমাদের কে কুরআনের অর্থ বুঝে জীবনে বাস্তবায়ন করতে হবে। কুরআন দিয়ে সমাজের পরিবর্তন আসবে আর সেই ধারায় মিনার আজ এমন অনুষ্ঠান করেছে।
আল কুরআন একাডেমি লন্ডন’র চেয়ারম্যান ড. মুনির উদ্দিন আহমদ বলেন, কুরআনের সাথে যারাই সম্পৃক্ত ছিল তারাই শ্রেষ্ঠ হয়েছে। আগামীদিনে এ জাতির পরিবর্তনের জন্য তোমাদের হাতে একটি অস্ত্র প্রয়োজন, সেই অস্ত্রের নাম কুরআন। এ কুরআনকে তোমাদের হাতে দিয়ে তোমাদের উপর একটি দায়িত্ব দিয়ে যাচ্ছি। এ কুরআন দিয়ে তোমরা এদেশের ভাগ্য পরিবর্তন করে দিবে।
মিনারের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, গতবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রোডাকটিভ রমাদান নামে একটা প্রোগ্রামে ছাত্রলীগ কর্তৃক হামলার স্বীকার হয় শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে এরকম প্রোগ্রামে হামলা হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। মিনার আপনাদের জন্য অনেক কিছু নিয়ে আসবে তবে আমাদের একার পক্ষে পৌঁছানো সম্ভন নয়। আপনাদের সকলের প্রচেষ্টা ও সহযোগিতা থাকতে হবে। কুরআনের একটি নাম হলো ফুরকান যার অর্থ সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী। আপনাদের আজ একটা কুরআনের কপি দেওয়া হবে। সেখানে অনুবাদ আছে আপনারা বুঝতে পারবেন কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা। আমাদের এই সময়টা যৌবনের সময়, যে ব্যক্তি এই যৌবনের সুরক্ষা দিবে আল্লাহ তাকে পুরস্কৃত করবেন। মিনার প্রতিবছর এরকম অনুষ্ঠান করবে আপনারা সহযোগিতা করবেন।
চট্টগ্রাম বায়তুশ শরফ কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ ড. সাইয়্যেদ মোহাম্মদ আবু নোমান বলেন, কুরআন শুধু পাঠ করার জন্য আসেনি, এটি একটি বিপ্লবী গ্রন্থ। কুরআন দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালিত করতে হবে। পুরো বিশ্বের সকল জাতির চরিত্র পরিবর্তন করার একটিমাত্র গ্রন্থ আল কুরআন। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি পাঠক কুরআনের। কুরআনের আলোকে সমাজ গঠন হলে সব ধরনের অন্যায় ও বৈষম্যের অবসান হবে। অন্যান্য ধর্মগ্রন্থকে আমরা সম্মান করি কিন্তু পৃথিবীর সবচেয়ে নির্ভুল গ্রন্থ হচ্ছে আল কুরআন। আজকে মুসলমানরা অসহায় গোষ্ঠী কারণ তারা কুরআনকে ছেড়ে দিয়েছে। আমাদের পূর্বপুরুষেরা বিজয়ী হয়েছিল কেননা তারা কুরআনকে আঁকড়ে ধরেছিল। যাদের মাঝে  চরিত্র নেই তাদের কাছে দেশের সার্বভৌমত্ব ও মা-বোনেরা নিরাপদ নয়। আগামীদিনের নেতৃত্বের জন্য আপনাদেরকে কুরআনের আলোকে চরিত্র গঠন করতে হবে।
চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো: কামাল উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্ব নেওয়ার পর আমি অনেক প্রোগ্রামে গেয়েছি আজকের প্রোগ্রামটা আমার কাছে  সবচেয়ে মূল্যবান। মানুষের জীবন পরিবর্তন করতে রাসূল (স) এর ওপর কুরআন নাযিল করেছে। ইসলাম বিশ্বের সবচেয়ে উদার একটি ধর্ম। সত্য এবং মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য বুঝার জন্য  আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য কোরআন পাঠিয়েছেন। আজ কোরআন বিতরণ হবে এটা শুধু বাসায় রেখে দিবেন না। কোরআন পড়ে মানুষের মাঝে তা পৌঁছে দিবেন। আগামীর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হবে আদর্শের নৈতিকতায় পরিপূর্ণ একটা বিশ্ববিদ্যালয়।
চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, কোন ধর্মের প্রতি আমাদের বিদ্বেষ নেই সকল ধর্মের মর্যাদা সমান। আপনাদের কোরআন দেওয়া হয় তা ঘরে সাজিয়ে রাখেন। এটা না করে কুরআন পড়ে এর মর্ম ছড়িয়ে দেওয়া উচিত। এতে করে নৈতিকতা উন্নত হলে সমাজে বিশৃঙ্খলা থাকবে না। এখন হলগুলোতে দখলদারিত্বের অবসান হয়েছে। ক্যাম্পাসে সকল ধর্ম বাধাহীনভাবে পালন করতে পারছে। ইসলাম এমন ধর্ম যেখানে সকল ধর্ম নিরাপদে থাকে। আমাদের ধর্ম সবচেয়ে বেশি কল্যাণময়। আমাদের দেশের বাস্তবতা হলো নামাজ পড়ে অথচ অফিসে টাকার জন্য ফাইল আটকায় রাখে। প্রকৃত ধর্মচর্চা করলে এমন হওয়ার কথা না। আমাদের মাঝে যে জ্ঞান রয়েছে তা আল্লাহ তায়ালার দেওয়া।দুর্নীতিবাজদের ধর্মের মাধ্যমে সরল সঠিক পথে আনতে হবে। আমরা আপনাদের জন্য সুষ্ঠু পড়াশোনার পরিবেশ তৈরি করতে যে দিনকে রাত বানিয়েছি এটা আমাদের ইবাদত। আপনাদের হাতে যে কুরআন তুলে দেওয়া হবে সেটি নিয়মিত পড়বেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও মিনারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আ ক ম আব্দুল কাদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে কোরআন বিতরণের এমন কর্মসূচি পালন করা বেশ শিক্ষার্থীবান্ধব কাজ। এই কোরআনকে বাসায় রেখে না দিয়ে বুকে ধারণ করতে হবে। এতেই সমাজের সকল অসমতা দূর হয়ে যাবে। একমাত্র কুরআনই পারে সমাজকে আলোকিত করতে। এটি এমন একটি গ্রন্থ যাতে কোন ভুল নেই। পৃথিবীর ইতিহাসে এ পর্যন্ত কোন বিজ্ঞানী, নৃবিজ্ঞানী, সাহিত্যিকরা এতে কোন ভুল খুঁজে পায়নি। কোরআন অনুযায়ী সমাজ গঠনের কাজ করতে হবে।