পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী জাতীয় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা। ‘পাস্ট ডিবেটিং সোসাইটি’-এর আয়োজনে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই প্রতিযোগিতা, যেখানে অংশ নিচ্ছে দেশের ৩২টি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকরা।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-২ এ শুরু হয় প্রতিযোগিতার কার্যক্রম। চলবে আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত।
উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়,খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়,বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়,বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়,ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়,রাজশাহী কলেজ,রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়,যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,রুয়েট (রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়),কুয়েট (খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়),চুয়েট (চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়),ডুয়েট (ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়),বুটেক্স (বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়),পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ,নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়,ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি,স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি,গ্রীন ইউনিভার্সিটি,বিইউবি (বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনাল)এবং আয়োজক প্রতিষ্ঠান পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
প্রতিযোগিতার শুরুতে পাবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি হৃদয় আলম উল্লাস বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পর্যায়ের একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজনের স্বপ্ন দেখছিলাম। নানা প্রতিকূলতায় সেটি সম্ভব হচ্ছিল না। তবে এবার ডিবেটিং সোসাইটির তরুণ ও অভিজ্ঞ সদস্যদের সম্মিলিত চেষ্টায় সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিতে পেরেছে।”
প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. আবদুল আওয়াল। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন ‘জুলাই বিপ্লবের শহীদদের’। এরপর আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “পাবনার মতো একটি শহরে জাতীয় পরিসরে এতো বড় আয়োজন অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। সাধারণত এমন আয়োজন বড় শহরগুলোতে হয়, যেখানে স্পনসর ও সহায়তা পাওয়া সহজ। কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রমাণ করেছে, সাহস, পরিকল্পনা ও নিষ্ঠা থাকলে আন্তর্জাতিক মানের আয়োজন ছোট শহরেও সম্ভব।”
বিতার্কিকদের উদ্দীপনা ও মেধার প্রশংসা করে তিনি বলেন, “একজন দক্ষ বিতার্কিক শুধু মঞ্চেই নয়, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের কথাই ধরা যাক, তিনি ছাত্রজীবনে একজন চৌকস বিতার্কিক ছিলেন।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক চাকরিতে ভাষা দক্ষতা ও যুক্তিবোধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। বিতর্কচর্চা তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বগুণ, বিশ্লেষণ ক্ষমতা ও আত্মবিশ্বাস গঠনে বড় ভূমিকা রাখছে।”


























