দিনাজপুর প্রতিনিধি
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী শিল্প-সংস্কৃতি কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে। হাডুডু, পালা গান কিংবা পুতুল নাচের মতো গ্রামীণ জনপদের আনন্দের উৎসগুলোর দেখা মিলেনা। ঐতিহ্য ধরে রাখতে দিনাজপুরের দুইটি স্কুলে পুতুল নাচের আয়োজন করা হয়েছে।
দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমীর ব্যবস্থাপনায় রোববার (৮ অক্টোবর) দুপুরে শহরের মহারাজা গিরিজানাথ উচ্চ বিদ্যালয় ও সারদেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পুতুল নাচ প্রদর্শিত হয়।
স্বচক্ষে প্রথমাবের মতো এমন পুতুল নাচ দেখে উচ্ছাস প্রকাশ করেছে অনেক শিক্ষার্থী। কথা হলে তারা জানান, আগে টিভিতে বা মোবাইল ফোনে পুতুল নাচ দেখলেও আজকে প্রথমবারের মতো কাছ থেকে দেখলাম। অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছিল। আগে আবহমান বাংলায় এসব পুতুল নাচ দেখা গেলেও ক্রমশ তা হারিয়ে যাচ্ছে। আজকে পুতুল নাচের মাধ্যমে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার এবং সময়ের মূল্য নিয়ে দুই বন্ধুর চরিত্রে বিভিন্ন শিক্ষামূলক বার্তা দেয়া হয়েছে। একজন সময় মতো লেখাপড়া করে ইঞ্জিনিয়ার হলেও অপরজন পড়াশোনা না করে অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারে আসক্ত হওয়ায় বেকার হয়ে পড়ে। তাই সময় থাকতে সময়ের মূল্য দিতে হবে।
সমন্বয় পুতুল নাচ সংগঠনের পরিচালক স্বাধীন রায় জানান, আমি প্রায় পাঁচ বছর ধরে পুতুল নাচের সাথে জড়িত। মাঝখানে করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবারো নতুন করে শুরু করেছি। পুতুল নাচ বাঙ্গালীর একটি অন্যতম বিনোদনের মাধ্যম। আমরা এই বিনোদনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন শিক্ষামূলক বার্তা দিচ্ছি। পড়ালেখার সুফল এবং সময় মতো কাজ না করে মোবাইল ব্যবহারের কুফল তুলে ধরেছি। শিক্ষার্থীরা এই নাচের মাধ্যমে অনেক কিছু শিখতে পারবে। ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে ও শিক্ষার্থীদের বিনোদনের মাধ্যমে শিক্ষাদানে এরকম সব স্কুল-কলেজে পুতুল নাচের আয়োজন করা উচিত।
দিনাজপুর জেলা কালচারাল কর্মকর্তা মীন আরা পারভীন বলেন, আজকে দুইটি স্কুলে পুতুল নাচ প্রদর্শন করা হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী আজকে প্রথমবারের মতো পুতুল নাচ দেখছে। অনেক কিছু তারা শিখতে পেরেছে যেগুলো তাদের বাস্তব জীবনে কাজে লাগবে। পুতুল নাচের মাধ্যমে শিক্ষার্থীসহ সকলের মাঝে বিভিন্ন শিক্ষাও সচেতনতামূলক বার্তা পৌঁছে দেয়া সম্ভব। এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী সর্বদা চেষ্টা করছে।























