১২:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তৌহিদি জনতাকে যারা উসকে দিয়েছে তারাই আসল কালপ্রিট : মাসুদ কামাল

রাজবাড়ীতে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবারে হামলার জন্য জনতাকে যারা উসকে দিয়েছে তারাই আসল কালপ্রিট— এমন মন্তব্য করেছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল। তিনি বলেন, নুরাল পাগলা যা করছিলেন সেটা ভণ্ডামি; আর তাকে নিয়ে যা করা হচ্ছে এগুলো ইসলামের নামে আরেক ধরনের ভণ্ডামি। সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।

মাসুদ কামাল বলেন, কবর থেকে লাশ তুলে তা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে— এ ধরনের ঘটনা আপনাদের জীবদ্দশায় শুনেছেন কি না আমি জানি না।কিন্তু রাজবাড়ীতে এটা ঘটেছে এবং ঘটতে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ঘটতে দেওয়া হলো বললাম এই কারণে যে, এটা ঘটবে তা কিন্তু এর কয়দিন আগে থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। যারা এটা ঘটিয়েছে তারা একটি প্রেস কনফারেন্স করেছিল।

 

তিনি বলেন, হামলার ঘটনার দুই দিন আগে যেই ঈমান-আকিদা কমিটি বিবৃতি দিয়েছিল, হামলার পর তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।ঘটনার ভিডিওতে তাদের দেখা যাচ্ছে না, এতে দেখা যাচ্ছে অন্যদের। এখন মামলা হবে, অনেকে ধরা পড়বে। কিন্তু যারা এই জনতাকে উসকে দিয়েছিল, তারাই আসল কালপ্রিট।

 

এ ঘটনায় সরকারের সমালোচনা করে মাসুদ কামাল বলেন, ঘটনার পর সরকার একটি বিবৃতি দিয়েছে।এই সরকার খুবই ইন্টারেস্টিং— তারা ঘটনা ঘটতে দেয়, তারপর একটা বিবৃতি দেয় যে এটা ঠিক হয়নি। এদের আইনের আওতায় আনা হবে। এই বিবৃতি কাকে দেয়, কেন দেয় আমি বুঝি না। সরকারের কাজ ঘটনা ঘটতে না দেওয়া,  কিন্তু এরা ঘটতে দেয়।

 

তিনি বলেন, এই সরকারের আমলে শতাধিক মাজার ভাঙা হয়েছে, এর সঙ্গে  জামায়াতে ইসলামীর নাম বারবার এসেছে।জামাতে ইসলামী মাজারপন্থী চিন্তাকে সমর্থন করে না। তারা মাজারবিরোধী। তো এ কারণে তাদের নাম এসেছে। এ ঘটনায় জামায়াতে ইসলামীর দেওয়া বিবৃতির বিষয়ে মাসুদ কামাল বলেন, জামায়াত বলতে চাচ্ছে এই ঘটনায় তারা একেবারেই নেই, কিন্তু বুধবার ঈমান-আকিদা কমিটির প্রেস কনফারেন্সে আমরা জামায়াতের রাজবাড়ী জেলা শাখার আমির অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলামকে দেখতে পেয়েছি।

 

মাসুদ কামাল বলেন, ঘটনার পর নুরুল ইসলাম নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে লাশ পোড়ানোর ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এমনকি নুরাল পাগলার দরবারে হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি হয়তো নিজে ওখানে লাশ তোলার সঙ্গে ছিলেন না। কিন্তু যারা এখানে লাশ তোলার কাজটা করেছেন, উন্মত্ত লোকজন করেছে, তাদের খেপিয়ে দেওয়ার কাজটা কে করেছিল? এই ঈমান-আকিদা কমিটি করেছিল।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

তৌহিদি জনতাকে যারা উসকে দিয়েছে তারাই আসল কালপ্রিট : মাসুদ কামাল

আপডেট সময় : ০২:০০:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজবাড়ীতে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবারে হামলার জন্য জনতাকে যারা উসকে দিয়েছে তারাই আসল কালপ্রিট— এমন মন্তব্য করেছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল। তিনি বলেন, নুরাল পাগলা যা করছিলেন সেটা ভণ্ডামি; আর তাকে নিয়ে যা করা হচ্ছে এগুলো ইসলামের নামে আরেক ধরনের ভণ্ডামি। সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।

মাসুদ কামাল বলেন, কবর থেকে লাশ তুলে তা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে— এ ধরনের ঘটনা আপনাদের জীবদ্দশায় শুনেছেন কি না আমি জানি না।কিন্তু রাজবাড়ীতে এটা ঘটেছে এবং ঘটতে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ঘটতে দেওয়া হলো বললাম এই কারণে যে, এটা ঘটবে তা কিন্তু এর কয়দিন আগে থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। যারা এটা ঘটিয়েছে তারা একটি প্রেস কনফারেন্স করেছিল।

 

তিনি বলেন, হামলার ঘটনার দুই দিন আগে যেই ঈমান-আকিদা কমিটি বিবৃতি দিয়েছিল, হামলার পর তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।ঘটনার ভিডিওতে তাদের দেখা যাচ্ছে না, এতে দেখা যাচ্ছে অন্যদের। এখন মামলা হবে, অনেকে ধরা পড়বে। কিন্তু যারা এই জনতাকে উসকে দিয়েছিল, তারাই আসল কালপ্রিট।

 

এ ঘটনায় সরকারের সমালোচনা করে মাসুদ কামাল বলেন, ঘটনার পর সরকার একটি বিবৃতি দিয়েছে।এই সরকার খুবই ইন্টারেস্টিং— তারা ঘটনা ঘটতে দেয়, তারপর একটা বিবৃতি দেয় যে এটা ঠিক হয়নি। এদের আইনের আওতায় আনা হবে। এই বিবৃতি কাকে দেয়, কেন দেয় আমি বুঝি না। সরকারের কাজ ঘটনা ঘটতে না দেওয়া,  কিন্তু এরা ঘটতে দেয়।

 

তিনি বলেন, এই সরকারের আমলে শতাধিক মাজার ভাঙা হয়েছে, এর সঙ্গে  জামায়াতে ইসলামীর নাম বারবার এসেছে।জামাতে ইসলামী মাজারপন্থী চিন্তাকে সমর্থন করে না। তারা মাজারবিরোধী। তো এ কারণে তাদের নাম এসেছে। এ ঘটনায় জামায়াতে ইসলামীর দেওয়া বিবৃতির বিষয়ে মাসুদ কামাল বলেন, জামায়াত বলতে চাচ্ছে এই ঘটনায় তারা একেবারেই নেই, কিন্তু বুধবার ঈমান-আকিদা কমিটির প্রেস কনফারেন্সে আমরা জামায়াতের রাজবাড়ী জেলা শাখার আমির অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলামকে দেখতে পেয়েছি।

 

মাসুদ কামাল বলেন, ঘটনার পর নুরুল ইসলাম নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে লাশ পোড়ানোর ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এমনকি নুরাল পাগলার দরবারে হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি হয়তো নিজে ওখানে লাশ তোলার সঙ্গে ছিলেন না। কিন্তু যারা এখানে লাশ তোলার কাজটা করেছেন, উন্মত্ত লোকজন করেছে, তাদের খেপিয়ে দেওয়ার কাজটা কে করেছিল? এই ঈমান-আকিদা কমিটি করেছিল।