লালমনিরহাটে মোটরসাইকেল চুরি ও বিক্রির ঘটনায় নতুন করে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সদর উপজেলার রেলওয়ে স্টেশনের প্রধান ফটকের সামনে থেকে চুরি হওয়া একটি মোটরসাইকেল পরে কুলাঘাট ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্যের কাছে পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মোটরসাইকেলের মালিক মো. তৈয়ব আলী বিষয়টি নিয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং–৭৩৪৭১, তারিখ: ০৩/১২/২০২৫) করেন। তিনি জিডিতে উল্লেখ করেন, মোটরসাইকেলটি স্টেশনের সামনে রেখে ভেতরে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে আর খুঁজে পাননি। আশপাশে খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান না পেয়ে থানায় জিডি করেন।
পরবর্তীতে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়—দাড়ি, টুপি ও কোট পরিহিত এক ব্যক্তি সহজেই মোটরসাইকেলটি চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। ফুটেজটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।
এদিকে মোটরসাইকেলের আগের মালিকানা সংক্রান্ত একটি স্ট্যাম্প চুক্তিপত্র উদ্ধার হলেও জিডির পরদিনই জানা যায়—চুরি হওয়া মোটরসাইকেলটি কুলাঘাট ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জোবায়দুল ইসলাম জোবেদের কাছে রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তিনি চোরের কাছ থেকে বিষয়টি জেনেও কম দামে মোটরসাইকেলটি ক্রয় করেছেন। তাদের দাবি, ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে চোরচক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগও রয়েছে।
মোটরসাইকেলের মালিক তৈয়ব আলী বলেন, “রেলওয়ে স্টেশন থেকে চুরি হওয়া মোটরসাইকেলটি পরে ইউপি সদস্য জোবেদের কাছে পাওয়া গেছে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য জোবেদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় সম্প্রতি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। তাদের দাবি, একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে এসব চুরির সঙ্গে জড়িত।
সদর থানা ও ডিবি পুলিশ জানায়, ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে। দ্রুত মোটরসাইকেল উদ্ধারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চুরির ঘটনা ও ইউপি সদস্যের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে পুরো এলাকায় চলছে তীব্র আলোচনা।





















