১১:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ, ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বড় ধরনের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) ও বজরং দলের ডাকে বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে হাইকমিশনের ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করেছে।

নিরাপত্তা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যক্রম চালাচ্ছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এই বিক্ষোভ শুরু হয় বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।

ময়মনসিংহে দিপু চন্দ্র দাস নামে এক হিন্দু যুবককে পিটিয়ে হত্যা এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দেন। হাইকমিশনের চারপাশে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।

এর আগে, ২০ ডিসেম্বর রাতে হাইকমিশনের সামনে একটি ছোট বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তখন জানিয়েছিল, সেদিন মাত্র ২০–২৫ জন বিক্ষোভকারী উপস্থিত ছিলেন এবং তারা কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেনি। তবে বাংলাদেশ এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং কূটনৈতিকভাবে সুরক্ষিত এলাকায় বিক্ষোভকারীরা প্রবেশ করতে পারার ঘটনায় গুরুতর নিরাপত্তা ঘাটতির প্রশ্ন তুলেছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, নয়াদিল্লির হাইকমিশন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল ও সুরক্ষিত কূটনৈতিক এলাকা, তাই অনুমতি ছাড়া সেখানে বিক্ষোভ করা স্বাভাবিক নয়। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে উগ্র সংগঠনের সদস্যরা সেখানে প্রবেশ করতে সক্ষম হলো।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

একনেক সভায় ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ, ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা

আপডেট সময় : ০৪:৩৯:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বড় ধরনের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) ও বজরং দলের ডাকে বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে হাইকমিশনের ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করেছে।

নিরাপত্তা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যক্রম চালাচ্ছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এই বিক্ষোভ শুরু হয় বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।

ময়মনসিংহে দিপু চন্দ্র দাস নামে এক হিন্দু যুবককে পিটিয়ে হত্যা এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দেন। হাইকমিশনের চারপাশে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।

এর আগে, ২০ ডিসেম্বর রাতে হাইকমিশনের সামনে একটি ছোট বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তখন জানিয়েছিল, সেদিন মাত্র ২০–২৫ জন বিক্ষোভকারী উপস্থিত ছিলেন এবং তারা কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেনি। তবে বাংলাদেশ এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং কূটনৈতিকভাবে সুরক্ষিত এলাকায় বিক্ষোভকারীরা প্রবেশ করতে পারার ঘটনায় গুরুতর নিরাপত্তা ঘাটতির প্রশ্ন তুলেছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, নয়াদিল্লির হাইকমিশন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল ও সুরক্ষিত কূটনৈতিক এলাকা, তাই অনুমতি ছাড়া সেখানে বিক্ষোভ করা স্বাভাবিক নয়। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে উগ্র সংগঠনের সদস্যরা সেখানে প্রবেশ করতে সক্ষম হলো।

এমআর/সবা