নতুন বছরের শুরুতে, নতুন বই হাতে পেয়ে আনন্দে মেতেছে প্রাথমিক শিক্ষার্থীরা। কুমিল্লা জেলার ৩৩ লাখ ৫২ হাজার ৪৯ জন কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীর হাতে পৌঁছে গেছে নতুন বই। জেলার ১৭টি উপজেলার ছাত্র-ছাত্রী’র মাঝে যেন আনন্দের কমতি নেই।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সফিউল আলম সবুজ বাংলাকে বলেন- গুলবাগিচা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বই উৎসব উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ১৭টি উপজেলার শিশু শিক্ষার্থীর মাঝে পৌঁছানো হয় বছরের নতুন বই। ছাত্র ছাত্রীরা যেমনি আনন্দ উপভোগ করেছে,পাশাপাশি অভিভাবকরাও আনন্দে মেতেছে। বই উৎসবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলেন-বড় হতে হলে প্রাথমিক স্থরের জ্ঞান অর্জনের মধ্য দিয়ে আমাদের সফলতা আসবে। না হয় আমরা ভালো কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারবো না। নূন্যতম অক্ষর জ্ঞান শিক্ষা অর্জন করার মূল কারিগর প্রাথমিকের শিক্ষক।
এদিকে কুমিল্লা সদর উপজেলার বামইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বই বিতরণকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন-আজকের শিশু আগামীদের দিনের ভবিষৎ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাছিনা শিক্ষার মান উন্নয়নে বিরল ভূমিকা রেখে বিনামূল্যে বই বিতরণসহ দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি চালু করেছেন। প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে গিয়ে অর্থের অভাবে কোন শিক্ষার্থী যেন ছিটকে না পরে সে জন্য প্রধানমন্ত্রী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য উপবৃত্তি চালু করে।শীত উপেক্ষা করে বছরের প্রথম দিনে নতুন বই পেয়ে মনের আনন্দে মেতে উঠতে দেখা গেছে জেলার ১৭টি উপজেলার প্রতিটি বিদ্যালয়ের শিশুদের।
নতুন বইয়ের গন্ধ মুহূর্তেই চারদিকে যেন ছড়িয়ে পড়ে। রঙিন মলাটের মধ্যে যেন আবারও বন্দি হয় নতুন বছরের স্বপ্ন, হাসি-আনন্দে একাকার হয়ে বুকের সঙ্গে দুই হাত দিয়ে মায়ার বাঁধনে নতুন বইগুলো জড়িয়ে স্কুল থেকে বাড়িতে যায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।























