১২:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রামে নামছে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডা

কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় জুবুথুবু হয়ে পড়েছে জনপদ। জেলার সড়ক ও নৌ পথে ঘন কুয়াশায় ব্যহত হয়েছে চলাচল ব্যবস্থা। ফলে দিনের বেলা সড়ক পথে হেড লাইট জালিয়ে চলছে যানবাহনগুলো। এদিকে গত তিন দিন ধরে কনকনে ঠান্ডায় ভোগান্তির মুখে পড়েছে মানুষজন। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশু বয়সীরা পড়েছে চরম বিপাকে। শীত নিবারনে পর্যাপ্ত কাপড় না থাকায় ঠান্ডাজনিত রোগে ভুগছেন তারা।

কুড়িগ্রাম রাজার হাট আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ২ জানুয়ারি সকাল ৬ টায় জেলা ১৩.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দিনের বেলা তাপমাত্রা ঠিক থাকলে রাতে তাপমাত্রা কমতে থাকবে বলে জানান অফিসটি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার  প্রায় সাড়ে চারশত চরাঞ্চলের শীতের প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃষ্টির মত ঝড়ে পড়া কুয়াশায় কাজের সন্ধানে ছুটে চলা মানুষজন পড়ছে ভোগান্তির মুখে।তীব্র ঠান্ডায় সব্জি ক্ষেত ও বীজতলা নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা নিয়ে তাদের দুঃশ্চিন্তা  দিন দিন বেড়েই চলছে।

কুড়িগ্রাম পৌর শহরের টাপু ভেলাকোপা গ্রামের মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, আমি হোটেলে কাজ করতে যাচ্ছি। সারারাত কনকনে ঠান্ডা দিনের বেলাও একই অবস্থা। এমন অবস্থায় আমার মত খেটে খাওয়া মানুষজনের কষ্টের শেষ নেই। কাজ না করে ঘরে বসে থাকলে তো পেটে ভাত জুঠবে না।

ধরলার পাড়ের নজরুল ইসলাম সবুজ বাংলাকে বলেন, দু’তিন দিন ধরে খু্ব ঠান্ডা পড়ছে। সকালে উঠে জমিতে কাজে যেতে হয়। কাজ করতে গিয়ে হাত পা বরফের মত ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।

কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সবুজ বাংলাকে বলেন, জেলায়  আজ মঙ্গলবার ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রাতে তাপমাত্রা আরো কমতে থাকবে বলে জানান তিনি। তবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী এ মাসে একটি শৈত্য প্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

কুড়িগ্রামে নামছে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডা

আপডেট সময় : ১১:৫০:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০২৪

কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় জুবুথুবু হয়ে পড়েছে জনপদ। জেলার সড়ক ও নৌ পথে ঘন কুয়াশায় ব্যহত হয়েছে চলাচল ব্যবস্থা। ফলে দিনের বেলা সড়ক পথে হেড লাইট জালিয়ে চলছে যানবাহনগুলো। এদিকে গত তিন দিন ধরে কনকনে ঠান্ডায় ভোগান্তির মুখে পড়েছে মানুষজন। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশু বয়সীরা পড়েছে চরম বিপাকে। শীত নিবারনে পর্যাপ্ত কাপড় না থাকায় ঠান্ডাজনিত রোগে ভুগছেন তারা।

কুড়িগ্রাম রাজার হাট আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ২ জানুয়ারি সকাল ৬ টায় জেলা ১৩.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দিনের বেলা তাপমাত্রা ঠিক থাকলে রাতে তাপমাত্রা কমতে থাকবে বলে জানান অফিসটি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার  প্রায় সাড়ে চারশত চরাঞ্চলের শীতের প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃষ্টির মত ঝড়ে পড়া কুয়াশায় কাজের সন্ধানে ছুটে চলা মানুষজন পড়ছে ভোগান্তির মুখে।তীব্র ঠান্ডায় সব্জি ক্ষেত ও বীজতলা নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা নিয়ে তাদের দুঃশ্চিন্তা  দিন দিন বেড়েই চলছে।

কুড়িগ্রাম পৌর শহরের টাপু ভেলাকোপা গ্রামের মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, আমি হোটেলে কাজ করতে যাচ্ছি। সারারাত কনকনে ঠান্ডা দিনের বেলাও একই অবস্থা। এমন অবস্থায় আমার মত খেটে খাওয়া মানুষজনের কষ্টের শেষ নেই। কাজ না করে ঘরে বসে থাকলে তো পেটে ভাত জুঠবে না।

ধরলার পাড়ের নজরুল ইসলাম সবুজ বাংলাকে বলেন, দু’তিন দিন ধরে খু্ব ঠান্ডা পড়ছে। সকালে উঠে জমিতে কাজে যেতে হয়। কাজ করতে গিয়ে হাত পা বরফের মত ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।

কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সবুজ বাংলাকে বলেন, জেলায়  আজ মঙ্গলবার ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রাতে তাপমাত্রা আরো কমতে থাকবে বলে জানান তিনি। তবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী এ মাসে একটি শৈত্য প্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।