১০:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামালপুরে এবার রথযাত্রার আকর্ষণ ছিল হাতি

জামালপুরে আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপিত হলো রথযাত্রা। এবার শহরে রথযাত্রার মূল আকর্ষণ ছিল হাতি। এছাড়া ঘোড়াও দেখা গেছে রথ উৎসবে।

বিকেল ৪ টায় বিভিন্ন এলাকা থেকে রথের গাড়ী টেনে নিয়ে শহরের গেইটপাড় এলাকার মালগুদাম রোডে একত্রিত হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে রথযাত্রাটি।

এবার জামালপুর শহরে ৫ টি রথযাত্রা বের হয়। এমধ্যে পৌর শহরের পালপাড়ার লোকনাথ মন্দির ও ইসকন দুটি, বসাকপড়া কালিমন্দির থেকে একটি, বোষপাড়ার একটি ও দয়াময়ী মন্দির কমিটি একটি মোট ৫ টি রথ একত্রিত হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে দয়াময়ী মোড়ে এসে সমাপ্ত করে রথযাত্রা।

রথযাত্রী সুমন দাস বলেন, টেনে নিয়ে যাচ্ছি রথ। এটা আমার জীবনে রথ। ভাল লাগছে রথযাত্রায় এসে। রথে এসে অনুধাবন করছি আমার জীবনের রথও এই ভাবে টেনে নিয়ে যেতে হচ্ছে আমাকেই।

রথযাত্রী অনু চক্রবর্তী বলেন, ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি রথের একটা গাড়ী, গতবছর থেকে অনেকগুলি রথের গাড়ী একটা স্থানে গিয়ে একত্র হয়ে রথযাত্রা করতে দেখে আসছি। এটা ভাল লাগে নাই। তবে এবারের প্রধান আকর্ষণ হাতি-ঘোড়া সাজিয়ে রথযাত্রায় একটা বৈচিত্রতা নিয়ে আসা হয়েছে। এভাবে নতুন নতুন কিছু যুক্ত করে রথযাত্রাকে আকর্ষণীয় করতে পারে প্রতি বছর।

উল্লেখ্য, পুণ্য তিথিতে নিজ নিজ রথে প্রভু জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা শোভাযাত্রা সহকারে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে নিজ মন্দির থেকে সপ্তাহকালের জন্য মাসির বাড়ি গমন করেন। এই বেড়াতে যাওয়ার উৎসবই রথযাত্রা। হিন্দুশাস্ত্র মতে রথের দড়ি টানলে পুণ্যলাভ হয়। তারই ধারাবাহিকতায় জামালপুরসহ সারাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের এই রাথযাত্রা পালিত হচ্ছে।

রথ উৎসবে সনাতন ধর্মাবলম্বী হাজার হাজার পূণ্যার্থী শিশু-কিশোর, যুবক, প্রবীণ, বৃদ্ধ নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

একনেক সভায় ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন

জামালপুরে এবার রথযাত্রার আকর্ষণ ছিল হাতি

আপডেট সময় : ০৭:০২:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪

জামালপুরে আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপিত হলো রথযাত্রা। এবার শহরে রথযাত্রার মূল আকর্ষণ ছিল হাতি। এছাড়া ঘোড়াও দেখা গেছে রথ উৎসবে।

বিকেল ৪ টায় বিভিন্ন এলাকা থেকে রথের গাড়ী টেনে নিয়ে শহরের গেইটপাড় এলাকার মালগুদাম রোডে একত্রিত হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে রথযাত্রাটি।

এবার জামালপুর শহরে ৫ টি রথযাত্রা বের হয়। এমধ্যে পৌর শহরের পালপাড়ার লোকনাথ মন্দির ও ইসকন দুটি, বসাকপড়া কালিমন্দির থেকে একটি, বোষপাড়ার একটি ও দয়াময়ী মন্দির কমিটি একটি মোট ৫ টি রথ একত্রিত হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে দয়াময়ী মোড়ে এসে সমাপ্ত করে রথযাত্রা।

রথযাত্রী সুমন দাস বলেন, টেনে নিয়ে যাচ্ছি রথ। এটা আমার জীবনে রথ। ভাল লাগছে রথযাত্রায় এসে। রথে এসে অনুধাবন করছি আমার জীবনের রথও এই ভাবে টেনে নিয়ে যেতে হচ্ছে আমাকেই।

রথযাত্রী অনু চক্রবর্তী বলেন, ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি রথের একটা গাড়ী, গতবছর থেকে অনেকগুলি রথের গাড়ী একটা স্থানে গিয়ে একত্র হয়ে রথযাত্রা করতে দেখে আসছি। এটা ভাল লাগে নাই। তবে এবারের প্রধান আকর্ষণ হাতি-ঘোড়া সাজিয়ে রথযাত্রায় একটা বৈচিত্রতা নিয়ে আসা হয়েছে। এভাবে নতুন নতুন কিছু যুক্ত করে রথযাত্রাকে আকর্ষণীয় করতে পারে প্রতি বছর।

উল্লেখ্য, পুণ্য তিথিতে নিজ নিজ রথে প্রভু জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা শোভাযাত্রা সহকারে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে নিজ মন্দির থেকে সপ্তাহকালের জন্য মাসির বাড়ি গমন করেন। এই বেড়াতে যাওয়ার উৎসবই রথযাত্রা। হিন্দুশাস্ত্র মতে রথের দড়ি টানলে পুণ্যলাভ হয়। তারই ধারাবাহিকতায় জামালপুরসহ সারাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের এই রাথযাত্রা পালিত হচ্ছে।

রথ উৎসবে সনাতন ধর্মাবলম্বী হাজার হাজার পূণ্যার্থী শিশু-কিশোর, যুবক, প্রবীণ, বৃদ্ধ নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।