১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাবিতে পুলিশ ও শিক্ষার্থী মুখোমুখি অবস্হান

চলমান আন্দোলনের মুহুর্তে আপিল বিভাগে কোটার বিষয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশের প্রতি অসন্তোষ জানিয়ে পুলিশি বাধার মুখে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আজ ১১ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য কোটাকে ন্যায্যতার ভিত্তিতে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা পদ্ধতিকে সংস্কারের দাবিতে এবং আপিল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ের প্রতি অসন্তোষ জানিয়ে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র ব্যানারে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে মিছিল বের করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গেইট (ডেইরি গেইট) অতিক্রমকালে তারা পুলিশি বাধার মুখে পড়েন। পরে তারা পুলিশের বাধাকে অগ্রাহ্য করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরুদ্ধ করে অবস্থান করেন। এ সময় বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষার্থী সবুজ বাংলা’র এ প্রতিবেদককে বলেন, “আমাদের দাবি হচ্ছে কোটা সংস্কার করে নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে। গতকাল হাইকোর্টের রায় স্থিতি করে আমাদের আন্দোলনকে দমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, কিন্তু যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের দাবি আদায় না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা আজকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছি, আমাদের এই অবরোধ সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত চলবে। আমরা সরকার পক্ষকে বলে দিতে চাই, পুলিশ প্রশাসন দিয়ে আমাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। সরকার পক্ষকে অনুরোধ করবো আপনারা আমাদের দাবি মেনে নিয়ে চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করুন এবং একটি মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র গঠন করুন।”
জাবি’র আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ও ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফ সোহেল বলেন, ” আমরা আমাদের এক দফা দাবিতে আন্দোলন চলমান রেখেছি। আজকে হঠাৎ আজকে পুলিশ প্রশাসন তাদের দায়িত্বের জায়গা থেকে আমাদের বাধা দিয়েছিলো, আমরা তাদের বাধা উপেক্ষা করে আন্দোলন চলমান রেখেছি। তারা যেমন তাদের দায়িত্ব পালন করেছে আমাদের ছাত্র সমাজেরও সারা বাংলার মানুষের প্রতি একটা দায়িত্ব আছে।আমরা সেই দায়িত্ব থেকে বৈষম্য দূর করার জন্য আন্দোলন করছি। অনেকে জনদুর্ভোগের কথা বলছে কিন্তু আমরা বলতে চাই, ইতিমধ্যে অনেক সাধারণ মানুষ আমাদের এই আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ভবিষ্যতে চাকরির পরীক্ষা দিবেন, তখন তারাও বৈষম্যের শিকার হবে। আমরা মূলত সারা বাংলার মানুষের জন্যই আন্দোলন করছি। আমরা এ আন্দোলন আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত চালিয়ে যাবো।
জনপ্রিয় সংবাদ

জাবিতে পুলিশ ও শিক্ষার্থী মুখোমুখি অবস্হান

আপডেট সময় : ০৫:৪৭:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪
চলমান আন্দোলনের মুহুর্তে আপিল বিভাগে কোটার বিষয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশের প্রতি অসন্তোষ জানিয়ে পুলিশি বাধার মুখে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আজ ১১ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য কোটাকে ন্যায্যতার ভিত্তিতে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা পদ্ধতিকে সংস্কারের দাবিতে এবং আপিল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ের প্রতি অসন্তোষ জানিয়ে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র ব্যানারে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে মিছিল বের করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গেইট (ডেইরি গেইট) অতিক্রমকালে তারা পুলিশি বাধার মুখে পড়েন। পরে তারা পুলিশের বাধাকে অগ্রাহ্য করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরুদ্ধ করে অবস্থান করেন। এ সময় বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষার্থী সবুজ বাংলা’র এ প্রতিবেদককে বলেন, “আমাদের দাবি হচ্ছে কোটা সংস্কার করে নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে। গতকাল হাইকোর্টের রায় স্থিতি করে আমাদের আন্দোলনকে দমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, কিন্তু যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের দাবি আদায় না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা আজকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছি, আমাদের এই অবরোধ সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত চলবে। আমরা সরকার পক্ষকে বলে দিতে চাই, পুলিশ প্রশাসন দিয়ে আমাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। সরকার পক্ষকে অনুরোধ করবো আপনারা আমাদের দাবি মেনে নিয়ে চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করুন এবং একটি মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র গঠন করুন।”
জাবি’র আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ও ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফ সোহেল বলেন, ” আমরা আমাদের এক দফা দাবিতে আন্দোলন চলমান রেখেছি। আজকে হঠাৎ আজকে পুলিশ প্রশাসন তাদের দায়িত্বের জায়গা থেকে আমাদের বাধা দিয়েছিলো, আমরা তাদের বাধা উপেক্ষা করে আন্দোলন চলমান রেখেছি। তারা যেমন তাদের দায়িত্ব পালন করেছে আমাদের ছাত্র সমাজেরও সারা বাংলার মানুষের প্রতি একটা দায়িত্ব আছে।আমরা সেই দায়িত্ব থেকে বৈষম্য দূর করার জন্য আন্দোলন করছি। অনেকে জনদুর্ভোগের কথা বলছে কিন্তু আমরা বলতে চাই, ইতিমধ্যে অনেক সাধারণ মানুষ আমাদের এই আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ভবিষ্যতে চাকরির পরীক্ষা দিবেন, তখন তারাও বৈষম্যের শিকার হবে। আমরা মূলত সারা বাংলার মানুষের জন্যই আন্দোলন করছি। আমরা এ আন্দোলন আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত চালিয়ে যাবো।