০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নতুন করে আরও দেড় লাখ রোহিঙ্গার প্রবেশ: জাতিসংঘ

মিয়ানমার থেকে গত ১৮ মাসে বাংলাদেশে নতুন করে প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় মানবাধিকার ওই সংস্থা। এসব রোহিঙ্গা কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরে রয়েছে। ইউএনএইচসিআর এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা ও নিপীড়ন বৃদ্ধি পাওয়ায় হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে। গত কয়েকমাসে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। অনুপ্রবেশের বর্তমান পরিসংখ্যান ২০১৭ সালের পর সবচেয়ে বেশি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উদারভাবে আশ্রয় দিয়ে আসছে বাংলাদেশ। দেশটির কক্সবাজার জেলায় নতুন করে আসা রোহিঙ্গারা মাত্র ২৪ কিলোমিটার জায়গায় আগের শরণার্থীদের সঙ্গে বসবাস করছে। এতে এই আশ্রয় শিবিরটি বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ স্থানগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে। ইউএনএইচসিআর জানায়, গত জুন পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নতুন ১ লাখ ২১ হাজার রোহিঙ্গাকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে অনেককে এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি, যদিও তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করছেন। নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
জাতিসংঘ বলছে, আগত এসব রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তার প্রয়োজন। তারা মূলত আগে থেকে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের ওপর নির্ভরশীল। বর্তমানে পর্যাপ্ত তহবিল না থাকায় খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা ও প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রীর ওপর চাপ বেড়েছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলো ব্যাহত হচ্ছে। বৈশ্বিক তহবিল সংকটের ফলে এই চাপ সৃষ্টি হয়েছে, ফলে নতুন করে আগত ও আগে থাকা রোহিঙ্গাদের প্রয়োজনীয় পরিষেবা দেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। যদি পর্যাপ্ত তহবিল না আসে তাহলে এ বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে শরণার্থী শিবিরে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। রান্নার জ্বালানি (এলপিজি) সংকটও আরও ঘনিভূত হবে। আর ডিসেম্বরের মধ্যে খাদ্য সহায়তা বন্ধ হয়ে যাবে। শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার শিশু। যার মধ্যে নতুন করে আসা ৬৩ হাজার শিশুও রয়েছে।
এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে সামান্তা শারমিনের নতুন বার্তা

নতুন করে আরও দেড় লাখ রোহিঙ্গার প্রবেশ: জাতিসংঘ

আপডেট সময় : ০৮:৫৭:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

মিয়ানমার থেকে গত ১৮ মাসে বাংলাদেশে নতুন করে প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় মানবাধিকার ওই সংস্থা। এসব রোহিঙ্গা কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরে রয়েছে। ইউএনএইচসিআর এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা ও নিপীড়ন বৃদ্ধি পাওয়ায় হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে। গত কয়েকমাসে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। অনুপ্রবেশের বর্তমান পরিসংখ্যান ২০১৭ সালের পর সবচেয়ে বেশি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উদারভাবে আশ্রয় দিয়ে আসছে বাংলাদেশ। দেশটির কক্সবাজার জেলায় নতুন করে আসা রোহিঙ্গারা মাত্র ২৪ কিলোমিটার জায়গায় আগের শরণার্থীদের সঙ্গে বসবাস করছে। এতে এই আশ্রয় শিবিরটি বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ স্থানগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে। ইউএনএইচসিআর জানায়, গত জুন পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নতুন ১ লাখ ২১ হাজার রোহিঙ্গাকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে অনেককে এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি, যদিও তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করছেন। নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
জাতিসংঘ বলছে, আগত এসব রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তার প্রয়োজন। তারা মূলত আগে থেকে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের ওপর নির্ভরশীল। বর্তমানে পর্যাপ্ত তহবিল না থাকায় খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা ও প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রীর ওপর চাপ বেড়েছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলো ব্যাহত হচ্ছে। বৈশ্বিক তহবিল সংকটের ফলে এই চাপ সৃষ্টি হয়েছে, ফলে নতুন করে আগত ও আগে থাকা রোহিঙ্গাদের প্রয়োজনীয় পরিষেবা দেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। যদি পর্যাপ্ত তহবিল না আসে তাহলে এ বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে শরণার্থী শিবিরে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। রান্নার জ্বালানি (এলপিজি) সংকটও আরও ঘনিভূত হবে। আর ডিসেম্বরের মধ্যে খাদ্য সহায়তা বন্ধ হয়ে যাবে। শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার শিশু। যার মধ্যে নতুন করে আসা ৬৩ হাজার শিশুও রয়েছে।
এমআর/সবা