জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও বাগছাসের নেতাদের ওপর ছাত্রদলের হামলার ঘটনাকে ধস্তাধস্তি বলে নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। ঘটনার ৭২ ঘন্টা পর এক বিবৃতির মাধ্যমে নিন্দা জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি। এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের দুই শিক্ষকের ওপর শাখা ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৩ জুলাই) শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড রইছ উদদীন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই দাবি করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জবিশিস)।
বিবৃতি বলা হয়, গত ১০ জুলাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের একজন শিক্ষার্থীকে কেন্দ্র করে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এ ব্যাপারে উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করছে। একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠনের (ছাত্রলীগ) এক নেতাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও শৃঙ্খলার পরিবেশকে বিঘ্নিত করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. কে এম রিফাত হাসান ও সহকারী প্রক্টর জনাব মো. শফিকুর রহমানের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনা নিন্দনীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদার পরিপন্থী বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসমাজের নিরাপত্তা, সম্মান ও পেশাগত মর্যাদা রক্ষায় শিক্ষক সমিতি সর্বদা সচেষ্ট এবং আপসহীন অবস্থানে রয়েছে।
ঘটনার তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির আজ সকাল ৯ টায় অনুষ্ঠিত সভায় উক্ত ঘটনার বিস্তারিত পর্যালোচনা শেষে শিক্ষক সমিতি ঘটনার সূত্রপাতের কারণ অনুসন্ধান ও তৎপরবর্তীতে সংঘটিত ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোরালো আবেদন জানাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং জ্ঞানচর্চা উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করতে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন বলেও দাবি করা হয় বিবৃতিতে।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ‘যেই হাত শিক্ষক মারে, সেই হাত ভেঙে দাও’, ‘ছাত্রদলের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘এক দুই তিন চার, অছাত্ররা ক্যাম্পাস ছাড়’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘ম্যানেজমেন্টের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘জবি প্রশাসন, লজ্জা লজ্জা’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এরকম গুন্ডামি কোনোভাবেই কাম্য নয়। একটি বিভাগে গিয়ে শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক ট্যাগ দেওয়া এবং শিক্ষকের ওপর হামলা করতে পারে না। এ ঘটনার বিচার প্রশাসনকে করতে হবে।


























