০২:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক: ভেলকিবাজিতে ২২৫৯ কোটি টাকা লুট

বিতর্কিত এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ২০২৩ সালের আর্থিক প্রতিবেদন এখন প্রমাণিতভাবে একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত জালিয়াতি হিসেবে সামনে এসেছে, যেখানে ব্যাংকটির প্রকৃত আর্থিক অবস্থার সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদন জালিয়াতি করে ‘ভেলকিবাজি’র মাধ্যমে প্রায় ২২৫৯ কোটি টাকার লোকসান লুকিয়ে শতকোটি টাকার মুনাফা দেখানো হয়েছে। এর মাধ্যমে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ লুটপাট করা হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সদ্য প্রকাশিত এক অডিট প্রতিবেদনে চাঞ্চল্যকর এই জালিয়াতির তথ্য উঠে এসেছে, যেখানে দেখা গেছে, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক প্রকৃতপক্ষে ২২৫৯ কোটি টাকার বিশাল লোকসান দিলেও, ব্যাংকটির ব্যালেন্স শিট বা স্থিতিপত্রে কারসাজির মাধ্যমে দেখিয়েছে ১২৮ কোটি টাকার মুনাফা। এদিকে ব্যাংকটির ৫ শতাংশ নগদ এবং ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ট বা লভ্যাংশ ঘোষণার সিদ্ধান্ত এই প্রতারণাকে আরও গভীর করেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যদি এই ঘোষণা অনুমোদিত হতো, তাহলে এই ভুয়া ১২৮ কোটি টাকার তথাকথিত মুনাফা মূলত বিতরণ হতো এস আলম, তার পরিবার এবং সহযোগীদের সঙ্গে যুক্ত শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই আর্থিক ভেলকিবাজির জন্য ব্যাংকটির তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদ অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ‘উইন্ডো ড্রেসিং’-এর আশ্রয় নেয়। তারা ব্যাংকটির বিপুল পরিমাণ মন্দ ঋণ (নন-পারফর্মিং লোন) গোপন করে, যা প্রভিশনিংয়ের বাধ্যবাধকতা এড়াতে ও কৃত্রিমভাবে মুনাফা বাড়িয়ে দেখাতে করা হয়েছিল। ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট ব্যাংকের নির্ধারিত বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এই জালিয়াতিপূর্ণ হিসাব অনুমোদনের কথাও ছিল, যেটি আর অনুষ্ঠিত হয়নি। সভাটি বাতিল করা হয় ঠিক তিন দিন আগে, ৫ আগস্ট, যেদিন ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক এক গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। লীগের এই রাজনৈতিক বিপর্যয় অজান্তে হলেও সেই ১২৮ কোটি টাকার ‘ভুয়া’ মুনাফা বিতরণকে ঠেকিয়ে দেয়। না হলে এসব অর্থ মূলত এই ভাঁওতাবাজির নেপথ্য কুশীলবদেরই পকেটে যাওয়ার কথা ছিল।
এদিকে, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক এবং বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আমিন এই কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে এনেছেন। তিনি জানিয়েছেন, শুধু ২০২৩ সালের প্রতিবেদনই নয়, আগের কয়েক বছরের আর্থিক প্রতিবেদনগুলোর নির্ভরযোগ্যতা নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন রয়েছে। ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদনে পরিসংখ্যানগত দুর্নীতি হয়েছে মন্তব্য করেন নুরুল আমিন। প্রকৃত খেলাপি ঋণের (এনপিএল) পরিমাণ গোপন রাখা হয়েছিল। যেসব ঋণ খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার কথা, সেগুলোকে নিয়মিত হিসেবে দেখানো হয়েছে, যাতে খেলাপির হার কম দেখানো যায় এবং মুনাফা কৃত্রিমভাবে বাড়ানো যায়। জানা গেছে, ২০২৩ সালে ব্যাংকটি তাদের খেলাপি ঋণ ৩ শতাংশেরও কম দেখিয়েছিল। অথচ প্রকৃত এনপিলের হার ছিল অনেক বেশি, ২০২৪ সালে তা ৮৭ থেকে ৯০ শতাংশে পৌঁছেছে। বিপুল এই পার্থক্যই বলে দেয়, কীভাবে প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি ব্যাংককে চটকদার বার্ষিক প্রতিবেদনের আড়ালে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।
এদিকে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ২০২৩ সালের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন যাচাইকারী অডিট প্রতিষ্ঠান শফিক বসাক অ্যান্ড কো. চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস এখন বিতর্কের মূল কেন্দ্রে। ব্যাংকিং ও পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি), ওই হিসাবে স্বাক্ষরকারী অডিটরসহ সব পক্ষের ভূমিকা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই ভুল প্রতিবেদন বা জালিয়াতি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ নাকি অডিটরদের কাছ থেকে এসেছে, তা নির্ধারণ করতে হবে, এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ারও সুযোগ রয়েছে। তারা বলছেন, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ২০২৩ সালের প্রতিবেদনটি চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার প্রক্রিয়ায় একাধিক পক্ষ জড়িত ছিল। এই অনিয়মের পেছনে মূলত সবারই দায়িত্বজ্ঞানহীন ভূমিকা রয়েছে।
এদিকে ২০২৩ সালের প্রথম আর্থিক প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট ১৩১৪১ কোটি টাকা বিতরণকৃত ঋণের মধ্যে খেলাপি ঋণ (এনপিএল) ছিল ৩৪২.৭২ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের মাত্র ২.৬১ শতাংশ। তবে ব্যাংকটির সূত্রগুলো জানিয়েছে, প্রকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ ইচ্ছাকৃতভাবে কম দেখানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিযুক্ত অডিটরদের করা নিরীক্ষায় দেখা গেছে, প্রকৃত খেলাপির পরিমাণ ছিল ২০২৮ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের প্রায় ২৫ শতাংশ। ব্যাংকটির কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে খেলাপি ঋণ আরও বাড়বে এবং লোকসানের পরিমাণ আবারও ২০০০ কোটি টাকার ঘর ছাড়াতে পারে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মুখপাত্র আবুল কালাম জানান, কমিশন বিষয়টি তদন্ত করবে। কোনো অনিয়ম প্রমাণিত হলে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান বোর্ড চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আমিন বলেন, শুধু ২০২৩ সাল নয়, আগের কয়েক বছরের আর্থিক প্রতিবেদনগুলোর নির্ভরযোগ্যতা নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন রয়েছে। ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদনে পরিসংখ্যানগত দুর্নীতি হয়েছে। আগের ম্যানেজমেন্টের সময় ব্যাংকের প্রকৃত আর্থিক অবস্থা গোপন রাখা হয়েছিল। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার সময় ব্যাংকে মারাত্মক তারল্য সংকট ছিল। আমরা ব্যাংকটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি। ব্যয় সংকোচন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তারল্য সহায়তা চেয়ে ব্যাংক পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা চলছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক: ভেলকিবাজিতে ২২৫৯ কোটি টাকা লুট

আপডেট সময় : ০৭:৩৬:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

বিতর্কিত এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ২০২৩ সালের আর্থিক প্রতিবেদন এখন প্রমাণিতভাবে একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত জালিয়াতি হিসেবে সামনে এসেছে, যেখানে ব্যাংকটির প্রকৃত আর্থিক অবস্থার সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদন জালিয়াতি করে ‘ভেলকিবাজি’র মাধ্যমে প্রায় ২২৫৯ কোটি টাকার লোকসান লুকিয়ে শতকোটি টাকার মুনাফা দেখানো হয়েছে। এর মাধ্যমে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ লুটপাট করা হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সদ্য প্রকাশিত এক অডিট প্রতিবেদনে চাঞ্চল্যকর এই জালিয়াতির তথ্য উঠে এসেছে, যেখানে দেখা গেছে, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক প্রকৃতপক্ষে ২২৫৯ কোটি টাকার বিশাল লোকসান দিলেও, ব্যাংকটির ব্যালেন্স শিট বা স্থিতিপত্রে কারসাজির মাধ্যমে দেখিয়েছে ১২৮ কোটি টাকার মুনাফা। এদিকে ব্যাংকটির ৫ শতাংশ নগদ এবং ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ট বা লভ্যাংশ ঘোষণার সিদ্ধান্ত এই প্রতারণাকে আরও গভীর করেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যদি এই ঘোষণা অনুমোদিত হতো, তাহলে এই ভুয়া ১২৮ কোটি টাকার তথাকথিত মুনাফা মূলত বিতরণ হতো এস আলম, তার পরিবার এবং সহযোগীদের সঙ্গে যুক্ত শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই আর্থিক ভেলকিবাজির জন্য ব্যাংকটির তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদ অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ‘উইন্ডো ড্রেসিং’-এর আশ্রয় নেয়। তারা ব্যাংকটির বিপুল পরিমাণ মন্দ ঋণ (নন-পারফর্মিং লোন) গোপন করে, যা প্রভিশনিংয়ের বাধ্যবাধকতা এড়াতে ও কৃত্রিমভাবে মুনাফা বাড়িয়ে দেখাতে করা হয়েছিল। ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট ব্যাংকের নির্ধারিত বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এই জালিয়াতিপূর্ণ হিসাব অনুমোদনের কথাও ছিল, যেটি আর অনুষ্ঠিত হয়নি। সভাটি বাতিল করা হয় ঠিক তিন দিন আগে, ৫ আগস্ট, যেদিন ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক এক গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। লীগের এই রাজনৈতিক বিপর্যয় অজান্তে হলেও সেই ১২৮ কোটি টাকার ‘ভুয়া’ মুনাফা বিতরণকে ঠেকিয়ে দেয়। না হলে এসব অর্থ মূলত এই ভাঁওতাবাজির নেপথ্য কুশীলবদেরই পকেটে যাওয়ার কথা ছিল।
এদিকে, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক এবং বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আমিন এই কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে এনেছেন। তিনি জানিয়েছেন, শুধু ২০২৩ সালের প্রতিবেদনই নয়, আগের কয়েক বছরের আর্থিক প্রতিবেদনগুলোর নির্ভরযোগ্যতা নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন রয়েছে। ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদনে পরিসংখ্যানগত দুর্নীতি হয়েছে মন্তব্য করেন নুরুল আমিন। প্রকৃত খেলাপি ঋণের (এনপিএল) পরিমাণ গোপন রাখা হয়েছিল। যেসব ঋণ খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার কথা, সেগুলোকে নিয়মিত হিসেবে দেখানো হয়েছে, যাতে খেলাপির হার কম দেখানো যায় এবং মুনাফা কৃত্রিমভাবে বাড়ানো যায়। জানা গেছে, ২০২৩ সালে ব্যাংকটি তাদের খেলাপি ঋণ ৩ শতাংশেরও কম দেখিয়েছিল। অথচ প্রকৃত এনপিলের হার ছিল অনেক বেশি, ২০২৪ সালে তা ৮৭ থেকে ৯০ শতাংশে পৌঁছেছে। বিপুল এই পার্থক্যই বলে দেয়, কীভাবে প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি ব্যাংককে চটকদার বার্ষিক প্রতিবেদনের আড়ালে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।
এদিকে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ২০২৩ সালের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন যাচাইকারী অডিট প্রতিষ্ঠান শফিক বসাক অ্যান্ড কো. চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস এখন বিতর্কের মূল কেন্দ্রে। ব্যাংকিং ও পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি), ওই হিসাবে স্বাক্ষরকারী অডিটরসহ সব পক্ষের ভূমিকা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই ভুল প্রতিবেদন বা জালিয়াতি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ নাকি অডিটরদের কাছ থেকে এসেছে, তা নির্ধারণ করতে হবে, এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ারও সুযোগ রয়েছে। তারা বলছেন, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ২০২৩ সালের প্রতিবেদনটি চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার প্রক্রিয়ায় একাধিক পক্ষ জড়িত ছিল। এই অনিয়মের পেছনে মূলত সবারই দায়িত্বজ্ঞানহীন ভূমিকা রয়েছে।
এদিকে ২০২৩ সালের প্রথম আর্থিক প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট ১৩১৪১ কোটি টাকা বিতরণকৃত ঋণের মধ্যে খেলাপি ঋণ (এনপিএল) ছিল ৩৪২.৭২ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের মাত্র ২.৬১ শতাংশ। তবে ব্যাংকটির সূত্রগুলো জানিয়েছে, প্রকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ ইচ্ছাকৃতভাবে কম দেখানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিযুক্ত অডিটরদের করা নিরীক্ষায় দেখা গেছে, প্রকৃত খেলাপির পরিমাণ ছিল ২০২৮ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের প্রায় ২৫ শতাংশ। ব্যাংকটির কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে খেলাপি ঋণ আরও বাড়বে এবং লোকসানের পরিমাণ আবারও ২০০০ কোটি টাকার ঘর ছাড়াতে পারে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মুখপাত্র আবুল কালাম জানান, কমিশন বিষয়টি তদন্ত করবে। কোনো অনিয়ম প্রমাণিত হলে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান বোর্ড চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আমিন বলেন, শুধু ২০২৩ সাল নয়, আগের কয়েক বছরের আর্থিক প্রতিবেদনগুলোর নির্ভরযোগ্যতা নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন রয়েছে। ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদনে পরিসংখ্যানগত দুর্নীতি হয়েছে। আগের ম্যানেজমেন্টের সময় ব্যাংকের প্রকৃত আর্থিক অবস্থা গোপন রাখা হয়েছিল। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার সময় ব্যাংকে মারাত্মক তারল্য সংকট ছিল। আমরা ব্যাংকটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি। ব্যয় সংকোচন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তারল্য সহায়তা চেয়ে ব্যাংক পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা চলছে।