১০:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছয় বছর পার হলেও ছেলে হত্যার বিচার পাইনি: শহীদ আবরারের বাবা

বুয়েটের মেধাবী ছাত্র শহীদ আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ বলেছেন, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছে আমার ছেলে। তার হত্যাকাণ্ডের ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও পূর্ণ বিচার এখনো হয়নি।

শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। বরকত উল্লাহ বলেন, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে আমার ছেলে আবরার ফাহাদকে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে রাতভর নির্যাতন করে হত্যা করে ছাত্রলীগ। তার একমাত্র অপরাধ ছিল– সে দেশের পক্ষে কথা বলেছিল।

তিনি বলেন, ভারতীয় আধিপত্য, আগ্রাসন এবং তৎকালীন সরকারের সঙ্গে ভারতের কিছু অবৈধ চুক্তির বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিল আবরার ফাহাদ।

আবরার ফাহাদের বাবা বলেন, আবরার লিখেছিল– ভারত গোপন চুক্তিতে ফেনী নদীর পানি নিচ্ছে, আমরা ইলিশ পাচ্ছি না, অথচ আমাদের ইলিশ কম দামে ভারতে পাঠানো হচ্ছে। এ কথা বলার জন্য তাকে হত্যা করা হয়েছে।

খুনি হাসিনার সরকার সে সময় একতরফা নীতিতে বৈষম্য তৈরি করেছিল বলে জানান তিনি। বরকত উল্লাহ বলেন, আজ ছয় বছর পেরিয়ে গেছে, আমি এখনো ছেলের হত্যার বিচার পাইনি। আমি ন্যায়বিচার চাই– এটাই একজন বাবার আহ্বান।

আবরারের বাবা আরও বলেন, এখনো দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে র্যাগিং হয়। এখন তো ড. ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার এসেছে, তাহলে কেন এসব বন্ধ হবে না?

তিনি অভিযোগ করেন, জুলাই-আগস্টে যেসব তরুণ শহীদ হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার তাদের তালিকা করেছে, এটা ভালো। কিন্তু ছাত্রলীগের হাতে র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে যারা মারা গেছে, তাদের কোনো তালিকা নেই। আমি অনুরোধ করব– এ ধরনের মৃত্যুরও একটি রাষ্ট্রীয় তালিকা তৈরি হোক।

বরকত উল্লাহ বলেন, আমার ছেলে নিজের দেশকে ভালোবেসেছিল, সেটাই ছিল তার অপরাধ। আমি বারবার বিচার চাইছি, এখনো সেই প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ। আমি দেশের বিবেকবান মানুষদের কাছে অনুরোধ জানাই– আবরারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করুন।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

নায়ক রিয়াজের মৃত্যুসংবাদ ফেসবুকে, যা জানাল পরিবার

ছয় বছর পার হলেও ছেলে হত্যার বিচার পাইনি: শহীদ আবরারের বাবা

আপডেট সময় : ০৭:২১:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

বুয়েটের মেধাবী ছাত্র শহীদ আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ বলেছেন, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছে আমার ছেলে। তার হত্যাকাণ্ডের ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও পূর্ণ বিচার এখনো হয়নি।

শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। বরকত উল্লাহ বলেন, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে আমার ছেলে আবরার ফাহাদকে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে রাতভর নির্যাতন করে হত্যা করে ছাত্রলীগ। তার একমাত্র অপরাধ ছিল– সে দেশের পক্ষে কথা বলেছিল।

তিনি বলেন, ভারতীয় আধিপত্য, আগ্রাসন এবং তৎকালীন সরকারের সঙ্গে ভারতের কিছু অবৈধ চুক্তির বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিল আবরার ফাহাদ।

আবরার ফাহাদের বাবা বলেন, আবরার লিখেছিল– ভারত গোপন চুক্তিতে ফেনী নদীর পানি নিচ্ছে, আমরা ইলিশ পাচ্ছি না, অথচ আমাদের ইলিশ কম দামে ভারতে পাঠানো হচ্ছে। এ কথা বলার জন্য তাকে হত্যা করা হয়েছে।

খুনি হাসিনার সরকার সে সময় একতরফা নীতিতে বৈষম্য তৈরি করেছিল বলে জানান তিনি। বরকত উল্লাহ বলেন, আজ ছয় বছর পেরিয়ে গেছে, আমি এখনো ছেলের হত্যার বিচার পাইনি। আমি ন্যায়বিচার চাই– এটাই একজন বাবার আহ্বান।

আবরারের বাবা আরও বলেন, এখনো দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে র্যাগিং হয়। এখন তো ড. ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার এসেছে, তাহলে কেন এসব বন্ধ হবে না?

তিনি অভিযোগ করেন, জুলাই-আগস্টে যেসব তরুণ শহীদ হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার তাদের তালিকা করেছে, এটা ভালো। কিন্তু ছাত্রলীগের হাতে র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে যারা মারা গেছে, তাদের কোনো তালিকা নেই। আমি অনুরোধ করব– এ ধরনের মৃত্যুরও একটি রাষ্ট্রীয় তালিকা তৈরি হোক।

বরকত উল্লাহ বলেন, আমার ছেলে নিজের দেশকে ভালোবেসেছিল, সেটাই ছিল তার অপরাধ। আমি বারবার বিচার চাইছি, এখনো সেই প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ। আমি দেশের বিবেকবান মানুষদের কাছে অনুরোধ জানাই– আবরারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করুন।

এমআর/সবা