জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “মুজিববাদের হাত থেকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ রক্ষা করতে হবে।” তিনি বলেন, “মুজিববাদ নানা ছলে-বলে মাথা চাড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছে। মুজিববাদের রাজনীতি বাংলাদেশে আর হবে না। মুজিববাদ মানে একদলীয় শাসনব্যবস্থা, লুটপাট, দুর্নীতি, ইসলামবিদ্বেষ, সংখ্যালঘুদের জমি দখল, ভারতের কাছে দেশ বর্গা দেওয়ার রাজনীতি।”
আজ শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুরে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সুনামগঞ্জ শহরের আলফাত স্কয়ারে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “মুজিববাদের বিরুদ্ধে আমাদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী জনগণ মুজিববাদের প্রতারণা বুঝে ফেলেছে।”
তিনি আরও বলেন, “ফিটনেসবিহীন রাষ্ট্র মেরামতের জন্যই এনসিপির জন্ম। ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে ছাত্র-জনতা শেখ হাসিনাকে উৎখাত করেছে। কিন্তু নতুন বাংলাদেশ ও নতুন বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে। শেখ হাসিনা একটি ভেঙে পড়া রাষ্ট্র আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে গেছেন।”
পথসভা শুরুর আগে জুলাই আন্দোলনে নিহত ও আহত পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলেন এনসিপি নেতারা। পরে সুনামগঞ্জের কেন্দ্রীয় মসজিদে জুমার নামাজ শেষে পদযাত্রা করে শহরের আলফাত স্কয়ারে এসে পথসভায় যোগ দেন।
সভাটি সঞ্চালনা করেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক রায়। বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা সমন্বয়কারী দেওয়ান সাজাউর রাজা চৌধুরী (সুমন রাজা), দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক এহতেশামুল হক, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানা দিনা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমীন, ও যুগ্ম সদস্যসচিব জয়নাল আবেদীন শিশির প্রমুখ।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, “মানুষের জীবনের নিরাপত্তা, মানবিক মর্যাদা ও সমস্যা সমাধান—এই তিনটি বিষয়ই এখনকার রাজনীতির প্রধান প্রতিপাদ্য। আমাদের পদযাত্রা সেই উপলব্ধিরই বহিঃপ্রকাশ।”
দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “যারা এনসিপি করতে চায়, তাদের ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। আমরা বলতে চাই, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এনসিপিকে শক্তিশালী করুন। সুনামগঞ্জে সরকার আসে-যায়, কিন্তু উন্নয়ন হয় না। সেই অবস্থা পাল্টাতে সবাইকে সংঘবদ্ধ হতে হবে।”
সুনামগঞ্জ জেলা সমন্বয়কারী সুমন রাজা বলেন, “চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমরা বিপ্লব করেছিলাম। কিন্তু আজও চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি দূর হয়নি। বৈষম্যের অবসানে সুনামগঞ্জের মানুষ এনসিপির পাশে আছে এবং থাকবে। তরুণদের হাত শক্তিশালী করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”
এমআর/সবা

























