ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে ইসলামি ছাত্রশিবিরের আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে মতিউর রহমান নিজামী, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, আব্দুল কাদের মোল্লাসহ যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছবি প্রদর্শন করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দফতর সম্পাদক মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামীর সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) প্রাঙ্গণে ইসলামি ছাত্রশিবির একটি ছবি প্রদর্শনীতে তাদের সংগঠনের কিছু স্বীকৃত গণহত্যাকারী রাজাকারের ছবির পাশাপাশি ২০১৩ সালে শাহবাগ আন্দোলনের নামে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের সৃষ্ট মব জাস্টিস এবং স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত রোষানলের শিকার সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছবি প্রদর্শন করেছে।
‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উক্ত ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছে এবং ইসলামি ছাত্রশিবির কর্তৃক ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার সাথে জড়িত রাজাকারদের মহান মুক্তিযুদ্ধের আঁতুড়ঘর হিসেবে খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস, যেখানে সর্বপ্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র-খচিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল, সেখানে জবরদস্তিমূলকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার জঘন্য অপচেষ্টাকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে।’
শিবিরের এমন কার্যক্রমকে ‘২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানকে’ ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টা বলে উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস এবং সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন।
ছাত্রদল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কিছুক্ষণ আগে টিএসসিতে মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত নেতাদের ছবি প্রদর্শন নিয়ে বাম ছাত্র সংগঠন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা এবং বাকবিতণ্ডা দেখা যায়। বাম সংগঠনের চাপে সন্ধ্যার আগেই মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত নেতাদের ছবিগুলো সরিয়ে নেয় ঢাবি প্রশাসন। এরপর তারা টিএসসিতে শিবিরের এই কার্যক্রম বন্ধেরও দাবি তোলেন। পরে বাম সংগঠনগুলোর সঙ্গে সেই দাবিতে যোগ দেন বাগছাসের নেতারাও। আর সেটা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক এবং পাল্টাপাল্টি স্লোগান দেয়ার ঘটনাও ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি শান্ত করা হয়।






















