১০:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লামার ক্রীড়াঙ্গন: মাঠ আছে, খেলার পরিবেশ নেই

বান্দরবানের লামা উপজেলায় খেলার মাঠের সংখ্যা অপ্রতুল। প্রশস্ত মাঠের অভাব এবং পুরাতন মাঠের দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় তরুণ সমাজ ক্রীড়াঙ্গন থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। এর ফলে শিশুরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, যা তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। অনেক শিক্ষার্থী মোবাইল গেমিং, মাদক, জুয়া ও অনৈতিক কার্যকলাপে ঝুঁকছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, লামা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠটি কাদায় ভরা ও বেহাল অবস্থায়। মাঠের মূল ফটকের আশেপাশে আবর্জনার স্তূপ এবং নোংরা পানি জমে আছে। এতে খেলতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রায়ই গুরুতর আহত হন। প্রধান শিক্ষক জানান, পর্যাপ্ত তহবিলের অভাবে তারা মাঠ সংস্কারে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছেন না।

টিটিএনডিসি মাঠেরও একই অবস্থা। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় অসমতল ও খেলার অযোগ্য হয়ে গেছে। পুরো মাঠ জুড়ে খুঁটি পোঁতার গর্ত থাকায় শিশুদের জন্য খেলাধুলা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা মাঠের সীমানা প্রাচীর ও ব্যবহারযোগ্য করার দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয়দের বক্তব্য, একসময় লামা থেকে অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় উঠে এসেছে, কিন্তু বর্তমানে উপযুক্ত মাঠের অভাবে ক্রীড়াঙ্গনে পিছিয়ে পড়েছে। যুবসমাজ, অভিভাবক ও ক্রীড়া সংগঠনগুলো দ্রুত মাঠ সংস্কার ও আধুনিকায়নের দাবি জানিয়েছেন।

ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাব ও চট্টগ্রাম কিষোয়ান স্পোর্টিং ক্লাব থেকে চ্যাম্পিয়ন হওয়া লামার সন্তান মো. আরিফ মিয়া বলেন, “পর্যাপ্ত মাঠের অভাবে আমাদের লামা ক্রীড়াঙ্গনের দিক দিয়ে পিছিয়ে। অন্যত্র গিয়ে প্র্যাকটিস করতে হয়। অন্তত হাইস্কুলের মাঠটি সংস্কার করলে ক্রীড়াঙ্গনে লামা অনেক এগোবে।”

এ বিষয়ে লামা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির আহবায়ক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মো. মাঈন উদ্দীন বলেন, “মাঠের দুরবস্থার বিষয়টি লক্ষ্য করেছি। সমস্যার সমাধানে অতি দ্রুত মাঠের সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।”

জনপ্রিয় সংবাদ

লামার ক্রীড়াঙ্গন: মাঠ আছে, খেলার পরিবেশ নেই

আপডেট সময় : ০৯:১৫:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

বান্দরবানের লামা উপজেলায় খেলার মাঠের সংখ্যা অপ্রতুল। প্রশস্ত মাঠের অভাব এবং পুরাতন মাঠের দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় তরুণ সমাজ ক্রীড়াঙ্গন থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। এর ফলে শিশুরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, যা তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। অনেক শিক্ষার্থী মোবাইল গেমিং, মাদক, জুয়া ও অনৈতিক কার্যকলাপে ঝুঁকছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, লামা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠটি কাদায় ভরা ও বেহাল অবস্থায়। মাঠের মূল ফটকের আশেপাশে আবর্জনার স্তূপ এবং নোংরা পানি জমে আছে। এতে খেলতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রায়ই গুরুতর আহত হন। প্রধান শিক্ষক জানান, পর্যাপ্ত তহবিলের অভাবে তারা মাঠ সংস্কারে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছেন না।

টিটিএনডিসি মাঠেরও একই অবস্থা। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় অসমতল ও খেলার অযোগ্য হয়ে গেছে। পুরো মাঠ জুড়ে খুঁটি পোঁতার গর্ত থাকায় শিশুদের জন্য খেলাধুলা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা মাঠের সীমানা প্রাচীর ও ব্যবহারযোগ্য করার দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয়দের বক্তব্য, একসময় লামা থেকে অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় উঠে এসেছে, কিন্তু বর্তমানে উপযুক্ত মাঠের অভাবে ক্রীড়াঙ্গনে পিছিয়ে পড়েছে। যুবসমাজ, অভিভাবক ও ক্রীড়া সংগঠনগুলো দ্রুত মাঠ সংস্কার ও আধুনিকায়নের দাবি জানিয়েছেন।

ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাব ও চট্টগ্রাম কিষোয়ান স্পোর্টিং ক্লাব থেকে চ্যাম্পিয়ন হওয়া লামার সন্তান মো. আরিফ মিয়া বলেন, “পর্যাপ্ত মাঠের অভাবে আমাদের লামা ক্রীড়াঙ্গনের দিক দিয়ে পিছিয়ে। অন্যত্র গিয়ে প্র্যাকটিস করতে হয়। অন্তত হাইস্কুলের মাঠটি সংস্কার করলে ক্রীড়াঙ্গনে লামা অনেক এগোবে।”

এ বিষয়ে লামা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির আহবায়ক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মো. মাঈন উদ্দীন বলেন, “মাঠের দুরবস্থার বিষয়টি লক্ষ্য করেছি। সমস্যার সমাধানে অতি দ্রুত মাঠের সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।”