০৭:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পোশাক খাতে বাড়ছে ক্রয়াদেশ, নিরবচ্ছিন গ্যাস-বিদ্যুত চান ব্যবসায়ীরা

আসছে গ্রীষ্ম মৌসুমে দেশীয় কারখানাগুলোয় আমেরিকার তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশ বাড়তে পারে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত। উচ্চ শুল্কের কারণে প্রতিবেশী ভারত এবং চীন থেকেও স্থানান্তর হচ্ছে ক্রয়াদেশ। এ ছাড়া ফিরতে শুরু করেছে স্থগিত হওয়া ক্রয়াদেশও। তবে, বাড়তি ক্রয়াদেশ ধরে রাখতে সরকারের সহযোগিতার পাশাপাশি গ্যাস-বিদ্যুতের নিরবিচ্ছিন সরবরাহ চান ব্যবসায়ীরা।
আমেরিকার শীর্ষ ১০ পোশাক রপ্তানিকারক ভিয়েতনাম, চীন, বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, হন্ডুরাস, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান ও কোরিয়া। এর মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিযোগী হচ্ছে ভিয়েতনাম, চীন, ভারত। ট্রাম্প প্রশাসনের উচ্চ শুল্কের জেরে এখন তুলনামূলক ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ। গত দুই সপ্তাহে মার্কিন ক্রেতাদের কাছ থেকে আসতে শুরু করেছে বাড়তি ক্রয়াদেশ। এছাড়া, বাতিল হওয়া অর্ডারও ফিরছে এখন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগামী কয়েক মাসে ক্রয়াদেশ বাড়তে পারে ৮ থেকে ১০ শতাংশ। আর গ্রীষ্মে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত। শুধু তাই নয়, মার্কিন ক্রয়াদেশ ধরে রাখার কৌশল হিসেবে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। এ ছাড়া চীনা বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ তৈরি পোশাক কারখানা স্থাপনে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
বিকেএমইএ এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘বেশির ভাগ কারখানায় ক্রয়াদেশ আমাদের সক্ষমতার তুলনায় কম আছে। তবে, বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে, ক্রয়াদেশ বাড়বে। কোথাও কোথাও যেমন আমার কারখানায় টপআপ পরিমাণের অর্ডার দিয়েছিল কিন্তু আমি নিতে পারিনি। কারণ যে সময় দিয়েছিল সেই সময়ের মধ্যে আমার শিপমেন্ট করা সম্ভব হবে না। শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, ইউরোপ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াতেও চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের। যা রপ্তানিকারকদের শঙ্কা কাটিয়ে আশা জাগাবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থনীতিবিদ মাহফুজ কবীর বলেন, ‘বাংলাদেশকে যে দামের প্রস্তাব দেওয়া হয়, সেই দামে কিন্তু ভারত কাজ করবে না। সুতরাং আমরা একটা সুবিধাজনক অবস্থানে আছি। নতুন যে অর্ডারগুলো আসছে সে অর্ডারগুলো যদি আমরা নিতে পারি বা নেওয়ার সুযোগ থাকে তাহলে এরকম আরও অর্ডার আসতে থাকবে সামনের দিনগুলোতে। তবে, নতুন সুযোগের সঙ্গে যোগ হয়েছে চ্যালেঞ্জও। অর্থনীতিবিদদের মতে, বিদ্যুৎ-গ্যাসের সংকট, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য প্রতিযোগিতা মোকাবিলা করতে হবে এ খাতকে। মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘ব্যাংকিং খাতের সমস্যাগুলি প্রকট আকার ধারণ করেছে। সুতার সংকট আছে, গ্যাসের সংকট আছে। এল ফলে ডায়িং করে এই সময়ের মধ্যে আমি অর্ডার আমি শেষ করে শিপমেন্ট করতে পারব না বলেই এই বড় পরিমাণ কাজের অর্ডার নেই নাই।
আমেরিকা রপ্তানি হওয়া বাংলাদেশি পণ্যের ৮৬ শতাংশের বেশি তৈরি পোশাক। গত অর্থবছর রপ্তানি হয়েছে ৭৫৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

পোশাক খাতে বাড়ছে ক্রয়াদেশ, নিরবচ্ছিন গ্যাস-বিদ্যুত চান ব্যবসায়ীরা

আপডেট সময় : ০৭:৪২:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

আসছে গ্রীষ্ম মৌসুমে দেশীয় কারখানাগুলোয় আমেরিকার তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশ বাড়তে পারে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত। উচ্চ শুল্কের কারণে প্রতিবেশী ভারত এবং চীন থেকেও স্থানান্তর হচ্ছে ক্রয়াদেশ। এ ছাড়া ফিরতে শুরু করেছে স্থগিত হওয়া ক্রয়াদেশও। তবে, বাড়তি ক্রয়াদেশ ধরে রাখতে সরকারের সহযোগিতার পাশাপাশি গ্যাস-বিদ্যুতের নিরবিচ্ছিন সরবরাহ চান ব্যবসায়ীরা।
আমেরিকার শীর্ষ ১০ পোশাক রপ্তানিকারক ভিয়েতনাম, চীন, বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, হন্ডুরাস, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান ও কোরিয়া। এর মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিযোগী হচ্ছে ভিয়েতনাম, চীন, ভারত। ট্রাম্প প্রশাসনের উচ্চ শুল্কের জেরে এখন তুলনামূলক ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ। গত দুই সপ্তাহে মার্কিন ক্রেতাদের কাছ থেকে আসতে শুরু করেছে বাড়তি ক্রয়াদেশ। এছাড়া, বাতিল হওয়া অর্ডারও ফিরছে এখন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগামী কয়েক মাসে ক্রয়াদেশ বাড়তে পারে ৮ থেকে ১০ শতাংশ। আর গ্রীষ্মে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত। শুধু তাই নয়, মার্কিন ক্রয়াদেশ ধরে রাখার কৌশল হিসেবে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। এ ছাড়া চীনা বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ তৈরি পোশাক কারখানা স্থাপনে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
বিকেএমইএ এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘বেশির ভাগ কারখানায় ক্রয়াদেশ আমাদের সক্ষমতার তুলনায় কম আছে। তবে, বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে, ক্রয়াদেশ বাড়বে। কোথাও কোথাও যেমন আমার কারখানায় টপআপ পরিমাণের অর্ডার দিয়েছিল কিন্তু আমি নিতে পারিনি। কারণ যে সময় দিয়েছিল সেই সময়ের মধ্যে আমার শিপমেন্ট করা সম্ভব হবে না। শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, ইউরোপ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াতেও চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের। যা রপ্তানিকারকদের শঙ্কা কাটিয়ে আশা জাগাবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থনীতিবিদ মাহফুজ কবীর বলেন, ‘বাংলাদেশকে যে দামের প্রস্তাব দেওয়া হয়, সেই দামে কিন্তু ভারত কাজ করবে না। সুতরাং আমরা একটা সুবিধাজনক অবস্থানে আছি। নতুন যে অর্ডারগুলো আসছে সে অর্ডারগুলো যদি আমরা নিতে পারি বা নেওয়ার সুযোগ থাকে তাহলে এরকম আরও অর্ডার আসতে থাকবে সামনের দিনগুলোতে। তবে, নতুন সুযোগের সঙ্গে যোগ হয়েছে চ্যালেঞ্জও। অর্থনীতিবিদদের মতে, বিদ্যুৎ-গ্যাসের সংকট, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য প্রতিযোগিতা মোকাবিলা করতে হবে এ খাতকে। মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘ব্যাংকিং খাতের সমস্যাগুলি প্রকট আকার ধারণ করেছে। সুতার সংকট আছে, গ্যাসের সংকট আছে। এল ফলে ডায়িং করে এই সময়ের মধ্যে আমি অর্ডার আমি শেষ করে শিপমেন্ট করতে পারব না বলেই এই বড় পরিমাণ কাজের অর্ডার নেই নাই।
আমেরিকা রপ্তানি হওয়া বাংলাদেশি পণ্যের ৮৬ শতাংশের বেশি তৈরি পোশাক। গত অর্থবছর রপ্তানি হয়েছে ৭৫৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক।