০৭:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার মানে জনপ্রশ্ন, অভিভাবকদের উদ্বেগ

নেত্রকোণা প্রতিনিধি

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড আর সে ক্ষেত্রে শিক্ষক শিক্ষার মেরুদণ্ড সেটাই স্বাভাবিক। মেরুদণ্ডহীন জাতির পক্ষে কোন ভাবেই উন্নতির শিখরে আরোহন সম্ভব নয়। তাই মানুষের মৌলিক অধিকারের অন্যতম অধিকার হলো শিক্ষা।

অস্থিতিশীল শিক্ষানীতি ও পাঠ্যক্রমের রূপ বদলের সংঘাতে শিক্ষার সুষ্ঠু ধারা ব্যাহত। কালক্রমে আজ সৃজনশীল। ২০০৮ সালে সৃজনশীল শুরু। শিক্ষার্থীদের মুখস্ত রীতি কে বিদায় দিয়ে নিজেদের বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে নব সৃষ্টিই সৃজনশীলতা। শিক্ষায় সৃজনশীলতা ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে তাতে কোন সন্দেহ নাই।  নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তরটাও অর্জন ছাড়া উত্তর সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীরাও এ নিয়মে খুবই উৎসাহী। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ কোন বছর কম আবার কোন বছর বেশি সিলেবাসের পরীক্ষা অসম নীতিতে অবিচার হয়েছে। তবে এই সিস্টেমের বিপক্ষে আনীত অভিযোগ শিক্ষার্থীদের থেকে আসেনি। এসেছে যারা এ রীতি প্রবর্তন করেন। দুর্নীতি বন্ধ না হলে কোন নীতিই সফল হবে না। স্বাধীনতার আগে ও পরে শিক্ষা নীতির প্রশ্নে কোন অভিযোগ শোনা যায়নি। তাও চলেছিল যুগের পর যুগ। পড়াশোনা মানেই পরীক্ষা। পরীক্ষা না থাকলে জ্ঞানের যাচাই কোথায়?  মূল্যায়নের নামে অবমূল্যায়ন সার্বিক দেশের কল্যাণ হতে পারে না। শিশু থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত দশটি বছরের মূল্যায়ন জরুরি দাবি রাখে নিশ্চয়ই এবং দশটি বছরের গোটা মূল্যায়নই পরীক্ষা।  তাই  শিক্ষার্থী ও অভিভাবক চরম দুর্ভাবনায়। অধিকন্তু বইয়ের কপিরাইট, বৈজ্ঞানিক অযুক্তিক, ধর্মীয় বিকৃতি ও ত্রুটিপূর্ণ তথ্যের উপস্থাপনা সকালের জানা। এমনকি প্রশ্ন ফাঁসের তামাশাও শিক্ষা নীতিতে হাস্যকরের উপাদেয় হয়েছে। ডেঙ্গুর চেয়ে বেশি করোনার তেমন প্রভাব না পড়লেও এর প্রতিক্রিয়া একটু বেশিই দেখানো হয়েছে এবং ঘটেছে একে ব্যবহার করে অনেক অপ্রীতি ঘটনা। আরও বেশি বিধ্বস্ত হয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা। সুষ্ঠু শিক্ষাই দিতে পারে জাতির সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্ণধার যার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠতে পারে সোনার বাংলা। শিক্ষার সুষ্ঠু ধরা ফিরে আসুক শিক্ষার আঙিনায় , অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর যা কাঙ্ক্ষিত মানসিকতা ও উদ্বেগের কারণ।

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে সামান্তা শারমিনের নতুন বার্তা

শিক্ষার মানে জনপ্রশ্ন, অভিভাবকদের উদ্বেগ

আপডেট সময় : ০৯:৫৩:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩

নেত্রকোণা প্রতিনিধি

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড আর সে ক্ষেত্রে শিক্ষক শিক্ষার মেরুদণ্ড সেটাই স্বাভাবিক। মেরুদণ্ডহীন জাতির পক্ষে কোন ভাবেই উন্নতির শিখরে আরোহন সম্ভব নয়। তাই মানুষের মৌলিক অধিকারের অন্যতম অধিকার হলো শিক্ষা।

অস্থিতিশীল শিক্ষানীতি ও পাঠ্যক্রমের রূপ বদলের সংঘাতে শিক্ষার সুষ্ঠু ধারা ব্যাহত। কালক্রমে আজ সৃজনশীল। ২০০৮ সালে সৃজনশীল শুরু। শিক্ষার্থীদের মুখস্ত রীতি কে বিদায় দিয়ে নিজেদের বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে নব সৃষ্টিই সৃজনশীলতা। শিক্ষায় সৃজনশীলতা ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে তাতে কোন সন্দেহ নাই।  নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তরটাও অর্জন ছাড়া উত্তর সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীরাও এ নিয়মে খুবই উৎসাহী। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ কোন বছর কম আবার কোন বছর বেশি সিলেবাসের পরীক্ষা অসম নীতিতে অবিচার হয়েছে। তবে এই সিস্টেমের বিপক্ষে আনীত অভিযোগ শিক্ষার্থীদের থেকে আসেনি। এসেছে যারা এ রীতি প্রবর্তন করেন। দুর্নীতি বন্ধ না হলে কোন নীতিই সফল হবে না। স্বাধীনতার আগে ও পরে শিক্ষা নীতির প্রশ্নে কোন অভিযোগ শোনা যায়নি। তাও চলেছিল যুগের পর যুগ। পড়াশোনা মানেই পরীক্ষা। পরীক্ষা না থাকলে জ্ঞানের যাচাই কোথায়?  মূল্যায়নের নামে অবমূল্যায়ন সার্বিক দেশের কল্যাণ হতে পারে না। শিশু থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত দশটি বছরের মূল্যায়ন জরুরি দাবি রাখে নিশ্চয়ই এবং দশটি বছরের গোটা মূল্যায়নই পরীক্ষা।  তাই  শিক্ষার্থী ও অভিভাবক চরম দুর্ভাবনায়। অধিকন্তু বইয়ের কপিরাইট, বৈজ্ঞানিক অযুক্তিক, ধর্মীয় বিকৃতি ও ত্রুটিপূর্ণ তথ্যের উপস্থাপনা সকালের জানা। এমনকি প্রশ্ন ফাঁসের তামাশাও শিক্ষা নীতিতে হাস্যকরের উপাদেয় হয়েছে। ডেঙ্গুর চেয়ে বেশি করোনার তেমন প্রভাব না পড়লেও এর প্রতিক্রিয়া একটু বেশিই দেখানো হয়েছে এবং ঘটেছে একে ব্যবহার করে অনেক অপ্রীতি ঘটনা। আরও বেশি বিধ্বস্ত হয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা। সুষ্ঠু শিক্ষাই দিতে পারে জাতির সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্ণধার যার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠতে পারে সোনার বাংলা। শিক্ষার সুষ্ঠু ধরা ফিরে আসুক শিক্ষার আঙিনায় , অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর যা কাঙ্ক্ষিত মানসিকতা ও উদ্বেগের কারণ।