০৮:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাতিরঝিলে ফের বন্ধ ওয়াটার ট্যাক্সি, দুর্ভোগ

দেড় মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মত রাজধানীর হাতিরঝিলে চলছে না ওয়াটার ট্যাক্সি; যাতে এ পথে নিয়মিত চলাচলকারীরা পড়েছেন বিপাকে।

এবার বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে ওয়াটার ট্যাক্সি পরিচালনায় যুক্ত কর্মীরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। গত সোমবার থেকে তারা এ দাবিতে কাজে যোগ না দেয়ায় রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এ নৌ পথ বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

বিশেষ করে অফিসের আগে ও ছুটির পর যারা এ পথে চলাচলে অভ্যস্থ হয়ে পড়েছিলেন তাদের দৈনন্দিন রুটিনে ছন্দপতন হয়েছে।

ওয়াটার ট্যাক্সির পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান করিম গ্রুপের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী মাসুম জামান বলেন, ওয়াটার ট্যাক্সি চালানো, কাউন্টারের টিকেট বিক্রেতাসহ ৬০ জনের বেশি কর্মী আছেন। তারা বেতন বাড়ানোর দাবিতে ওয়াটার ট্যাক্সি চালানো বন্ধ রেখেছেন।

“তারা সোমবার থেকে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের উপরের লেভেল থেকে তাদের সঙ্গে আলাপ করা হচ্ছে। কবে চালু হবে বুঝতে পারছি না।”

হাতিরঝিলের ওয়াটার ট্যাক্সি সেবা পরিচালিত হয় রাজউকের তত্ত্বাবধানে। সংস্থাটির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সাঈদ খন্দকার বুধবার বলেন, “করিম গ্রুপের অভ্যন্তরীণ কারণে ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল বন্ধ আছে। সম্ভবত কর্মীদের বেতন নিয়ে কোনো ঝামেলা আছে।”

এ বিষয়ে রাজউক কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে কিনা এ প্রশ্নের কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি তার কাছ থেকে। এর আগে দেড় মাস আগে হাতিরঝিলে ওয়াটার ট্যাক্সি পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান করিম গ্রুপ ইজারার কিস্তি হিসেবে তিন মাসের ভাড়া বকেয়া রাখায় রাজউক ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল। সেসময় পাঁচ দিন বন্ধ ছিল এ সেবা। তখন ভাড়া পরিশোধের পর রাজউক ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচলের অনুমতি দেয়।

বর্তমানে ১৫টি ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল করছে। এগুলোতে করে দৈনিক প্রায় ২০ হাজার যাত্রী চলাচল করেন।

 

বর্তমানে এফডিসি গেট থেকে রামপুরা ও বাড্ডা লিঙ্ক রোড এবং বাড্ডা লিঙ্ক রোড থেকে রামপুরা রুটে এসব ওয়াটার ট্যাক্সি চলে।

বুধবার ঢাকার হাতিরঝিলের এফডিসি মোড়, বাড্ডার গুদারাঘাট ও রামপুরা ওয়াটার ট্যাক্সি স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, যাত্রীরা এসে ফিরে যাচ্ছেন। ট্যাক্সিগুলো এফডিসি মোড় প্রান্তে রাখা আছে।

এফডিসি মোড়ের কাছে হাতিরঝিল ওয়াটার ট্যাক্সি স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, ঘাটে ট্যাক্সিগুলো বাঁধা আছে। পন্টুনে যাওয়ার পথের গেটে তালা লাগানো। সেখানে দুজন নিরাপত্তা প্রহরী বসে আছেন। কিছুক্ষণ পরপর দুয়েকজন যাত্রী আসছেন। ওয়াটার ট্যাক্সি বন্ধ থাকায় ফেরত চলে যাচ্ছেন।

তারা বলছেন, যানজট এড়িয়ে যাতায়াতের জন্য তারা ওয়াটার ট্যাক্সির ওপর নির্ভরশীল। কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই তা বন্ধ রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

মহাখালী থেকে বাড্ডার গুদারাঘাট এসে ওয়াটার ট্যাক্সিতে করে রামপুরায় বাসায় ফেরেন সরকারি চাকুরে সুমনা বণিক। গত দুদিন ধরে ওয়াটার ট্যাক্সি বন্ধ থাকায় যানজট ঠেলে বিকল্প পথে যেতে হয়েছে তাকে। বুধবারও বাড্ডা এসে দেখেন সেগুলো চলছে না। তিনি বলেন, “আমি হাঁটতে হাঁটতে এখানে চলে আসি। আমার বাসা রামপুরায়। এখান থেকে ওয়াটার ট্যাক্সিতে রামপুরা নেমে সেখান থেকে হেঁটে বাসায় যাই। বন্ধ থাকায় আমার এক ঘণ্টা সময় বেশি লাগবে। এখন যাওয়া লাগবে লিঙ্ক রোড, বাস পেলে উঠব, নইলে হেঁটেই যেতে হবে। এখান থেকে ওয়াটার ট্যাক্সিতে গেলে ১০ মিনিট লাগে।”

প্রতিদিন এই পথে যাতায়াতকারী কাজী মিলন নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, “এতে মানুষের অসুবিধা হয়ে গেল না? অনেকে আধা কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে এসে এখান থেকে ওয়াটার ট্যাক্সিতে ওঠে। এইখানে এসে যদি না পায় তাহলে তার কষ্ট না। তারা নিজেদের ইচ্ছামত বন্ধ করে, আবার চালায়।

যদি না চালায় তাহলে তো মানুষ জানবে যে এটা চলছে না। আমি মধ্যবাড্ডা থেকে আসলাম, কারওয়ান বাজার যাওয়ার জন্য। ওয়াটার ট্যাক্সিতে একটু আরামে যাওয়া যায়, এজন্য সবাই ভাড়াও কিছুটা বেশি দেয়।

বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আল ফারাবি বলেন, ওয়াটার ট্যাক্সিতে করে কারওয়ান বাজার যান তিনি। সেখান থেকে মেট্রোতে করে মিরপুরের বাসায়। কিন্তু ওয়াটার ট্যাক্সি বন্ধ থাকায় যানজটের কষ্টে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

হাতিরঝিলের এফডিসি প্রান্তে গিয়েও দেখা গেছে ওয়াটার ট্যাক্সি স্টেশনে আসছেন অনেকে। বন্ধ থাকায় ফিরে যাচ্ছেন চক্রাকার বাস সার্ভিসের কাউন্টারে। এ সেবা বন্ধ থাকায় হাতিরঝিলের চক্রাকার বাস সেবায় যাত্রীদের চাপ বেড়েছে।

ওয়াটার ট্যাক্সির নিয়মিত যাত্রী শাহজাদপুরের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম দীপু বিজয় সরণির অফিস থেকে এফডিসি প্রান্তে আসেন। সেখান থেকে ওয়াটার ট্যাক্সিতে যান বাড্ডার বাসায়।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “হুটহাট বন্ধ করে দেওয়া মোটেও ঠিক না। আমাদের রেগুলার রুটটা তো মিস হয়ে যাচ্ছে। এখন দুনিয়া ঘুরে যেতে হবে। সময় বেশি লাগে, যানজটে পড়ে থাকতে থাকতে এনার্জি লস হয়। তাদের হয়তো কোনো দাবি থাকতে পারে, কিন্তু আমরা তো হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছি।”

ওয়াটার ট্যাক্সি বন্ধের বিষয়ে রাজউকের আরেক কর্মকর্তা বলেন, চুক্তি অনুযায়ী ইজারাদার প্রতিষ্ঠান সেবা বন্ধ রাখতে পারে না। এ বিষয়ে করিম গ্রুপকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। “আমরা সোমবারই তাদের বিষয়টির ব্যাখ্যা চেয়ে একটি চিঠি দিয়েছি। তিনদিনের মধ্যে ওই চিঠির জবাব দেওয়ার কথা। না দিলে সতর্ক করে আমরা আরেকটি চিঠি দেব তাদের। ওই চিঠিরও জবাব না এলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। সেটা তাদের সঙ্গে ইজারা চুক্তি বাতিলও হতে পারে।”

হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০১৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে হাতিরঝিলে ওয়াটার ট্যাক্সির চলাচল শুরু হয়।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

২৫ ডিসেম্বর শাহজালালে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে যাত্রীদের পৌঁছানোর অনুরোধ

হাতিরঝিলে ফের বন্ধ ওয়াটার ট্যাক্সি, দুর্ভোগ

আপডেট সময় : ০৯:৩৭:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

দেড় মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মত রাজধানীর হাতিরঝিলে চলছে না ওয়াটার ট্যাক্সি; যাতে এ পথে নিয়মিত চলাচলকারীরা পড়েছেন বিপাকে।

এবার বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে ওয়াটার ট্যাক্সি পরিচালনায় যুক্ত কর্মীরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। গত সোমবার থেকে তারা এ দাবিতে কাজে যোগ না দেয়ায় রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এ নৌ পথ বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

বিশেষ করে অফিসের আগে ও ছুটির পর যারা এ পথে চলাচলে অভ্যস্থ হয়ে পড়েছিলেন তাদের দৈনন্দিন রুটিনে ছন্দপতন হয়েছে।

ওয়াটার ট্যাক্সির পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান করিম গ্রুপের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী মাসুম জামান বলেন, ওয়াটার ট্যাক্সি চালানো, কাউন্টারের টিকেট বিক্রেতাসহ ৬০ জনের বেশি কর্মী আছেন। তারা বেতন বাড়ানোর দাবিতে ওয়াটার ট্যাক্সি চালানো বন্ধ রেখেছেন।

“তারা সোমবার থেকে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের উপরের লেভেল থেকে তাদের সঙ্গে আলাপ করা হচ্ছে। কবে চালু হবে বুঝতে পারছি না।”

হাতিরঝিলের ওয়াটার ট্যাক্সি সেবা পরিচালিত হয় রাজউকের তত্ত্বাবধানে। সংস্থাটির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সাঈদ খন্দকার বুধবার বলেন, “করিম গ্রুপের অভ্যন্তরীণ কারণে ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল বন্ধ আছে। সম্ভবত কর্মীদের বেতন নিয়ে কোনো ঝামেলা আছে।”

এ বিষয়ে রাজউক কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে কিনা এ প্রশ্নের কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি তার কাছ থেকে। এর আগে দেড় মাস আগে হাতিরঝিলে ওয়াটার ট্যাক্সি পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান করিম গ্রুপ ইজারার কিস্তি হিসেবে তিন মাসের ভাড়া বকেয়া রাখায় রাজউক ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল। সেসময় পাঁচ দিন বন্ধ ছিল এ সেবা। তখন ভাড়া পরিশোধের পর রাজউক ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচলের অনুমতি দেয়।

বর্তমানে ১৫টি ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল করছে। এগুলোতে করে দৈনিক প্রায় ২০ হাজার যাত্রী চলাচল করেন।

 

বর্তমানে এফডিসি গেট থেকে রামপুরা ও বাড্ডা লিঙ্ক রোড এবং বাড্ডা লিঙ্ক রোড থেকে রামপুরা রুটে এসব ওয়াটার ট্যাক্সি চলে।

বুধবার ঢাকার হাতিরঝিলের এফডিসি মোড়, বাড্ডার গুদারাঘাট ও রামপুরা ওয়াটার ট্যাক্সি স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, যাত্রীরা এসে ফিরে যাচ্ছেন। ট্যাক্সিগুলো এফডিসি মোড় প্রান্তে রাখা আছে।

এফডিসি মোড়ের কাছে হাতিরঝিল ওয়াটার ট্যাক্সি স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, ঘাটে ট্যাক্সিগুলো বাঁধা আছে। পন্টুনে যাওয়ার পথের গেটে তালা লাগানো। সেখানে দুজন নিরাপত্তা প্রহরী বসে আছেন। কিছুক্ষণ পরপর দুয়েকজন যাত্রী আসছেন। ওয়াটার ট্যাক্সি বন্ধ থাকায় ফেরত চলে যাচ্ছেন।

তারা বলছেন, যানজট এড়িয়ে যাতায়াতের জন্য তারা ওয়াটার ট্যাক্সির ওপর নির্ভরশীল। কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই তা বন্ধ রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

মহাখালী থেকে বাড্ডার গুদারাঘাট এসে ওয়াটার ট্যাক্সিতে করে রামপুরায় বাসায় ফেরেন সরকারি চাকুরে সুমনা বণিক। গত দুদিন ধরে ওয়াটার ট্যাক্সি বন্ধ থাকায় যানজট ঠেলে বিকল্প পথে যেতে হয়েছে তাকে। বুধবারও বাড্ডা এসে দেখেন সেগুলো চলছে না। তিনি বলেন, “আমি হাঁটতে হাঁটতে এখানে চলে আসি। আমার বাসা রামপুরায়। এখান থেকে ওয়াটার ট্যাক্সিতে রামপুরা নেমে সেখান থেকে হেঁটে বাসায় যাই। বন্ধ থাকায় আমার এক ঘণ্টা সময় বেশি লাগবে। এখন যাওয়া লাগবে লিঙ্ক রোড, বাস পেলে উঠব, নইলে হেঁটেই যেতে হবে। এখান থেকে ওয়াটার ট্যাক্সিতে গেলে ১০ মিনিট লাগে।”

প্রতিদিন এই পথে যাতায়াতকারী কাজী মিলন নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, “এতে মানুষের অসুবিধা হয়ে গেল না? অনেকে আধা কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে এসে এখান থেকে ওয়াটার ট্যাক্সিতে ওঠে। এইখানে এসে যদি না পায় তাহলে তার কষ্ট না। তারা নিজেদের ইচ্ছামত বন্ধ করে, আবার চালায়।

যদি না চালায় তাহলে তো মানুষ জানবে যে এটা চলছে না। আমি মধ্যবাড্ডা থেকে আসলাম, কারওয়ান বাজার যাওয়ার জন্য। ওয়াটার ট্যাক্সিতে একটু আরামে যাওয়া যায়, এজন্য সবাই ভাড়াও কিছুটা বেশি দেয়।

বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আল ফারাবি বলেন, ওয়াটার ট্যাক্সিতে করে কারওয়ান বাজার যান তিনি। সেখান থেকে মেট্রোতে করে মিরপুরের বাসায়। কিন্তু ওয়াটার ট্যাক্সি বন্ধ থাকায় যানজটের কষ্টে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

হাতিরঝিলের এফডিসি প্রান্তে গিয়েও দেখা গেছে ওয়াটার ট্যাক্সি স্টেশনে আসছেন অনেকে। বন্ধ থাকায় ফিরে যাচ্ছেন চক্রাকার বাস সার্ভিসের কাউন্টারে। এ সেবা বন্ধ থাকায় হাতিরঝিলের চক্রাকার বাস সেবায় যাত্রীদের চাপ বেড়েছে।

ওয়াটার ট্যাক্সির নিয়মিত যাত্রী শাহজাদপুরের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম দীপু বিজয় সরণির অফিস থেকে এফডিসি প্রান্তে আসেন। সেখান থেকে ওয়াটার ট্যাক্সিতে যান বাড্ডার বাসায়।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “হুটহাট বন্ধ করে দেওয়া মোটেও ঠিক না। আমাদের রেগুলার রুটটা তো মিস হয়ে যাচ্ছে। এখন দুনিয়া ঘুরে যেতে হবে। সময় বেশি লাগে, যানজটে পড়ে থাকতে থাকতে এনার্জি লস হয়। তাদের হয়তো কোনো দাবি থাকতে পারে, কিন্তু আমরা তো হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছি।”

ওয়াটার ট্যাক্সি বন্ধের বিষয়ে রাজউকের আরেক কর্মকর্তা বলেন, চুক্তি অনুযায়ী ইজারাদার প্রতিষ্ঠান সেবা বন্ধ রাখতে পারে না। এ বিষয়ে করিম গ্রুপকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। “আমরা সোমবারই তাদের বিষয়টির ব্যাখ্যা চেয়ে একটি চিঠি দিয়েছি। তিনদিনের মধ্যে ওই চিঠির জবাব দেওয়ার কথা। না দিলে সতর্ক করে আমরা আরেকটি চিঠি দেব তাদের। ওই চিঠিরও জবাব না এলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। সেটা তাদের সঙ্গে ইজারা চুক্তি বাতিলও হতে পারে।”

হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০১৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে হাতিরঝিলে ওয়াটার ট্যাক্সির চলাচল শুরু হয়।

এমআর/সবা