নেপালে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবসহ ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধের জেরে শুরু হওয়া বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির পর প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌদেলও পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। রাষ্ট্রপতি তার পদত্যাগপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেন। সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করা, দুর্নীতি ও পদ্ধতিগত ব্যর্থতার অবসানের দাবিতে বিক্ষোভকারীরা মাঠে নেমেছিল এবং পুলিশ বিক্ষোভ চলাকালে গুলি চালালে ১৯ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়।
এদিকে বিক্ষোভের পর সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান সংকট সমাধানে সেনাবাহিনী, নিরাপত্তা সংস্থা, মুখ্য সচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিব যৌথ রাজনৈতিক সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে। মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীরা দেশটির সংসদ, সিংহ দরবার প্রাঙ্গণ, সুপ্রিম কোর্ট, রাজনৈতিক দলের অফিস এবং সিনিয়র নেতাদের বাড়িতে আগুন দেওয়ার পর এই আহ্বান জানানো হয়।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলছেন, রাজনৈতিক নেতৃত্ব গঠনমূলক সংলাপে অংশ না নিলে সহিংসতা আরও বাড়তে পারে। সংলাপই শান্তিপূর্ণ সমাধানের একমাত্র পথ। শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার একমাত্র উপায়। কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে, ইতোমধ্যে রাজধানী ও অন্য শহরগুলোয় বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বড় ধরনের সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
এদিকে পদত্যাগের ঘোষণার আগেই কেপি শর্মা অলির ব্যক্তিগত বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। কর্মকর্তারা বলেন, বিক্ষোভকারীরা ভোরে মিছিল করে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে রওনা হন। পথে পুলিশ তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা বাধা উপেক্ষা করে সামনে অগ্রসর হয়। শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা তার বাসভবন প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে এবং সেখানে দুটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তবে শুধু অলির বাড়িতে নয়, এদিন বিক্ষোভকারীরা ক্ষমতাসীন জোটের শরিক নেপালি কংগ্রেস পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ কয়েকজন মন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় কয়েকটি বাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে শুরু করলে সেনাবাহিনী হেলিকপ্টারে করে মন্ত্রীদের তাদের বাসভবন থেকে সরিয়ে নিতে শুরু করে।
এমআর/সবা


























