০২:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বজ্রপাতে ছয় জেলায় ১০ জনের মৃত্যু, আতঙ্কে গ্রামীণ জনজীবন

দেশজুড়ে বজ্রপাতের তাণ্ডবে একদিনে ছয় জেলায় ১০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, ঝিনাইদহ, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও বগুড়ায় এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। নিহতদের বেশিরভাগই কৃষক, শ্রমজীবী ও গ্রামীণ গৃহিণী।

কুমিল্লা
বিকেলে হোমনা উপজেলার ভবানীপুর খেয়াঘাট এলাকায় বজ্রপাতে দুই নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন—নালা দক্ষিণ গ্রামের মমতাজ বেগম (৩৫), জাকিয়া (২৫) এবং খোদে দাউদপুর গ্রামের রাশেদ মিয়া (২২)। তারা সবাই খেয়াঘাটের পাশে বৃষ্টিতে ভিজে ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ
আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া এলাকায় বজ্রপাতে ওয়াসিম (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সে উলুকান্দি এলাকার দিলা মিয়ার ছেলে এবং স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।

ঝিনাইদহ
সদর উপজেলার আড়মুখী গ্রামের শমসের বিশ্বাসের ছেলে শিমুল বিশ্বাস (২৮) এবং শৈলকূপা উপজেলার শেখড়া গ্রামের হুরমত শেখ (৫৫) মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মারা যান।

গাইবান্ধা
সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দীঘলকান্দী গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ (৪৫) বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।

কুড়িগ্রাম
নাগেশ্বরী উপজেলার নুনখাওয়া ইউনিয়নের কালিকাপুর এলাকায় মাদরাসা শিক্ষার্থী বাবলু মিয়া (৭) বজ্রপাতে মারা যায়। সে স্থানীয় একটি মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। একই উপজেলার বামনডাঙা ইউনিয়নের চর লুচনি গ্রামের সহিব (২৫) নামে আরও একজন বজ্রপাতে নিহত হন।

বগুড়া
গাবতলী উপজেলার নারুয়ামালা ইউনিয়নের প্রথমাছেও গ্রামে গরুর ঘাস কাটতে গিয়ে শেফালি বেগম (৪০) বজ্রপাতে প্রাণ হারান। তিনি ওই গ্রামের দেলোয়ার প্রামাণিকের স্ত্রী।

মৌসুমি আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সাম্প্রতিককালে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি ও বজ্রপাতের প্রবণতা বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বজ্রপাতের সময় খোলা মাঠ, নদী তীর, গাছের নিচে অবস্থান না করার পরামর্শ দিয়েছেন।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

বজ্রপাতে ছয় জেলায় ১০ জনের মৃত্যু, আতঙ্কে গ্রামীণ জনজীবন

আপডেট সময় : ০৯:৫২:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

দেশজুড়ে বজ্রপাতের তাণ্ডবে একদিনে ছয় জেলায় ১০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, ঝিনাইদহ, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও বগুড়ায় এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। নিহতদের বেশিরভাগই কৃষক, শ্রমজীবী ও গ্রামীণ গৃহিণী।

কুমিল্লা
বিকেলে হোমনা উপজেলার ভবানীপুর খেয়াঘাট এলাকায় বজ্রপাতে দুই নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন—নালা দক্ষিণ গ্রামের মমতাজ বেগম (৩৫), জাকিয়া (২৫) এবং খোদে দাউদপুর গ্রামের রাশেদ মিয়া (২২)। তারা সবাই খেয়াঘাটের পাশে বৃষ্টিতে ভিজে ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ
আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া এলাকায় বজ্রপাতে ওয়াসিম (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সে উলুকান্দি এলাকার দিলা মিয়ার ছেলে এবং স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।

ঝিনাইদহ
সদর উপজেলার আড়মুখী গ্রামের শমসের বিশ্বাসের ছেলে শিমুল বিশ্বাস (২৮) এবং শৈলকূপা উপজেলার শেখড়া গ্রামের হুরমত শেখ (৫৫) মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মারা যান।

গাইবান্ধা
সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দীঘলকান্দী গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ (৪৫) বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।

কুড়িগ্রাম
নাগেশ্বরী উপজেলার নুনখাওয়া ইউনিয়নের কালিকাপুর এলাকায় মাদরাসা শিক্ষার্থী বাবলু মিয়া (৭) বজ্রপাতে মারা যায়। সে স্থানীয় একটি মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। একই উপজেলার বামনডাঙা ইউনিয়নের চর লুচনি গ্রামের সহিব (২৫) নামে আরও একজন বজ্রপাতে নিহত হন।

বগুড়া
গাবতলী উপজেলার নারুয়ামালা ইউনিয়নের প্রথমাছেও গ্রামে গরুর ঘাস কাটতে গিয়ে শেফালি বেগম (৪০) বজ্রপাতে প্রাণ হারান। তিনি ওই গ্রামের দেলোয়ার প্রামাণিকের স্ত্রী।

মৌসুমি আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সাম্প্রতিককালে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি ও বজ্রপাতের প্রবণতা বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বজ্রপাতের সময় খোলা মাঠ, নদী তীর, গাছের নিচে অবস্থান না করার পরামর্শ দিয়েছেন।

এমআর/সবা