২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে চট্টগ্রামে রাজনৈতিক প্রস্তুতি তৎপর। জামায়াতে ইসলামী ইতিমধ্যেই চট্টগ্রামের ১৬ আসনের জন্য চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করেছে। দীর্ঘ আট মাস ধরে প্রার্থীরা স্ব-স্ব নির্বাচনী এলাকায় উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ চালাচ্ছেন। মহিলা শাখার কর্মীরাও ডোর-টু-ডোর প্রচারণায় সক্রিয়।
জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) এডভোকেট সাইফুর রহমান, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আলাউদ্দিন শিকদার, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আনোয়ারুল আলম সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) শাহজাহান মঞ্জুর, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) অধ্যক্ষ মাওলানা আমিরুজ্জামান, চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) ডা. আবু নাসের, চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) ডা. ফজলুল হক, চট্টগ্রাম-১০ (খুলশী-পাহাড়তলী-হালিশহর) অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) শফিউল আলম, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) ডা. ফরিদুল আলম, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান, চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া) ডা. শাহাদাত হোসাইন, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) শাহজাহান চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) মাওলানা জহিরুল ইসলাম। চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে প্রার্থিতা চূড়ান্ত হয়নি।
অপরদিকে, বিএনপি এখনও চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করেনি। অর্ধশতাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী মাঠে রয়েছেন, স্ব-স্ব এলাকায় সভা-সমাবেশ ও প্রচারণা চালাচ্ছেন। প্রার্থিতা চূড়ান্ত না হওয়ায় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে জল্পনা-কল্পনা ও টেনশন চলছে। চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামী বলেন, “ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের প্রার্থিতা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন। বর্তমানে সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে প্রচারণা চালাচ্ছেন।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জামায়াতের তৎপরতা ও বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা চট্টগ্রামের ১৬ আসনে নির্বাচনী প্রেক্ষাপটকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করেছে।
এমআর/সবা

























