নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পালের পবিত্র কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে ঈদগাঁওতে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। একই দাবিতে আগামীকাল ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি পাঠ করা হবে।
বৃহত্তর ঈদগাঁও ওলামা পরিষদ আয়োজিত কর্মসূচিতে আলেম-ওলামা ও ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষ পবিত্র কোরআনের প্রতি অবমাননার কঠোর শাস্তি দাবি করেন। বক্তারা হুঁশিয়ারি দেন, যদি কোনো মহল দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অপূর্ব পালকে জামিন দেওয়া হয়, তবে পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য সরকার দায়ী থাকবে।
মিছিলটি আসরের নামাজের পর ঈদগাঁও বাজারের শাপলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে বাসস্টেশন প্রদক্ষিণ ও গরুর বাজার এলাকা ঘুরে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন বৃহত্তর ঈদগাঁও ওলামা পরিষদের সভাপতি হাফেজ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম। মোনাজাত পরিচালনা করেন সংগঠনের উপদেষ্টা হাফেজ মাওলানা জহিরুল ইসলাম।
উপস্থিত আলেম-ওলামাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হাফেজ জাফর আলম, হাফেজ কামাল আহমদ, মাওলানা কবির আহমদ, মাওলানা রমজান আলী ও মাওলানা হুসাইন আহমদ। স্মারকলিপি পাঠ করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মুবিনুল হক জমিরি। এছাড়া কক্সবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এম. মমতাজুল ইসলাম এবং স্থানীয় বিভিন্ন ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা জানান, ৪ অক্টোবর অপূর্ব পাল ইসলামের পবিত্র কোরআন শরিফের অবমাননা করেছে, যা দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। তারা দাবী করেন—১. অপূর্ব পালকে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে। ২. আইনের আড়ালে তাকে জামিন দেওয়া যাবে না, এ ক্ষেত্রে সরকার দায়ী থাকবে। ৩. ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারীদের বিরুদ্ধে ব্লাসফেমি আইন প্রণয়ন ও তা কার্যকর করতে হবে।
মিছিল ও সমাবেশে কয়েক হাজার প্রতিবাদী নাগরিক অংশগ্রহণ করেন এবং বিভিন্ন স্লোগান, পতাকা ও প্লেকার্ডের মাধ্যমে অবস্থান প্রকাশ করেন।
এমআর/সবা























