০১:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে শরৎ মানে কাশফুলের শুভ্রতা, মুগ্ধ দর্শনার্থীরা

শরৎ এলে প্রকৃতি ঋতুর শুভ্রতায় মোড়ে। নীল আকাশের নীচে দোলা খাচ্ছে ধবধবে সাদা কাশফুল—এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য এবার সাজিয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ক্যাম্পাস। বর্ষা বিদায় নিয়েছে, আর প্রকৃতি এখন নিজের সাদা সৌন্দর্যে সবাইকে মুগ্ধ করছে।

ক্যাম্পাসের প্রতিটি প্রান্তে কাশফুলের রাজত্ব। কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, লাইব্রেরি ভবনের সামনে, অভ্যন্তরীণ সড়কের ধারে, কেন্দ্রীয় মসজিদের আশপাশ—প্রতিটি জায়গায় যেন শুভ্র কাশফুলের ছোঁয়া। মৃদু বাতাসে দুলে ওঠা ফুলের দৃশ্য চোখে পড়লেই মন ভরে যায় শান্তিতে। কেউ থেমে দেখছেন, কেউ ক্যামেরা হাতে মুহূর্তগুলো বন্দি করছেন।

প্রকৃতিপ্রেমীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে পুরো ক্যাম্পাস। বিকেলে বা ছুটির দিনে মাঠ ও চত্বরজুড়ে দেখা যায় দর্শনার্থীদের ভিড়। বন্ধু, পরিবার বা প্রিয়জনের সঙ্গে সবাই কাশফুলের শুভ্রতায় হারিয়ে যাচ্ছেন।

 

দূরদূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরাও মুগ্ধ। ফেনী থেকে আসা নুসরাত জাহান বলেন, “কাশফুল আর আকাশের রঙ একসাথে মিশে গেছে। মনে হচ্ছে যেন কোনো চিত্রকর্মের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি।” রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী সাকিব আল-আমিন বলেন, “প্রতিবছরই এই সময় নোবিপ্রবিতে আসি। কাশফুলের সৌন্দর্য এখানে প্রকৃতির রূপকে আরো বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।”

শিক্ষার্থী মিতু বলেন, “শরৎ মানেই কাশফুল। এই শুভ্রতা ছুঁয়ে যাক সবার হৃদয়। আমি কখনোই এই সময় মিস করি না।” আরাফাত হাসান যোগ করেন, “কাশফুলের সৌন্দর্য আমাদের ক্যাম্পাসে এক অনন্য পরিবেশ তৈরি করে। ব্যস্ত পড়াশোনার ফাঁকে প্রকৃতির সঙ্গে নতুন করে সংযোগ ঘটছে।”

নোবিপ্রবি ক্যাম্পাস এখন যেন উৎসবের মঞ্চ। কেউ হাঁটছেন, কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা নিরবে উপভোগ করছেন প্রকৃতির রূপ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভেসে বেড়াচ্ছে কাশফুলের ছবি।

ঋতুর পালাবদলে কাশফুল শুধু প্রকৃতির নয়, মনেও আনে শুভ্রতা। নীল আকাশের নিচে দোলা খাচ্ছে কাশফুল—শরৎ এসেছে, প্রকৃতির বুকজুড়ে শুভ্রতার উৎসব চলছে।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

মেঘনায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষে ৮ জন নিহত

নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে শরৎ মানে কাশফুলের শুভ্রতা, মুগ্ধ দর্শনার্থীরা

আপডেট সময় : ০৭:৫৭:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

শরৎ এলে প্রকৃতি ঋতুর শুভ্রতায় মোড়ে। নীল আকাশের নীচে দোলা খাচ্ছে ধবধবে সাদা কাশফুল—এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য এবার সাজিয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ক্যাম্পাস। বর্ষা বিদায় নিয়েছে, আর প্রকৃতি এখন নিজের সাদা সৌন্দর্যে সবাইকে মুগ্ধ করছে।

ক্যাম্পাসের প্রতিটি প্রান্তে কাশফুলের রাজত্ব। কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, লাইব্রেরি ভবনের সামনে, অভ্যন্তরীণ সড়কের ধারে, কেন্দ্রীয় মসজিদের আশপাশ—প্রতিটি জায়গায় যেন শুভ্র কাশফুলের ছোঁয়া। মৃদু বাতাসে দুলে ওঠা ফুলের দৃশ্য চোখে পড়লেই মন ভরে যায় শান্তিতে। কেউ থেমে দেখছেন, কেউ ক্যামেরা হাতে মুহূর্তগুলো বন্দি করছেন।

প্রকৃতিপ্রেমীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে পুরো ক্যাম্পাস। বিকেলে বা ছুটির দিনে মাঠ ও চত্বরজুড়ে দেখা যায় দর্শনার্থীদের ভিড়। বন্ধু, পরিবার বা প্রিয়জনের সঙ্গে সবাই কাশফুলের শুভ্রতায় হারিয়ে যাচ্ছেন।

 

দূরদূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরাও মুগ্ধ। ফেনী থেকে আসা নুসরাত জাহান বলেন, “কাশফুল আর আকাশের রঙ একসাথে মিশে গেছে। মনে হচ্ছে যেন কোনো চিত্রকর্মের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি।” রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী সাকিব আল-আমিন বলেন, “প্রতিবছরই এই সময় নোবিপ্রবিতে আসি। কাশফুলের সৌন্দর্য এখানে প্রকৃতির রূপকে আরো বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।”

শিক্ষার্থী মিতু বলেন, “শরৎ মানেই কাশফুল। এই শুভ্রতা ছুঁয়ে যাক সবার হৃদয়। আমি কখনোই এই সময় মিস করি না।” আরাফাত হাসান যোগ করেন, “কাশফুলের সৌন্দর্য আমাদের ক্যাম্পাসে এক অনন্য পরিবেশ তৈরি করে। ব্যস্ত পড়াশোনার ফাঁকে প্রকৃতির সঙ্গে নতুন করে সংযোগ ঘটছে।”

নোবিপ্রবি ক্যাম্পাস এখন যেন উৎসবের মঞ্চ। কেউ হাঁটছেন, কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা নিরবে উপভোগ করছেন প্রকৃতির রূপ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভেসে বেড়াচ্ছে কাশফুলের ছবি।

ঋতুর পালাবদলে কাশফুল শুধু প্রকৃতির নয়, মনেও আনে শুভ্রতা। নীল আকাশের নিচে দোলা খাচ্ছে কাশফুল—শরৎ এসেছে, প্রকৃতির বুকজুড়ে শুভ্রতার উৎসব চলছে।

এমআর/সবা