১১:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খাগড়াছড়িতে দশম দানোত্তম কঠিন চীবর দান উৎসব

ধর্মীয় নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়ির জেলা সদরের সুদুঅং মেম্বার পাড়ায় রত্ন বিমা বৌদ্ধ বিহারে ১০তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে দায়ক-দায়িকাদের আয়োজনের মাধ্যমে দিনব্যাপী উৎসবে দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো পূণ্যার্থী অংশ নেন।

উৎসবে পঞ্চশীল গ্রহণ, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, পানীয় দান, বুদ্ধমূর্তি দান, চীবর দান এবং কল্পতরু দানসহ নানাবিধ ধর্মীয় কর্মকাণ্ড অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনাও করা হয়।

অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন বৌদ্ধ শিশু ঘর বিহারের বিহারাধ্যক্ষ সুমনা মহাথের। উপস্থিত ছিলেন বিহারঅধ্যক্ষ ভদন্ত কওয়ৈদা থের, ভদন্ত বিচারা ভান্তে, ভদন্ত পামোক্ষা থেরসহ অন্যান্য ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা।

 

উল্লেখ্য, আড়াই হাজার বছর আগে মহামতি গৌতম বুদ্ধের জীবদ্দশায় প্রধান সেবিকা বিশাখা মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা তৈরি করে ভিক্ষু সংঘকে বিশেষ পরিধেয় বস্তু দান করেন। এই ঐতিহাসিক ঘটনার স্মরণে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা প্রতিবছর কঠিন চীবর দান উৎসব পালন করে আসছেন।

সুদুঅং মেম্বার পাড়ায় রত্ন বিমা বৌদ্ধ বিহারের পরিচালনা কমিটির সভাপতি সট-থৈংলাউ মারমা জানান, উৎসবের মাধ্যমে বৌদ্ধ ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্য রাখা হয়।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

খাগড়াছড়িতে দশম দানোত্তম কঠিন চীবর দান উৎসব

আপডেট সময় : ০৬:৪০:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

ধর্মীয় নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়ির জেলা সদরের সুদুঅং মেম্বার পাড়ায় রত্ন বিমা বৌদ্ধ বিহারে ১০তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে দায়ক-দায়িকাদের আয়োজনের মাধ্যমে দিনব্যাপী উৎসবে দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো পূণ্যার্থী অংশ নেন।

উৎসবে পঞ্চশীল গ্রহণ, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, পানীয় দান, বুদ্ধমূর্তি দান, চীবর দান এবং কল্পতরু দানসহ নানাবিধ ধর্মীয় কর্মকাণ্ড অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনাও করা হয়।

অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন বৌদ্ধ শিশু ঘর বিহারের বিহারাধ্যক্ষ সুমনা মহাথের। উপস্থিত ছিলেন বিহারঅধ্যক্ষ ভদন্ত কওয়ৈদা থের, ভদন্ত বিচারা ভান্তে, ভদন্ত পামোক্ষা থেরসহ অন্যান্য ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা।

 

উল্লেখ্য, আড়াই হাজার বছর আগে মহামতি গৌতম বুদ্ধের জীবদ্দশায় প্রধান সেবিকা বিশাখা মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা তৈরি করে ভিক্ষু সংঘকে বিশেষ পরিধেয় বস্তু দান করেন। এই ঐতিহাসিক ঘটনার স্মরণে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা প্রতিবছর কঠিন চীবর দান উৎসব পালন করে আসছেন।

সুদুঅং মেম্বার পাড়ায় রত্ন বিমা বৌদ্ধ বিহারের পরিচালনা কমিটির সভাপতি সট-থৈংলাউ মারমা জানান, উৎসবের মাধ্যমে বৌদ্ধ ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্য রাখা হয়।

এমআর/সবা