চট্টগ্রাম বন্দরে ভারী যান প্রবেশ-ফি ৫৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৩০ টাকা করায় প্রাইম মুভার, ট্রেইলার, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিকরা কনটেইনার পরিবহন বন্ধ রেখেছেন। এতে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে; আমদানি পণ্য বন্দরের বাইরে আসছে না, রফতানি পণ্যও ভেতরে প্রবেশ করতে পারছে না।
বন্দর কর্তৃপক্ষ ১৫ অক্টোবর থেকে নতুন ট্যারিফ কার্যকর করে। নতুন কাঠামোতে ৫৬টি সেবাখাতে গড়ে ৪১ শতাংশ ফি বৃদ্ধি হয়েছে। যান চলাচলের প্রবেশ-ফি বাড়তি অংশ কারা বহন করবে—আমদানিকারক, ডিপো মালিক নাকি পরিবহন মালিক—এই অনিশ্চয়তা থেকেই এ ধর্মঘট।
চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, “অতিরিক্ত খরচ কে দেবে—সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত না হওয়ায় মালিক-শ্রমিক মিলে পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে।”
বিআইসিডিএ মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, “প্রাইম মুভার বন্ধ থাকায় বন্দর ও ১৯টি বেসরকারি ডিপোর মধ্যে কনটেইনার পরিবহন মারাত্মকভাবে ব্যাহত। ডিপোতে কনটেইনার জট শুরু হয়েছে। দীর্ঘ হলে রফতানি শৃঙ্খলে বড় প্রভাব পড়বে।”
অন্যদিকে সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা রবিবার থেকে চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করছেন।
বন্দর সচিব ওমর ফারুক জানান, “কয়েক স্থানে যানবাহন বাধায় কনটেইনার হ্যান্ডলিং কিছুটা ব্যাহত হলেও বন্দরের অপারেশনাল কাজ চালু আছে।”
রবিবার সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন বন্দর চেয়ারম্যান।
এই অচলাবস্থা চলতে থাকলে আমদানি-রফতানি শিল্প গুরুতর ঝুঁকিতে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এমআর/সবা


























