১১:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আনোয়ারায় সিএনজি চালক হত্যা, পুলিশের জালে ‘গামছা গ্যাং’

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সিএনজি চালক সাজ্জাদ (২২) হত্যা মামলার মূল হোতা ও সদস্যদের গ্রেপ্তারের তথ্য উন্মোচিত হয়েছে। পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, চক্রটি আগে নির্জন স্থান বাছাই করত; এরপর যাত্রীবেশে সিএনজি ভাড়া নিয়ে চালককে সেই স্থানে নিয়ে গিয়ে মুখ ও হাত-পা গামছা দিয়ে বেঁধে ডাকাতি করত। কখনও কখনও তারা চালককে হত্যা করত।

রবিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে রাউজান উপজেলার একটি ভাড়া বাসা থেকে আনোয়ারা থানা পুলিশ গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য ও সাজ্জাদ হত্যা মামলার মূল হোতা সাইফুলের ছোট ভাই আশরাফুল ইসলাম (২৫) কে গ্রেপ্তার করে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শিমুল চন্দ্র ও এএসআই নুরুল আফছার।

এর আগে, গত ১১ অক্টোবর বরুমছড়া ইউনিয়নের দুই আসামি রমজান আলী ও হারুনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছিল। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাইফুল ও আশরাফুলের নাম উঠে আসে। তার আগে চন্দনাইশ থানা পুলিশ পৃথক এক মামলায় মূল হোতা সাইফুলকে গ্রেপ্তার করেছিল।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার আশরাফুল জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে যে, সাজ্জাদ হত্যার রাতে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেন। চক্রটির মূল উদ্দেশ্য ছিল সিএনজি ছিনতাই; তারা রিজার্ভ যাত্রী সেজে চালককে নির্জন স্থানে নিয়ে যেত, এরপর নির্মমভাবে অপরাধ চালাত।

আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, “গ্রেপ্তার আশরাফুলের তথ্যের ভিত্তিতে আমরা চক্রটির গঠন, উদ্দেশ্য ও অন্যান্য সদস্যদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। হত্যায় ব্যবহৃত কিছু সামগ্রীও উদ্ধার করা হয়েছে। গামছা গ্যাং দীর্ঘদিন ধরে আনোয়ারা ও আশপাশের এলাকায় সিএনজি ছিনতাই, চুরি ও হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছিল। এটি একটি সংগঠিত অপরাধচক্র; তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

আনোয়ারায় সিএনজি চালক হত্যা, পুলিশের জালে ‘গামছা গ্যাং’

আপডেট সময় : ০৮:১২:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সিএনজি চালক সাজ্জাদ (২২) হত্যা মামলার মূল হোতা ও সদস্যদের গ্রেপ্তারের তথ্য উন্মোচিত হয়েছে। পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, চক্রটি আগে নির্জন স্থান বাছাই করত; এরপর যাত্রীবেশে সিএনজি ভাড়া নিয়ে চালককে সেই স্থানে নিয়ে গিয়ে মুখ ও হাত-পা গামছা দিয়ে বেঁধে ডাকাতি করত। কখনও কখনও তারা চালককে হত্যা করত।

রবিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে রাউজান উপজেলার একটি ভাড়া বাসা থেকে আনোয়ারা থানা পুলিশ গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য ও সাজ্জাদ হত্যা মামলার মূল হোতা সাইফুলের ছোট ভাই আশরাফুল ইসলাম (২৫) কে গ্রেপ্তার করে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শিমুল চন্দ্র ও এএসআই নুরুল আফছার।

এর আগে, গত ১১ অক্টোবর বরুমছড়া ইউনিয়নের দুই আসামি রমজান আলী ও হারুনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছিল। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাইফুল ও আশরাফুলের নাম উঠে আসে। তার আগে চন্দনাইশ থানা পুলিশ পৃথক এক মামলায় মূল হোতা সাইফুলকে গ্রেপ্তার করেছিল।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার আশরাফুল জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে যে, সাজ্জাদ হত্যার রাতে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেন। চক্রটির মূল উদ্দেশ্য ছিল সিএনজি ছিনতাই; তারা রিজার্ভ যাত্রী সেজে চালককে নির্জন স্থানে নিয়ে যেত, এরপর নির্মমভাবে অপরাধ চালাত।

আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, “গ্রেপ্তার আশরাফুলের তথ্যের ভিত্তিতে আমরা চক্রটির গঠন, উদ্দেশ্য ও অন্যান্য সদস্যদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। হত্যায় ব্যবহৃত কিছু সামগ্রীও উদ্ধার করা হয়েছে। গামছা গ্যাং দীর্ঘদিন ধরে আনোয়ারা ও আশপাশের এলাকায় সিএনজি ছিনতাই, চুরি ও হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছিল। এটি একটি সংগঠিত অপরাধচক্র; তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

এমআর/সবা