০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নওগাঁয় জাল সনদে চাকরি নেওয়া শিক্ষিকার ইস্তফা, প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতার অভিযোগ

নওগাঁয় জাল সনদ দিয়ে চাকরি নেওয়া ফাতেমা বেগম নামের এক শিক্ষিকা এনটিআরসিএর যাচাই প্রতিবেদনে সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ার পর গোপনে ইস্তফা দিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, এতে তাকে সহযোগিতা করেছেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পার্থ কুমার। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় স্থানীয় নেতা আবু খালেক দুলুর প্রভাব খাটিয়ে ফাতেমা বেগম ২০০৬ সালের কথিত দ্বিতীয় শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দেখিয়ে নিয়োগ পান। পরে ২০২০ সালে তিনি উচ্চতর স্কেলও নেন। অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা যাচাইয়ে পাঠালে ১৩ অক্টোবর এনটিআরসিএ জানায়, দাখিলকৃত নিবন্ধন সনদটি সংরক্ষিত তালিকার সঙ্গে মেলে না এবং জাল বলে প্রমাণিত।

প্রতিবেদন প্রকাশের পর ১৮ অক্টোবর ফাতেমা বেগম প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সমন্বয় করে ইস্তফাপত্র জমা দেন এবং এর আগে ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট দেখিয়ে এক মাস ছুটিও নেন। অভিযোগ রয়েছে, জালিয়াতির মাধ্যমে তিনি সরকারি কোষাগার থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং এ কাজে প্রধান শিক্ষক তাকে সহায়তা করেছেন।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির দাবি, সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে অফিসিয়াল চিঠি হাতে পেলেই নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

নওগাঁয় জাল সনদে চাকরি নেওয়া শিক্ষিকার ইস্তফা, প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতার অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৬:১৬:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

নওগাঁয় জাল সনদ দিয়ে চাকরি নেওয়া ফাতেমা বেগম নামের এক শিক্ষিকা এনটিআরসিএর যাচাই প্রতিবেদনে সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ার পর গোপনে ইস্তফা দিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, এতে তাকে সহযোগিতা করেছেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পার্থ কুমার। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় স্থানীয় নেতা আবু খালেক দুলুর প্রভাব খাটিয়ে ফাতেমা বেগম ২০০৬ সালের কথিত দ্বিতীয় শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দেখিয়ে নিয়োগ পান। পরে ২০২০ সালে তিনি উচ্চতর স্কেলও নেন। অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা যাচাইয়ে পাঠালে ১৩ অক্টোবর এনটিআরসিএ জানায়, দাখিলকৃত নিবন্ধন সনদটি সংরক্ষিত তালিকার সঙ্গে মেলে না এবং জাল বলে প্রমাণিত।

প্রতিবেদন প্রকাশের পর ১৮ অক্টোবর ফাতেমা বেগম প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সমন্বয় করে ইস্তফাপত্র জমা দেন এবং এর আগে ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট দেখিয়ে এক মাস ছুটিও নেন। অভিযোগ রয়েছে, জালিয়াতির মাধ্যমে তিনি সরকারি কোষাগার থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং এ কাজে প্রধান শিক্ষক তাকে সহায়তা করেছেন।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির দাবি, সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে অফিসিয়াল চিঠি হাতে পেলেই নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এমআর/সবা