১০:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘মেয়ে ভেবে মাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ’—ত্রিশালে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ

ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাড়ি থেকে তুলে ধানখেতে নিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে ওই গৃহবধূ নিজেই ত্রিশাল থানায় মামলা করেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আকমল হোসেন (৩৮)। তিনি উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা এবং স্থানীয় একটি কোম্পানিতে কর্মরত। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৮ অক্টোবর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ওই গৃহবধূ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হয়ে টয়লেটে যান। টয়লেট থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পেছন থেকে মুখ চেপে কাঁধে তুলে নিয়ে যান আকমল। বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে একটি ধানখেতে নিয়ে তিনি গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন।

ওই সময় গৃহবধূর চিৎকারে তাঁর স্বামী ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে আকমল পালিয়ে যান।

গৃহবধূর ছোট ভাই জানান, তাঁর সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ভাগনিকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন আকমল। ঘটনার দিন ভোরে ভাগনির ওড়না গায়ে দিয়ে টয়লেটে যান তাঁর বোন। ধারণা করা হচ্ছে, সেই ওড়না দেখে আকমল মেয়েটিকে মনে করে ভুল করে গৃহবধূকেই তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেন।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় পরিবারটি থানায় যেতে পারেনি। পরে সাহস সঞ্চয় করে তিনি বোনকে নিয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে পুলিশ মামলা নেয়।

স্থানীয়দের ভাষ্য, গৃহবধূর স্বামী দিনমজুরি করে সংসার চালান। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া কন্যাটি দেখতে মায়ের মতো। স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় তার পড়াশোনা। এলাকার প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য আকমল মাস দুয়েক ধরে ওই কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন।

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহাম্মদ বলেন, আজ মঙ্গলবার ওই গৃহবধূর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা রয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন, “লোকজন বলছে মেয়ে ভেবে মাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে মামলার অভিযোগে এমন কিছু বাদী উল্লেখ করেননি।”

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

‘মেয়ে ভেবে মাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ’—ত্রিশালে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৬:৪৪:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাড়ি থেকে তুলে ধানখেতে নিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে ওই গৃহবধূ নিজেই ত্রিশাল থানায় মামলা করেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আকমল হোসেন (৩৮)। তিনি উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা এবং স্থানীয় একটি কোম্পানিতে কর্মরত। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৮ অক্টোবর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ওই গৃহবধূ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হয়ে টয়লেটে যান। টয়লেট থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পেছন থেকে মুখ চেপে কাঁধে তুলে নিয়ে যান আকমল। বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে একটি ধানখেতে নিয়ে তিনি গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন।

ওই সময় গৃহবধূর চিৎকারে তাঁর স্বামী ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে আকমল পালিয়ে যান।

গৃহবধূর ছোট ভাই জানান, তাঁর সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ভাগনিকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন আকমল। ঘটনার দিন ভোরে ভাগনির ওড়না গায়ে দিয়ে টয়লেটে যান তাঁর বোন। ধারণা করা হচ্ছে, সেই ওড়না দেখে আকমল মেয়েটিকে মনে করে ভুল করে গৃহবধূকেই তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেন।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় পরিবারটি থানায় যেতে পারেনি। পরে সাহস সঞ্চয় করে তিনি বোনকে নিয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে পুলিশ মামলা নেয়।

স্থানীয়দের ভাষ্য, গৃহবধূর স্বামী দিনমজুরি করে সংসার চালান। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া কন্যাটি দেখতে মায়ের মতো। স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় তার পড়াশোনা। এলাকার প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য আকমল মাস দুয়েক ধরে ওই কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন।

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহাম্মদ বলেন, আজ মঙ্গলবার ওই গৃহবধূর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা রয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন, “লোকজন বলছে মেয়ে ভেবে মাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে মামলার অভিযোগে এমন কিছু বাদী উল্লেখ করেননি।”

এমআর/সবা