চিটাগাং চেম্বারের সাবেক সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান বন্দর ব্যবহারকারী, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আগামী ১০–১৫ দিনের মধ্যে বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছেন। বৈঠকে যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত ট্যারিফ চূড়ান্ত করা হবে বলে তিনি জানান।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের সিটি হল কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম পোর্ট ইউজার্স ফোরাম আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় বন্দর ট্যারিফ, ওজন স্কেল, বন্দর ট্রাফিক এবং চিটাগাং চেম্বারকে জবাবদিহিমূলক ও ব্যবসায়ীবান্ধব করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
আমীর হুমায়ুন বলেন, প্রথম দফায় আলটিমেটাম দেওয়ার পর বন্দর চেয়ারম্যান মন্ত্রণালয়ে লিখে ট্রাক, প্রাইমমুভার, ট্রেইলার ও গেট ফি খাতে বর্ধিত ট্যারিফ স্থগিতের ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনি আরও জানান, সরকারকে চিঠি দেওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টার নিয়োগকৃত প্রতিনিধির মাধ্যমেও আলোচনার প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে।
বিজিএমইএর পরিচালক এমএ সালাম বলেন, ইউনাইটেড বিজনেস ফোরামের প্যানেলই চিটাগাং চেম্বারকে গতিশীল করে তুলবে। সাবেক সভাপতি সরওয়ার জামাল নিজাম বলেন, চেম্বারের নেতৃত্ব যোগ্য হলে দেশ এগিয়ে যাবে।
প্রধান বক্তা ইউনাইটেড বিজনেস ফোরামের টিম লিডার মোহাম্মদ আমিরুল হক মহাসড়কের স্কেলজনিত দুর্ভোগ, ফুটপাত দখলমুক্তকরণ ও ব্যবসায়ী ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক শাহেদ সরওয়ার জানান, বন্দর ট্যারিফ কিছু ক্ষেত্রে ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে যা অ্যালার্মিং। বারভিডার সাবেক সভাপতি হাবিবুল্লাহ ডন বলেন, আমদানি–রপ্তানির লাইফলাইন এই বন্দরের সেবামূল্য বৃদ্ধি ব্যবসায়ীদের উদ্বেগে ফেলেছে।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল আলম জানান, কর্মবিরতির প্রেক্ষিতে যানবাহন ও প্রবেশ ফি আদায় বন্ধ রাখা হয়েছে এবং নতুন ট্যারিফ নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরকারের আলোচনা হবে।
আলোচনায় ব্যবসায়ী নেতা বেলায়েত হোসেন, আবদুল মান্নান, শাহজাহান, মহিউদ্দিন, দোস্ত মোহাম্মদ, আলম টিটু, খালেদ, এরফান উদ্দিন খোকনসহ অনেকে অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন সিঅ্যান্ডএফ সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু।
এমআর/সবা
এমআর/সবা

























