মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার ঢাকাইজোড়া মৌজায় ৩১ শতাংশ ভূমি ক্রয় নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধের জেরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভুক্তভোগী পক্ষের অভিযোগ, দীর্ঘ ৩৩ বছর আগে সাফকবলা চুক্তির মাধ্যমে জমি ক্রয়ের পরও প্রতিপক্ষের মিথ্যা অভিযোগ ও হুমকির কারণে তারা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিমুলিয়া ইউনিয়নের ঢাকাইজোড়া গ্রামের মোহসীন উদ্দিন মোল্লা ১৯৯২ সালের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকাইজোড়া মৌজার হাল দাগ নং ২৬১৪-এর ২৬ ও মেয়ে লাকী বেগম ৫ শতাংশ ভূমি হরিরামপুর উপজেলার চৌকিঘাটা গ্রামের রাজ্জাক খাঁ ওরফে নান্নু মিয়ার কাছ থেকে সাফকবলা চুক্তির মাধ্যমে ক্রয় করেন। প্রতি শতাংশ ৮০০ টাকা দরে মোট ১৯ হাজার টাকা পরিশোধ করে তিনি জমির দখল গ্রহণ করেন।
মোহসীন উদ্দিনের দাবি, তিন মাস পর বাকি ২ হাজার টাকা প্রদান করা হলেও বিক্রেতা রাজ্জাক খাঁ জমির রেজিস্ট্রি না করে নানা টালবাহানা করতে থাকেন। রাজ্জাক খাঁ ২০১২ সালে মৃত্যুবরণ করলে তার ওয়ারিশ মাহমুদা আক্তার ওরফে ইথার ও আরজুয়ারা আক্তার ওরফে রিনা জমি হস্তান্তর না করে উল্টো মিথ্যা অভিযোগ তুলে দখলের চেষ্টা শুরু করেন।
এ বিষয়ে মোহসীন উদ্দিন আদালতে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে প্রতিপক্ষ স্থানীয় আ. করিম মৃধার ছেলে রাজিবের কাছে উক্ত ভূমি সনকরালি বন্দোবস্থ দেয়। পরবর্তীতে রাজিব জমিতে প্রবেশের চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, প্রতিপক্ষের লোকজন একাধিকবার জমির ফসল কেটে নেওয়া ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। এতে এলাকায় ক্ষোভ ও জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা হলেও স্থায়ী সমাধান হয়নি।
ঢাকাইজোড়া গ্রামের স্হানীয় বাসিন্দা মো:বিল্লাল হোসেন বলেন, আমি ওনার পাশের জমি চাষ করি। বিগত ৩০/৩২ বছর ধরে মহসিন মোল্লা মিয়াদের কাছ থেকে জমিটা কিনেছে। জমিটা আবাদ করে আসছেন তিনি।
একই গ্রামের মো: হালিম মোল্লা বলেন, আমরা দেখতেছি মহসিন মোল্লা এই জমিটা চাষাবাদ করেন ৩০ থেকে ৩৩ বছর। তিনি এই জমিটা সাফকবলা কিনে কিন্তু জমির মালিকেরা রেজিস্ট্রার করে না দেওয়াতে এখন আরেক জন দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে।
সনকরালি নেওয়া স্থানীয় আ. করিম মৃধার ছেলে মোঃ রাজিব বলেন, আমি আরজুয়ারা আক্তারের মেয়ে ঈশাতআরা কাছ থেকে এক বছরের জন্য শোনকরা নিয়েছি। মৌখিক ভাবে নেয়ার রাজিবের কাছে কোন কাগজ পত্র নেই । গত এক বছরে ২২ শতাংশ জমিতে ফসল নষ্ট করেছে মহসিন মোল্লা দাবি করে জেলা প্রসাশক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
জমির বিষযে আরজুয়ারা আক্তারকে ফোন করলে তার মেয়ে ঈশাতআরা জানান, মোহসিন মোল্লা ৩০ বছর আগে জমি কিনেছেন কিন্তু ওনার কাছে কোন কাগজ পত্র নেই। কাগজ পত্র ছাড়া সে কিভাবে মালিক হয়। ঐ জমিটা আমার খালু দেখাশোনা করতেন তিনি মারা যান ২০১৮ সালে। তার পর থেকে তারা বলছে জমি তারা সাফকবলা কিনেছে। এই বলে তারা কোর্টে মামলা দিয়েছে এখন কোর্ট রায়ের অপেক্ষায় আছি ।
এমআর/সবা


























