দলীয় সূত্র থেকে জানানো হয়েছে, রাজনৈতিক দল হিসেবে ‘আমজনতার দল’কে নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে নিবন্ধন না দেয়ায় দলের সদস্য সচিব তারেক রহমান আমরণ অনশন পালন করে মৃত্যুর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সোমবার/গতকাল তিনি নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটকে অনশনে বসেন।
বুধবার (৪ নভেম্বর) বিকালে ইসি সচিব আখতার আহমেদ নতুন তিনটি দলের নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানোর পর তারেক বিমর্ষ হয়ে পড়েন। ওই ব্রিফিং শেষ হলে তিনি ইসি সচিব ও অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার চেষ্টা করেন; পরে অতিরিক্ত সচিবের দপ্তর থেকে ফিরে এসে অনশনে বসে পড়েন।
তারেক দাবি করেন, নিবন্ধন না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলেও নির্বাচন কমিশন তাদের সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিচ্ছে না। তিনি এক ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করেন, “৪৩ লাখ গ্রাহকের অর্থ লুট করে, এক মাস আগে দল খুলে নিবন্ধন পেয়েছে এক দল; আবার জাতীয় লীগের নিবন্ধন দেওয়ার ঘোষণা পরে স্থগিত করা হয়েছে। বছরবছর রাজনীতি করেও আমরা নিবন্ধিত হচ্ছি না—এমন অবস্থা চলতে থাকলে আমরণ অনশন মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবে।”
ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, তারা জাতীয় নাগরিক পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) ও বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টির নিবন্ধন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এসব দলের বিরুদ্ধে আপত্তি আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে; কোনো আপত্তি না থাকলে বা আপত্তি নিষ্পত্তির পর ইসি চূড়ান্তভাবে নিবন্ধন সনদ প্রদান করবে।
বর্তমানেই ইসির নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫৩টি। একদিকে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত রয়েছে, অন্যদিকে ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন ও পিডিপির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে।
তারেকের অনশনের পর স্থানীয়ভাবে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে; অনেকে ইসির সিদ্ধান্ত ও নিবন্ধন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতাকে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
এমআর/সবা


























