০৩:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাতীবান্ধায় ধান কাটার পর খালি জমিতে সরিষা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বিনা চাষে সরিষার আবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রায় ২০ দোন জমিতে সরিষার বীজ ছিটানো হয়েছে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার টংভাংগা ইউনিয়নের বাড়াইপাড়া এলাকায় আমন ধানের পাকা ক্ষেতসহ জমিতেই সরিষার বীজ ছিটানো হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাটের অতিরিক্ত উপপরিচালক ড. শাইখুল আরেফিন, হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমা ইয়াসমিন, স্থানীয় কৃষক ও উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা। কৃষি কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে কৃষকদের কারিগরি পরামর্শ প্রদান করেন।

অতিরিক্ত উপপরিচালক ড. শাইখুল আরেফিন বলেন, “আমরা সরিষার আবাদ বৃদ্ধি করতে কাজ করছি। বিনা চাষে সরিষার ফলন ভালো হয়। একসময় আমরা নিজস্ব সরিষার তেল ব্যবহার করতাম, কিন্তু এখন সয়াবিন তেলে পরনির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। সরকারের লক্ষ্য আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে ভোজ্য তেল আমদানি অর্ধেকে নামিয়ে আনা। এ লক্ষ্যে কৃষকদের সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমা ইয়াসমিন বলেন, “আমি আশা করছি, হাতীবান্ধা উপজেলায় গত বছরের তুলনায় এবার সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পাবে, বিশেষ করে বিনা চাষে সরিষা আবাদে কৃষকদের আমরা বেশি করে উদ্বুদ্ধ করছি। আমি কৃষক ভাইদের অনুরোধ জানাই—যাদের এ ধরনের জমি আছে, তারা অল্প হলেও বীজ ফেলুন। আমরা সরিষায় স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই।

স্থানীয় কৃষক মোত্তালেব ইসলাম বলেন, “আগে ধান কাটার পর জমি ফাঁকা পড়ে থাকত। এখন সেই জমিতেই সরিষার বীজ ছিটিয়ে দিচ্ছি। এতে বাড়তি খরচও লাগছে না, বরং ভালো ফলনের আশায় আছি।

বিনা চাষে সরিষা আবাদ প্রসারে কৃষি বিভাগের এমন উদ্যোগে কৃষকরা উৎসাহিত হচ্ছেন। এতে একদিকে কৃষকের আয় বৃদ্ধি পাবে, অন্যদিকে দেশীয় ভোজ্যতেল উৎপাদনেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

হাতীবান্ধায় ধান কাটার পর খালি জমিতে সরিষা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ

আপডেট সময় : ০৬:১২:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বিনা চাষে সরিষার আবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রায় ২০ দোন জমিতে সরিষার বীজ ছিটানো হয়েছে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার টংভাংগা ইউনিয়নের বাড়াইপাড়া এলাকায় আমন ধানের পাকা ক্ষেতসহ জমিতেই সরিষার বীজ ছিটানো হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাটের অতিরিক্ত উপপরিচালক ড. শাইখুল আরেফিন, হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমা ইয়াসমিন, স্থানীয় কৃষক ও উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা। কৃষি কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে কৃষকদের কারিগরি পরামর্শ প্রদান করেন।

অতিরিক্ত উপপরিচালক ড. শাইখুল আরেফিন বলেন, “আমরা সরিষার আবাদ বৃদ্ধি করতে কাজ করছি। বিনা চাষে সরিষার ফলন ভালো হয়। একসময় আমরা নিজস্ব সরিষার তেল ব্যবহার করতাম, কিন্তু এখন সয়াবিন তেলে পরনির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। সরকারের লক্ষ্য আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে ভোজ্য তেল আমদানি অর্ধেকে নামিয়ে আনা। এ লক্ষ্যে কৃষকদের সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমা ইয়াসমিন বলেন, “আমি আশা করছি, হাতীবান্ধা উপজেলায় গত বছরের তুলনায় এবার সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পাবে, বিশেষ করে বিনা চাষে সরিষা আবাদে কৃষকদের আমরা বেশি করে উদ্বুদ্ধ করছি। আমি কৃষক ভাইদের অনুরোধ জানাই—যাদের এ ধরনের জমি আছে, তারা অল্প হলেও বীজ ফেলুন। আমরা সরিষায় স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই।

স্থানীয় কৃষক মোত্তালেব ইসলাম বলেন, “আগে ধান কাটার পর জমি ফাঁকা পড়ে থাকত। এখন সেই জমিতেই সরিষার বীজ ছিটিয়ে দিচ্ছি। এতে বাড়তি খরচও লাগছে না, বরং ভালো ফলনের আশায় আছি।

বিনা চাষে সরিষা আবাদ প্রসারে কৃষি বিভাগের এমন উদ্যোগে কৃষকরা উৎসাহিত হচ্ছেন। এতে একদিকে কৃষকের আয় বৃদ্ধি পাবে, অন্যদিকে দেশীয় ভোজ্যতেল উৎপাদনেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এমআর/সবা