মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল মতিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে আওয়ামী লীগের দোসর হিসাবে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ করেছেন। সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১২টায় বাঘমারায় নিজ এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ তুলে বলেন, বিএনপি’র রাজনীতি করার কারণে বিগত সময়ে তাকে অপহরণ, হামলা ও মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ২০০৯ সালে রাতে ভানুগাছ বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা তাকে তুলে নিয়ে হাত-পা ভেঙে রেললাইনের পাশে ফেলে যায়। পরে পথচারীরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পথে আবারও অজ্ঞাতধারীরা তাকে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। তাঁর মোটরসাইকেল ভেঙে ফেলা হয় এবং হাতের নক তুলে ফেলা হয়।
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন বলেন, “আমি ইউপি নির্বাচিত সদস্য হওয়ায় এলাকায় কোনো উন্নয়নমূলক কাজ করতে দেওয়া হয়নি। আওয়ামী শাসনামলে বেঁচে থাকার প্রয়াসে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বাধ্য হয়েছিলাম, কিন্তু আমার আদর্শ আমি বদলাইনি।”
তিনি আরও জানান, বর্তমানে কিছু কুচক্রী মহল ভুয়া আইডি ব্যবহার করে তাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তরুণলীগের নেতা হিসেবে প্রচার করছে। এ বিষয়ে তিনি “মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ” জানান।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির বলেন, অভিযোগ না থাকলে পুলিশ কাউকে হয়রানি করে না এবং সবসময় সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।
এমআর/সবা
























