রমজানে ব্যবহৃত ১০ ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ বাড়াতে আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে মার্জিন ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সম্পর্কিত নির্দেশনা জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, ব্যাংকার–গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, মটর, মসলা ও খেজুর—এই ১০টি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নগদ মার্জিন সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখতে হবে। নির্দেশনাটি সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হবে এবং ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বহাল থাকবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে ব্যাংকগুলোকে সংশ্লিষ্ট পণ্যের আমদানি ঋণপত্র খুলতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
ভোগ্যপণ্য আমদানির সাথে বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, রমজান মাসে এসব পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। এই সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে। তৈরি করা হয় কৃত্রিম সংকট। এ অবস্থায় বাজারে পণ্যের সরবরাহ বৃদ্ধি করতে আমদানি সহজ করা করা প্রয়োজন। এ জায়গা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে এ নির্দেশনা দিয়েছে। এর ফলে এসব পণ্য আমদানি করতে ঋণপত্র খোলা বাড়বে। বাজারে পণ্যের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে; দামও কেউ কৃত্রিমভাবে বাড়ানোর সাহস পাবে না।
এমআর/সবা

























