অতীতে এশিয়ান আরচারিতে কখনোই এককে পদক জিততে পারেননি বাংলাদেশের কোনো আরচার। আগের প্রতিযোগিতায় জেতা তিনটি পদকই দলগত। এবার এককে পদক জয়ের অপেক্ষা মেটালেন কুলসুম আক্তার মনি।
বৃহস্পতিবার আর্মি স্টেডিয়ামে এশিয়ান আরচারির নারী কম্পাউন্ড ব্যক্তিগত ইভেন্টে ব্রোঞ্জপদক জিতেছেন তিনি। পদকের লড়াইয়ে চায়নিজ তাইপের চেন সি উকে ১৪৫-১৪৪ স্কোরে হারান কুলসুম।
এদিন সকালে কম্পাউন্ড মিশ্র দ্বৈতের ফাইনালে ভারতের দ্বীপশিখা-অভিষেক ভার্মা জুটির কাছে ১৫৩-১৫১ স্কোরে হেরে রুপা পেয়েছেন বাংলাদেশের বন্যা আক্তার-হিমু বাছাড় জুটি। চলতি আসরে দুটি আর সব মিলিয়ে এশিয়ান আরচারিতে বাংলাদেশের পদক পাঁচটি।
সেমিফাইনালে ভারতের প্রদীপ প্রিথিকার সঙ্গে জমজমাট লড়াই করেও পারেননি কুলসুম। তার ফাইনালে উঠতে না পারার ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ এই ব্রোঞ্জ। যদিও স্বান্তনার পদকও হারানোর শঙ্কায় ছিলেন। শুরুর সেট ৩০-২৯ ব্যবধানে তিনি হারেন। পরের দুই সেট ২৯-২৯, ২৯-২৯ করলেও চতুর্থ সেটে ২৯-২৮ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েন। ব্রোঞ্জ হারানোর প্রবল শঙ্কায় দৃঢ়ভাবে ঘুরে দাঁড়ান তিনি। পঞ্চম ও শেষ সেটে দারুণ খেলে ৩০-২৭ ব্যবধানে জিতে এশিয়ান আরচারিতে প্রথম ব্যক্তিগত পদক পাওয়ার উচ্ছ্বাসে ভাসেন।
ভয় কাটিয়ে পদক পাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন কুলসুম, ‘দিনের শেষটা খুব ভালো হয়েছে। আমি ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, কিছুই পাবো না। শেষ পর্যন্ত সুন্দর ফিনিশিং করেছি। এটি আরচারি। কখন কী হয়, বলা যায় না। ও (প্রতিপক্ষ আরচার) যখন আট মারে, তখন আমি সম্ভাবনা দেখি। আমার জীবনে সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছি আজ। এটি আমার প্রথম আন্তর্জাতিক পদক। খুশিতে কেঁদে দিয়েছি। ভারতের কাছে সেমিফাইনালে ১ পয়েন্টে হেরেছি। যা একটি তীরও এদিক-সেদিক মারা যাবে না, এই শিক্ষা দিয়েছে।’
এমআর/সবা


























