চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে মালচিং পদ্ধতিতে খিরা চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আধুনিক এই কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্থানীয় কৃষকরা কম খরচে, কম শ্রমে এবং আগের তুলনায় বেশি উৎপাদন পাচ্ছেন। ফলে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন কৃষকরাও খিরা আবাদে এগিয়ে আসছেন। ফটিকছড়িতে মালচিং পদ্ধতিতে স্বপ্ন ফেরাচ্ছে খিরা চাষ।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করলে জমিতে আগাছা হয় না, পানি সাশ্রয় হয় এবং গাছের গোড়া সুরক্ষিত থাকে। এতে ফলন বাড়ে এবং রোগবালাইয়ের আক্রমণ কম হয়। একই জমিতে আগের তুলনায় দ্বিগুণ পর্যন্ত ফলন পাওয়া সম্ভব বলে জানান কৃষকরা।
ফটিকছড়ির বিভিন্ন ইউনিয়নে ইতোমধ্যেই মালচিং পদ্ধতিতে খিরার সবুজ ক্ষেত চোখে পড়ে। বিশেষ করে হালদা নদী, ধুরুং খাল ও সত্তার খালের চরের পাশাপাশি ১৮টি ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভা এলাকাজুড়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এই প্রযুক্তির ব্যবহার। অনেক কৃষক প্রথম মৌসুমেই ভালো ফলন পেয়ে পরবর্তী মৌসুমেও আরও জমিতে চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কৃষক আবদুল মালেক জানান, “আগে সাধারণভাবে খিরা চাষ করতাম। মালচিং ব্যবহারের পর দেখি ফলন অনেক বেড়েছে। আগাছা নেই, পানি কম লাগে, রোগও কম হয়। তাই এখন পুরো জমিতেই এই পদ্ধতি ব্যবহার করছি।”
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, মালচিং ব্যবস্থাপনা খিরা চাষে অত্যন্ত কার্যকর ও লাভজনক পদ্ধতি। এতে উৎপাদন ২০–৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ে এবং মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখায় শুষ্ক মৌসুমেও ভালো ফলন পাওয়া যায়। এটি পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি বলেও জানান তারা।
চাষিদের আশা, শীত মৌসুমে ফটিকছড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ খিরা স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে চট্টগ্রাম শহরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা সম্ভব হবে। মালচিং প্রযুক্তির বিস্তৃত ব্যবহার ফটিকছড়িকে খিরা উৎপাদনে নতুন সম্ভাবনার পথে এগিয়ে নিচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সালেক বলেন, “ফটিকছড়ির মাটি খিরা চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বিশেষ করে হালদা, ধুরুং ও সত্তা খালের চর এলাকায় ফলন বেশি হয়। মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করায় কৃষকরা আরও উন্নত ফলন পাচ্ছেন।”
এমআর/সবা






















