দেশের অন্যতম জেলা শহর কক্সবাজার। ভৌগোলিক অবস্থান ও নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পর্যটন নগরী কক্সবাজার। এই জেলায় রয়েছে ৪টি সংসদীয় আসন। ভোটার সংখ্যা ১৬ লক্ষ ৫০ হাজার ৯৬০
এদিকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ও জামায়াত প্রার্থী ঘোষণার পর থেকে মাঠ পর্যায়ে চলছে নির্বাচনী আমেজ। পাড়া মহল্লা, চায়ের দোকানে চলছে নির্বাচনী গপ্পো।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি হারানো আসন দখলে নিতে চাই। অপরদিকে জামায়াতের নতুন প্রার্থীরা চমক দেখাতে চাই। শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ও জামায়াত গ্রুপ ভিত্তিক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে ঘরে ঘরে হাউস ওয়ার্ক চালিয়ে যাচ্ছে। গঠন করেছে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি, কেন্দ্র পরিচানা কমিটি। প্রার্থীরা মিছিল মিঠিং শোডাউন মাঠ চষে বেড়াচ্ছে।
ইতিমধ্যে কক্সবাজারের ৪টি আসনের মধ্যে ৩টি আসনে বিএনপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা হলেও কক্সবাজার-২ মহেশখালী কুতুবদিয়া আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি। অপরদিকে জামায়াতে ইসলামী ৪টি আসনেই দলীয় প্রার্থী চুড়ান্ত করে চমক সৃষ্টি করেছে। এদিকে নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি থেকে ৪ আসনে একাধিক দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করলেও প্রার্থীর চুড়ান্ত করেনি এখনো।
জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ঘোষিত ৩টি আসনে রয়েছে হেভিওয়েট প্রার্থী স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদসহ সাবেক দুই সাংসদ। অপরদিকে জামায়াতের হামিদুর রহমান আযাদ ছাড়া অপর তিন প্রার্থী সংসদ নির্বাচনের মাঠে নতুন। ফলে বিএনপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা হওয়ার পর অভিজ্ঞ তিন প্রার্থীর বিপরীতে জামায়াতের নতুন তিন প্রার্থী ভোটের মাঠে কতটুকু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এই নিয়ে শুরু হয়েছে নানা হিসাব নিকাশ। অন্যান্য দলও নির্বাচনের মাঠে থাকলেও এখন পর্যন্ত তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি। বিএনপির টার্গেট তাদের হারানো দুর্গ পুনরুদ্ধার। সেই দুর্গে আঘাত হানতে নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছে জামায়াতে ইসলামী।
কক্সবাজারের ৪টি আসনের মধ্যে ঘোষিত ৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ। কক্সবাজার-৩ (কক্সবাজার সদর, রামু-ঈদগাঁও) আসনের প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল। কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী।
ঘোষিত বিএনপির তিন প্রার্থীর মধ্যে লুৎফুর রহমান কাজল একবারের হলেও অপর দুই প্রার্থী নিজ নিজ আসনে তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। জাতীয় সংসদের ২৯৪ নম্বর আসনটি কক্সবাজার-১ এ আসনে বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ আগে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রী হাছিনা আহমেদও ছিলেন একবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। সব মিলে বিএনপির দখলে আসনটি ছিল চারবার।
৪টি আসনে জামায়াতের প্রার্থীরা হলেন কক্সবাজার-১ আসনে আবদুল্লাহ আল ফারুক, কক্সবাজার-২ এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, কক্সবাজার-৩ শহিদুল ইসলাম বাহাদুর ও কক্সবাজার-৪ আসনে জেলা জামায়াতের আমীর নুর আহমদ আনোয়ারী।
আবদুল্লাহ আল ফারুক ছাত্র জীবনে শিবিরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি কক্সবাজার শহর জামায়াতের আমির হিসেবে দায়িত্বরত। আর আবদুল্লাহ আল ফারুকের এটিই প্রথম কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে।
এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ
২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল। এই আসনে এবারও তিনি জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী।
শহিদুল ইসলাম বাহাদুর। তিনি একবার কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত ভাইস- চেয়ারম্যান ছিলেন। তবে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে এবার নতুন। তিনি কক্সবাজার সরকারি কলেজে ছাত্র শিবিরের হয়ে ভিপি ছিলেন।
বাহাদুর কতটুকু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন এটা নিয়েও ভোটারদের মধ্যে আলোচনার কমতি নেই।
নুর আহমদ আনোয়ারী। তিনি জেলা জামায়াতের আমির। টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চারবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী আসনটিতে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে জয়ী হতে ৫ আগস্টের পর থেকে মাঠে মাঠে ঘুরছেন।
এমআর/সবা
























