কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁও উপজেলার ২ নম্বর পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনার দায়িত্ব পরিবর্তন হয়েছে। জনসেবা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে ইউনিয়নটির আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব অস্থায়ীভাবে অর্পণ করা হয়েছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমান ভূঁইয়ার কাছে। জেলা প্রশাসক মোঃ আঃ মান্নান ১৩ নভেম্বর স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ নির্দেশনা জারি করেন। পত্রটি জারি করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখা, এবং নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর করার কথা উল্লেখ করা হয়।
একই অফিস আদেশে আরও জানানো হয়, চকরিয়া উপজেলার বমু বিলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী (জনস্বাস্থ্য)-কে। এ আদেশের মাধ্যমে বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের প্রশাসন পরিচালনায় চকরিয়া উপজেলার মেরিন ফিশারিজ অফিসারকে দেওয়া পূর্বের দায়িত্ব প্রত্যাহার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরকে এ বিষয়ে কপি প্রেরণ করেছে জেলা প্রশাসন।
এর আগে পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সৈয়দ নুরের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ জেলা প্রশাসকের দপ্তরে জমা পড়ে। অভিযোগে বলা হয়, তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান না হয়েও চেয়ারম্যানের আসন দখল, সিল ও স্বাক্ষর ব্যবহারসহ প্রশাসনিক নানা কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করে আসছেন। এতে সরকারি বিধি-বিধান ও স্থানীয় সরকার আইন লঙ্ঘিত হয়েছে বলে অভিযোগকারীরা উল্লেখ করেন।
অভিযোগপত্রে আরও দাবি করা হয়, ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের এ সদস্য ফ্যাসিস্ট শাসনের সময় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অপতৎপরতা চালিয়েছেন এবং নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য হিসেবে দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। ফ্যাসিবাদবিরোধী স্থানীয় ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকেও তার বিরুদ্ধে তদন্ত ও কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
অভিযোগের সঙ্গে বিভিন্ন দলীয় পদ, দায়িত্ব ও ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান’ পরিচয়ে দেওয়া তার প্রত্যয়নসংক্রান্ত প্রমাণপত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রদান করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে স্থানীয় সংগঠনের চারজন প্রতিনিধি স্বাক্ষর করেছেন।
এমআর/সবা
























